পাক ফৌজের সমরনীতিতে দুর্বলতার চিহ্ন ফুটছে
–সামরিক পর্যবেক্ষক
পাকিস্তানী ফৌজ সম্প্রতি হৃতভুমি পুনর্দখলের জন্য বিভিন্ন রণাঙ্গনে সুসংবদ্ধ পালটা আঘাত হানতে শুরু করেছে। সব রণাঙ্গনে পাক ফৌজের বিশেষ সুবিধা না হলেও যশাের-পাবনা রণাঙ্গনে বাংলাদেশের মুক্তি বহিনীকে পিছু হটতে হয়েছে। যশাের রণাঙ্গন পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রস্থল থেকে খুব বেশী দূরে নয়। বেশ কিছুদিন ধরে অবরুদ্ধ থাকা সত্ত্বেও কী করে পাকিস্তানী ফৌজ সেখানে এত শক্তি সঞ্চয় করল এবং প্রধানত যশাের রণাঙ্গনেই সুসংবদ্ধ আক্রমণ সংগঠিত করল, সে সম্বন্ধে কৌতূহল থাকা স্বাভাবিক। পাকিস্তানী সেনাপতিদের পরিকল্পনা আমাদের সঠিকভাবে জানার কোন উপায় নেই, কিন্তু তাদের সমরনীতি থেকে বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্বন্ধে একটা পরিষ্কার ধারণা করা যায়। পাকিস্তান এই রণাঙ্গনে একটি ব্রিগেড গ্রুপ নিয়ােগ করেছে। এক ব্রিগেড পদাতিক বাহিনীর সঙ্গে সাহায্যার্থে হালকা সাঁজোয়া বাহিনী, গােলন্দাজ বাহিনী, ইনজিনিয়ারিং এবং সিগনাল কোরের সেনা অংশ ইত্যাদি। উদ্দেশ্য ও দ্রুতগতিতে যশাের এলাকা বাংলা বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত করা। এর মােটামুটি তিনটি কারণ হতে পারে। প্রথমতঃ পশ্চিম রণাঙ্গনে সরাসরি জলপথে সামরিক সম্ভার, রসদপত্র ইত্যাদি খুলনার চালনা বন্দরে এনে নামান হচ্ছে, এবং পাক কর্তারা চাইছে যে, যশাের এলাকার বাংলা বাহিনী যে সামরিক বাধার সৃষ্টি না করতে পারে। জলপথে সামরিক সম্ভার আনার ব্যাপারে বাংলা বাহিনী বাধার সৃষ্টি করতে পারে। অনুমান করে, নৌবাহিনীর ডেস্ট্রয়ার, ফ্রিগেট, গানবােট ইত্যাদি এনে নৌঘাটি স্থাপন করা হয়েছে এবং নৌবাহিনীর কামান থেকে গােলাবর্ষণ করে দুদিকের গ্রাম একেবারে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে। বাংলা বাহিনীর পক্ষে চালনা থেকে সৈন্য চলাচল, রসদসম্ভার প্রেরণ, ইত্যাদির খবর সংগ্রহ করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। পাক ফৌজের দ্বিতীয় লক্ষ্য, পশ্চিমবঙ্গের কোন রকমের সাহায্যই যাতে বাংলাদেশে পৌছতে না পারে তার জন্য সীমান্তে সমস্ত পথ অবরুদ্ধ করা, এবং তৃতীয় লক্ষ্য, বর্ষার প্রারম্ভেই সামরিক রসদ সম্ভার সমস্ত অবরুদ্ধ ক্যান্টনমেনেটে পৌছে দেওয়ার জন্য চালনা বন্দরকে ‘বীচ হেড’ (Beach Head) এবং যশােরকে অগ্রবর্তী ঘাটি হিসেবে ব্যবহার করার জন্য সুরক্ষিত করা।
উপরােক্ত কারণগুলির মধ্য পাকিস্তানের সমরনীতির একটা দুর্বলতা ধরে পড়ে। পাকিস্তান চাইছে বর্ষার প্রারম্ভেই তার সমস্ত রসদসম্ভার প্রেরণের পথে কোন রকমের যাতে কোন বাধার সৃষ্টি না হয়। এজন্য তারা খুলনা এলাকা সুরক্ষিত করে, (বাংলা বাহিনী এখনও খুলনা এলাকায় কোন উল্লেখযােগ্য সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়নি) যশাের থেকে খুলনা এলাকা পর্যন্ত ধ্বংসপ্রাপ্ত রেললাইন সেতু ইত্যাদি সামরিক ইনজিনিয়ারিং ইউনিট দিয়ে মেরামত করিয়ে নিতে চাইছে। কারণ, বর্ষা আরম্ভ হলে পরিবহন বিমান ব্যবহারের সুযােগ নিশ্চয়ই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়বে এবং বাংলা বাহিনী বর্ষার সুযােগ নিয়ে রাস্তাঘাট, সেতু ইত্যাদি ধ্বংস করে দিলে সামরিক যানবাহনের চলাচলও একান্ত অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়াবে। এছাড়া বর্ষাকালে যুদ্ধের জন্য একান্ত প্রয়ােজনীয় “আক্রমণের জন্য ব্যবহার্য দ্রুতগামী নৌবাহন” (Assault Boat) এবং ভারী ইনজিনিয়ারিং দ্রব্যাদি (সেতু নির্মাণ, মেরামত, রাস্তাঘাট মেরামতের জন্য এবং তৈরীর জন্য ব্যবহৃত বুলডােজার ইত্যদি) রেলযােগে। প্রেরণ একান্ত অপরিহার্য এবং এই জন্য পাক ফৌজ “বীচ হেড” থেকে অগ্রগামী ঘাটি যশাের পর্যন্ত এলাকা বর্ষার পূর্বেই দখল করে সুদৃঢ় করতে কৃতসংকল্প। |হৃতভূমি দখলের এই সুসংবদ্ধ আক্রমণের থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে পড়েছে। বাংলাবাহিনীর প্রথম আক্রমণে দিশাহারা হয়ে উঠে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী এবং তাদের অনুরাগীরা যশাের ক্যানটনমেনটে আশ্রয় গ্রহণ করলেও বর্তমানে সেই দূরবস্থা কেবল কাটিয়েই ওঠেনি, যথেষ্ট শক্তিও সঞ্চয় করেছে।
পূর্বে যশাের ক্যানটনমেনট হালকা সাঁজোয়া বাহিনী ও ২৫ পাউন্ডের গােলা নিক্ষেপের উপযােগী কামান ছিল না। ছিল শুধু হালকা ধরনের কামান ও ট্যাঙ্কবিধ্বংসী “রিকায়িললেস গান।” এবং অনেকগুলি বাংলা বহিনীদখল করে নিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান আক্রমণে ব্যবহৃত হয়েছে পঁচিশ পাউন্ডের কামান ও হালকা সাঁজোয়া বাহিনী। প্রসঙ্গত উল্লেখযােগ্য অবরুদ্ধ ক্যানটনমেট এলাকাতে নিশ্চয়ই পরিবহন বিমানে এ সমস্ত সামরিক সাজ-সরঞ্জাম ও ইনজিনিয়ারিং ও সিগন্যালস বাহিনীর যন্ত্রপাতিও নামান হয়েছে এবং বিমান বাহিনীর এ কার্যক্রমকে (Air transported Action) বাধা দেওয়ার মত “এয়ার ডিফেন্স আরটিলারি” বা সামরিক বিমান পর্যবেক্ষণকেন্দ্র (Air observation Post) বাংলা বাহিনীর ছিল না। হালকা সাঁজোয়া বাহিনী নিয়ােগ করা হয়েছে, কারণ ট্যাঙ্ক ব্যবহার করলে রিকয়িললেস গান দিয়ে ট্যাঙ্ককে ঘায়েল করতে বাংলা বাহিনীর বিশেষ অসুবিধা হত না, কিন্তু দ্রুতগামী হালকা সাঁজোয়া বাহিনীকে রিকয়িললেস গান দিয়ে ধ্বংস করা বিশেষ শক্ত বলেই পাকিস্তান বাহিনী সাঁজোয়া বাহিনী নিয়ােগ করাই শ্রেয় মনে করেছে।
এবার যশাের রণাঙ্গনে পাকিস্তানী ব্রিগেড গ্রুপের এই আক্রমণ বিশ্লেষণ করা যাক। পাকিস্তানী গােলন্দাজ বাহিনীর গােলাবর্ষণে বেশীরভাগ নিহত হয়েছে নিরীহ গ্রামবাসী। এই ধরনের গােলাবর্ষণকে সামরিক পরিভাষায় বলে মনােবল নষ্ট করে দেওয়ার জন্য গােলাবর্ষণ (Demoralisation Fire)। পঁচিশ পাউন্ডের কামান প্রায় সাড়ে সাত মাইল দূরে গােলাবর্ষণ করতে পারে এবং ভােরবেলা থেকেই গােলাবর্ষণ শুরু হয়। (রানাঘাট, গেদে, কৃষ্ণনগরের অধিবাসীরা ভাের থেকেই কামান গর্জন শুনতে পান।) বাংলা বাহিনী সে সময় যশাের শহর থেকে দু-এক মাইলের মধ্যেই ছিল, কিন্তু তা হলেও কামান দাগা হয় প্রায় ছ সাত মাইল দূরে। একমাত্র কারণ, জনসাধারণের প্রাণ সম্পত্তি ধ্বংস করে মনােবল নষ্ট করে দেওয়া, যাতে জনসাধারণ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে বিমান থেকে বােমাবর্ষণ ও মেশিনগানের গুলিবৃষ্টি। কিন্তু পাকিস্তান বাহিনীর উদ্দেশ্য সফল হয়েছে কি? আমি দেখেছি, আক্রান্ত গ্রামের ছ মাইল দূরে প্রতিরােধের প্রচেষ্টা শুরু হয়ে গেছে হাতের কাছে যা অস্ত্র পাওয়া যায় তা নিয়েই। সুতরাং পাকিস্তান বাহিনী উন্নততর অস্ত্রশস্ত্র ও সাঁজোয়া বাহিনীর সাহায্যে কিছু এলাকা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হলেও তাদের মূল উদ্দেশ্য সাধনে অর্থাৎ স্থানীয় অধিবাসীদের মনােবল নষ্ট করতে সক্ষম হয়নি। কিছু কিছু স্থানীয় অধিবাসী ভারতে চলে এসেছেন কিন্তু আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবকরা ভারতে আসবার প্রতিটি রাস্তার মােড়ে দাঁড়িয়ে নষ্ট মনােবল গ্রামবাসীদের উৎসাহিত করেছেন,
আশ্রয় দিয়েছেন এবং তাদের অনেকেই আবার ফিরে গিয়েছেন। যশাের রণাঙ্গনে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আবার এক ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম আসন্ন তাতে সন্দেহ নেই। ইতিমধ্যে পাকিস্তানী বিমান মাঝে মাঝেই বােমাবর্ষণ করে যাচ্ছে, ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, নিহত হচ্ছেন নিরীহ গ্রামবাসী, অশক্ত বৃদ্ধ, নারী ও শিশু যুবকরা সমবেত হয়েছেন আওয়ামী লীগের পতাকাতলে । গ্রামে গ্রামে বসেছে সাইরেন, শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে অসামরিক প্রতিরক্ষা, অগ্নিনির্বাপণ প্রভৃতিতে। সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয়েছে শত্রুর চরের প্রতি। কারণ পাকিস্তানের প্রতি আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গেই শত্রুর গুপ্তচরেরা আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
উপরােক্ত প্রসঙ্গের অবতারণার কারণ এই যে সামরিক দিক থেকে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে বােঝা যায়, কোন কোন রণাঙ্গনে সামরিকভাবে বিজয়লাভ করলেও পরিস্থিতি মােটেই ইয়াহিয়ার বাহিনীর পক্ষে অনুকূল নয়। হের হিটলার রাশিয়া আক্রমণের পূর্বে সদম্ভে ঘােষণা করেছিলেন “মাখনের মধ্য দিয়ে যেমন ছুরি চলে যায় সেইভাবেই আমি রাশিয়ার ভিতর দিয়ে মার্চ করে এগিয়ে যাব।” তার সুযােগ্য শিষ্য ইয়াহিয়া অবশ্য অতটা বলেনি, কিন্তু তিনিও ঘােষণা করেছিলেন, সাতদিনের মধ্যেই পাকিস্তানের শত্রুদের সমূলে ধ্বংস করবেন। সাতদিনের স্থলে অনেক দিন হয়ে গেল, কিন্তু বাংলাবাহিনী এখনও নির্মূল করা সম্ভব হল না। এমন কী, অবস্থা ইয়াহিয়ার অনুকূলেও নয়। | সামরিক পরিভাষায় বলে, আক্রমণের উদ্দেশ্য হচ্ছে শত্রুকে এমনভাবে পর্যদস্ত করা, যাতে সে আক্রমণকারীর কাছে অস্ত্র সমর্পণ করে। | এমন কী, যশাের পাবনা রণাঙ্গন, যেখানে অবস্থা বর্তমানে বাংলাদেশ বাহিনীর প্রতিকূল, সেখানেও সামরিক পরিভাষার আক্রমণের উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয়নি। সমরবিদূরা এও বলেন যে, আক্রমণের উদ্দেশ্য হল প্রতিপক্ষের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও মনােবল এমনভাবে ধ্বংস করে দেওয়া যাতে সে আক্রমণকারীর সর্তানুযায়ী। সন্ধি করতে বাধ্য হয়। আক্রমণ সম্বন্ধে আর একটি কথা মনে রাখতে হবে যে, আক্রমণ এমন তড়িৎগতি হবে যে, হতবুদ্ধি আক্রান্ত রাষ্ট্র আক্রমণের মুখে তার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সুদৃঢ় করবার সময় ও সুযােগ একেবারেই পাবে না। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির কথা চিন্তা করলে বােঝা যায়, পাকিস্তান বাহিনীর পক্ষে সে দুরূহ তাে বটেই এবং আপাত দৃষ্টিতে প্রায় অসম্ভব।
যুদ্ধের সময় সৈন্য চলাচল সম্বন্ধে যথেষ্ট গােপনীয়তা অবলম্বন করা সামরিক নীতি, কিন্তু তবুও সামরিক তথ্য সংগ্রহ বিভাগ (combat intelligence) সংবাদ সংগ্রহের সর্বপ্রকার চেষ্টা করে। বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া সংবাদে মনে হয়, পাকিস্তান বাহিনী বাংলাদেশে একটি আর্মিকোর বা তিন ডিভিসনের মত সৈন্য নিয়ােগ করেছে। সৈন্য সংখ্যা মােটামুটি এক লক্ষের মত নিয়মিত সৈন্য। নিয়মিত সৈন্য বলার কারণ এই যে, যাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান যুদ্ধরত সামরিক পরিভাষায় তাদের বলা হয় অনিয়মিত সৈন্য। এই সৈন্যসংখ্যার মধ্যে বিমান ও নৌসেনারাও আছে। | প্রতিটি ডিভিসনের আনুমানিক সৈন্য সংখ্যা বিশ হাজার। প্রতিটি ডিভিসনে তিনটি ভাগ। ফাইটিং ফোর্স সাপাের্টিং আর্মস ও সারভিসেস। তিনটি পদাতিক ব্রিগেড নিয়ে ফাইটিং ফোর্স গঠিত। প্রতিটি ব্রিগেডে আছে তিনটি করে ব্যাটেলিয়ান। সাড়ে তিন থেকে চার হাজার সৈন্য নিয়ে ব্রিগেড গঠিত এবং এ হিসাবে প্রতিটি ডিভিসনে এগার থেকে বার হাজার ফাইটিং ফোর্স। সাপাের্টিং আর্মস এর কাজ হল এই ফাইটিং-ফোর্সকে অন্যান্য ভারী অস্ত্রশস্ত্রাদি দিয়ে সহায়তা করা, যেমন গােলন্দাজ ও ভারী মর্টার বাহিনী, ইনজিনিয়ার্স, সিগন্যালস ইত্যাদি। এই সেনা-অংশগুলি সাধারণভাবে পদাতিক বাহিনীর মত যুদ্ধে অভ্যস্ত নয়, বিশেষ করে বাংলাদেশে বর্তমানে যে ধরনের যুদ্ধ চলছে। সার্ভিসেসের কাজ হল যুদ্ধরত বহিনীকে রসদ, সমরসম্ভার ইত্যাদি যােগান দেওয়া, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা ইত্যাদি। এদের মধ্যে আছে সাপলাই অরডিনানস, পােসটাল, ভেটিরিনারি কোর মেডিক্যালস, মিলিটারি পুলিশ, ফিলড সিকিউরিটি ইত্যাদি। ডিভিসনাল হেড।
কোয়াটারসে থাকে ডিভিসনাল স্টাফ অফিসার, এক ব্যাটেলিয়ান পদাতিক বাহিনী, বিমান সাহায্য নেওয়ার জন্য বিশেষ ধরনের সিগন্যাল বাহিনী, ইটালিজেন্স গােলন্দাজদের লক্ষবস্তু নির্দেশের জন্য হালকা ধরনের বিমান, সাঁজোয়া বাহিনী ইত্যাদি। অবশ্য পাকিস্তান সৈন্য সংখ্যা দশ লক্ষের উপর এবং আরও সৈন্য পশ্চিম পাকিস্তান থেকে প্রয়ােজনে নিশ্চয়ই আনানাে হবে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, কাশীর আফগান সীমান্ত ও ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ক্ষুন্ন করে আরও খুব বেশী সৈন্য আনতে হলে তাদের বারবার চিন্তা করতে হবে। সৈন্য সংখ্যার অভাব না হলে তারা ভারতীয় সীমান্ত একেবারে অরক্ষিত রাখত
২০ এপ্রিল, ১৯৭১
সূত্র: গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ খন্ড -০৭ , আনন্দবাজার পত্রিকা