কী ঘটছে ওখানে জানি না, শুধু অনুমান করতে পারি
পান্নালাল দাশগুপ্ত
পূর্ব বাংলায় যে ধরনের ঘটনা ঘটল আধুনিক ইতিহাসে তার নজীর নেই। জেনারেল ইয়াহিয়া খান সাড়ে সাত কোটি একটি জাতি-বাঙালি জাতিকে-এমন প্রতারণা করলেন যা সভ্য জগতে এই গণতান্ত্রিক যুগে অভাবনীয় এক ব্যাপার। এগার দিন ধরে ইয়াহিয়া খান শেখ মুজিবরের সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছিলেন, তার উদ্দেশ্য ছিল কোন মীমাংসায় আসা নয়, সময় নেওয়া, যাতে পূর্ব বাংলার উপর সার্বিক ও বর্বর এক অতর্কিত আক্রমণ সংগঠিত করার প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়। অথচ শেখ মুজিবর রহমান আজ সামান্য একটি ব্যক্তি নন, এবং তার দলও অন্য পাঁচটি দলের মত একটি দল নয়। তিনি ও তার দল গণতান্ত্রিক সর্বজনীন ভােটাধিকারে বিপুল সমর্থনে শুধু পুর্ব পাকিস্তানে নয়, সারা পাকিস্তানের রাজনৈতিক ক্ষমতার অধিকারী। তার তুলনায় ইয়াহিয়া খান সত্যি কে? কিসের ভিত্তিতে কোন গণতান্ত্রিক অধিকারে তিনি প্রেসিডেন্ট? আয়ুব খানের কাছ থেকে তিনি চক্রান্ত করে ক্ষমতা দখল করেন, তার ক্ষমতার পিছনে কোন নৈতিক বা গণতান্ত্রিক সম্মতি নেই। তিনি আজ বড় গলায় কোন অধিকারে পাকিস্তানের রক্ষাকর্তা বলে ঘােষণা করতে পারেন? সামরিক দস্যুবৃত্তি ছাড়া, গায়ের জোর ছাড়া, এবং মধ্যযুগীয় ষড়যন্ত্র ছাড়া আয়ুব খাঁ বা ইয়াহিয়াদের আর কি নৈতিক অথবা রাজনৈতিক মূলধন আছে?
স্বৈরাচার ষড়যন্ত্র ও পশুশক্তির এই নির্লজ্জ প্রকাশ পৃথিবীর গণতান্ত্রিক মানুষকে স্তম্ভিত করবে। জাতীয় এসেমবলীর অধিবেশনে প্রথমে পাঞ্জাবী নয়া সাম্রাজ্যবাদীদের মুখপাত্র জুলফিকার আলী ভুট্টোর প্ররােচণায় স্থগিত রাখা হয়। কিন্তু এবারে রাত্রির অন্ধকারে সামরিক বিমানে উঠে যাবার পূর্বে তিনি নিজ দায়িত্বে খােলাখুলি ভাবে সমস্ত পূর্ব বাংলাকে নতুন করে অধিকার করার জন্য সামরিক বাহিনীকে প্রচণ্ড আক্রমণ করার হুকুম নিজে দিয়ে যান। স্বদেশে গিয়ে বাংলাদেশকে সায়েস্তা করার হুকুম রেডিও মারফৎ ঘােষণা করেন। পৃথিবীতে আজও পর্যন্ত এমন বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা কোন নির্বাচনে শেখ মুজিবর রহমান ও তার আওয়ামী লীগের মত অন্যান্য কেউ অর্জন করতে পারেনি। ইতিহাসে গণতন্ত্রের রেকর্ড স্থাপিত হইয়াছিল। সেই শেখ মুজিবর ও আওয়ামী লীগকে জেনারেল ইয়াহিয়া খান “দেশের শত্রু” বলে ঘােষণা করেছেন এবং কঠিন সাজা দেবেন বলেও ঘােষণা করেছেন! আর আজ বাংলাদেশের পথেঘাটে চলেছে এই পশ্চিম পাকিস্তানী সৈন্যবাহিনীর তাণ্ডবলীলা- বেপরােয়া গুলীতে শত শত প্রাণ নিধন করা হচ্ছে। সংবাদপত্র ও রেডিয়াের গলা টিপে ধরা হয়েছে। আজ আর রেডিও ঢাকা থেকে মুক্তির গান শােনা যাবেনা। ফ্যাসীবাদী আক্রমণও কোন দেশে এমন বর্বর ও নির্লজ্জ রূপ পরিগ্রহ করেনি। ফ্যাসীবাদের বিরুদ্ধে পৃথিবীর জনমত, সংগঠিত, সােচ্চার ও সক্রিয় প্রতিবাদ ও প্রতিরােধ করা যদি অন্যায় না হয়ে থাকে তবে আজ সারা পৃথিবীর পক্ষে পূর্ব বাংলার উপরে এই বর্বর আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরােধ গড়ে তােলা ভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ হচ্ছে বলে অন্যায় হবে কেন? পৃথিবীর জনমত ছাড়াও যে সমস্ত রাষ্ট্র নিজেদের গণতান্ত্রিক, সমাজতান্ত্রিক, অথবা প্রগতিশীল বলে জাহির করেন, তারাই বা তথাকথিত ‘কূটনৈতিক শালীনতা’র দোহাই দিয়ে নীরব থাকবে কেন? আজ পূর্ব বাংলায় যা ঘটছে তাকে কোন ক্রমেই একটি দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে নৈতিক দায়িত্ব এড়ানাে যায় না। এটা সম্পূর্ণ একটি মানবিক প্রশ্ন- যে প্রশ্নে সকল দেশের সকল মানুষের একটা বক্তব্য আছে। আমরা তাই মনে করি ভারত সরকার ও ভারতবাসীদেরও এই অবস্থায় চুপ করে থাকা চলে না। রাষ্ট্রসঙ্গেও এই প্রশ্নটি তােলার অধিকার আছে।
যেমন করে ঘটনাবলী আজ এই চরম পরিস্থিতিকে নিয়ে আসুন না কেন, শেখ মুজিবর রহমানদের মােটেই কিছু চরমপন্থী দাবী ছিল না। ছয়দফার মধ্যে স্বাধীনতা বা বিচ্ছিন্নতার কোন কথা ছিল না। কেন্দ্রীয় পাকিস্তানী সরকারের হাতে পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকার বিরুদ্ধে ছয় দফা দাবিতে কেন কথাই ছিলনা। একদা ইংরেজ যদি বলতাে যে পররাষ্ট্র প্রতিরক্ষা ও মুদ্রা এই তিনটি বাদ দিয়ে ভারতীয়দের হাতে অন্য সব স্বায়ত্তশাসনের ক্ষমতা ছেড়ে দিচ্ছি তাতে কি ভারত সন্তুষ্ট হতে পারতাে? তাতে কি ভারত স্বাধীন হতাে? না বৃটিশ সাম্রাজ্য থেকে ভারত ছিন্ন হয়ে যেত? অথচ ছয় দফার সব কটি দিয়ে দিলেও কেন্দ্রীয় পাকিস্তান সরকারের হাতে সামরিক শক্তি ও পররাষ্ট্র থেকে যেতাে। এ দুটির সাহায্যে বৈদেশিক বাণিজ্যও হয়তাে কেন্দ্রীয় সরকার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারতাে। এতে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন হতাে না বিচ্ছিন্নও হতাে। অতএব শেখ মুজিবর রহমান পাকিস্তানের সর্বনাশ করেছেন, পূর্ব বাংলাকে আলাদা করে নিয়ে যাচ্ছেন এ জাতীয় অভিযােগ কত কষ্ট কল্পিত ও মিথ্যা! আসলে বাঙালী জাতিকে কোন কিছু না দেওয়াই পশ্চিম পাকিস্তানী নয়া সাম্রাজ্যবাদীদের একমাত্র লক্ষ। যদি ছয় দফা দাবি না মানা হয়, তবেই পূর্ব পাকিস্তান, বা পূর্ব বাংলার পক্ষে স্বাধীনতার দাবি না তুলে উপায় থাকেনা। অতএব ছয়দফা মানার মধ্যে স্বাধীনতা ছিলনা, না মেনেই স্বাধীনতার প্রশ্নটি উপস্থিত করা হয়েছে। ইয়াহিয়া খানেরাই পূর্ব বাংলাকে স্বাধীন হয়ে যেতে বাধ্য করেছেন। একথা হয়তাে ইয়াহিয়া খানদেরও না বােঝা সম্ভব নয়। কিন্তু ক্ষুদে সাম্রাজ্যবাদীদের পক্ষে বৃহৎ সাম্রাজ্যবাদের মত কোন রিজারভ নেই। তাদের তাই ইংরেজ বা ফরাসী সাম্রাজ্যবাদের মত কোন উদারতার ভান দেখাবার মত সঙ্গতি নেই। বিশ্বগ্রাসী ক্ষুধা আছে, অথচ শক্তি আছে সামান্যই সে সব নয়া সাম্রাজ্যবাদীদের, তাদের পক্ষে উদার হওয়া সম্ভব হয়নি। তাই তারা সামান্য ছয়দফা পর্যন্ত মেন নিতে পারেনি।
আজ পূর্ব বাংলায় কী ঘটছে আমরা জানিনা, হয়তাে সবটা অনুমানও করতে পারি না। হয়তাে এতক্ষণে শেখ মুজিবর বন্দী হয়ে গেছেন অন্যান্য সহকর্মী সহ, হয়তাে হাজার হাজার ছাত্র ও যুবকদের প্রাণ দেওয়া হয়ে গেছে; অথবা হয়তাে সেখানে “স্বাধীন পূর্ব বাংলা সরকারও কেউ গঠন করতে যাচ্ছেন। এই আচম্বিত আক্রমণের ধাক্কায় সাময়িক ভাবে স্তম্ভিত পূর্ব বাংলার মানুষদের পক্ষে সহসা যথাকৰ্তব্য মুহূর্তেই স্থির করা হয়তাে সহজ নয়, কিন্তু তারা অচিরে সম্বিত ফিরে পাবেন বলে আশা করা যায়। তারা অসহযােগ ও আইন অমান্য আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে পাল্টা বেসরকারী সরকার গড়ে তুলেছিলেন, তার সব ভিত্তিটাই এই আক্রমণে নষ্ট হয়ে যাবেনা, সেই পাল্টা সরকারই কিছুটা পরিবর্তিত রূপে স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার রূপে দানা বাঁধতে পারে। অবশ্য সেই পাল্টা স্বাধীন সরকারের পক্ষে আজ বাংলাদেশে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করা অথবা স্বাভাবিক নাগরিক জীবন যাপন ব্যবস্থা রক্ষা করার কোন প্রােগ্রাম থাকতে পারেনা। সে-পাল্টা সরকার হবে একটা পাল্টা প্রতিরােধ শক্তি, সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণকে প্রতিরােধ করার হাতিয়ার হিসেবে তাকে দাড় করাতে হবে। যদি পূর্ববাংলার মনােবল অটুট থাকে, তবে পূর্ববাংলার এই স্বাধীনতার সংগ্রাম সার্থক হবেই। ঢাকা বা চট্টগ্রাম বা খুলনার মত শহরেই এই প্রতিরােধ শক্তিকে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। এই সংগ্রামকে দীর্ঘায়ত ও বিস্তৃর্ণ সংগ্রামে পরিণত করতে হবে। সাড়ে সাত কোটি লােকের এই দেশকে পশ্চিম পাকিস্তানী সামরিক গােষ্ঠি হাজার মাইল দূর থেকে কিছুতেই দাবিয়ে রাখতে পারে না। এই সংগ্রামকে গ্রামে গ্রামে, মাঠে মাঠে, নদীতে বিলে বিস্তৃত করে দিতে হবে, চাষি মজুরদেরও জনসাধারণের সংগ্রামে পরিণত করতে হবে। কোথাও কোথাও সশস্ত্র প্রতিরােধ-পকেট ও গেরিলা বাহিনী হয়তাে দানা বেঁধে উঠবে। কিন্তু সেই সশস্ত্র গেরিলা ও মুক্তাঞ্চল গুলি নিজেদের ক্ষমতার মধ্যেই যেন নিজেদের শক্তি সীমিত করে না ফেলে।
অসহযােগ ও আইন অমান্য কর্মপন্থায় সমগ্র ভাবে সকল বাঙালীকে যেভাবে একতাবদ্ধ এক শক্তিতে পরিণত করা সম্ভব হয়েছিল, সেই সামগ্রিক প্রতিরােধ শক্তিটা বিকল হলাে এমন মনে করলে চলবে না, বরং সেই সার্বিক একতাবদ্ধ শক্তিকেই সবচেয়ে বড় শক্তি মনে করতে হবে। সশস্ত্র গেরিলা বাহিনী যদি গড়ে ওঠে, সেই সব গণবাহিনী গুলির কর্তব্য হবে এই একতাবদ্ধ শক্তিকে রক্ষা করা; তার উপর আক্রমণকে প্রতিহত করা। অর্থাৎ স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের সশস্ত্র নিরস্ত্র যতরকম হাতিয়ার জনসাধারণ ব্যবহার করতে পারে তার সবগুলিই ব্যাবহার করা চলে সাধারণ শত্রুর বিরুদ্ধে নীতিগত বা কৌশলগত প্রশ্নের কুটতর্কে যে স্বাধীনতার সংগ্রামী দলগুলিতে নিজেদের মধ্যেই যেন কোন বিরােধ না হয়। সাধারণ শত্রুকে আজ পূর্ববাংলায় চিহ্নিত করতে কোন অসুবিধা নেই। এই সাধারণ শত্রুকে পূর্ব বাংলার মাটি থেকে উৎখাত করাই আজ বাংলাদেশের একমাত্র কর্তব্য।
মােট কথা দীর্ঘায়ত সংগ্রামের জন্য আজ পূর্ববাংলার বাঙালীদের তৈরী হতে হবে। আর কোন নিগােশিয়েসানের ক্ষেত্র নেই। সাহসী এক আঘাতে শত্রুপক্ষকে দূর করে দেওয়াও হয়তাে সম্ভব নয়। ক্রমাগত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। দরকার হলে চার/পাঁচ এমনকি দশ বছরের জন্যও আপােষহীন প্রতিরােধ সংগ্রাম চালাবার দৃঢ় পণ নিতে হবে। ইয়াহিয়া খানের লক্ষ হবে এক কঠিন আঘাতে পূর্ব বাংলার মনােবলকে চূর্ণ করে দেওয়া, আর পূর্ব বাংলার জনসাধারণের লক্ষ হবে এই সংগ্রাম যতদূর সম্ভব দীর্ঘয়াত করা। যদি পূর্ববাংলার বিদ্রোহী জনসাধারণ স্বাধীন কোন বাংলা সরকার ঘােষণা করেন, পৃথিবীর সকল রাষ্টের উচিৎ হবে তাকে স্বীকৃতি দেওয়া। এ দায়িত্ব ভারতেরই প্রথম। পশ্চিম পাকিস্তানের আজ এত শক্তি নেই যে, এই জন্য পশ্চিম পাকিস্তান আবার ভারতের উপর আক্রমণ করতে আসবে। উপর থেকে দেখলে মনে হয়, পূর্ব বাংলার সংগ্রাম বুঝি একমাত্র পূর্ব বাংলারই সংগ্রাম। আসলে এ সংগ্রামের তাৎপর্য সমগ্র পাকিস্তানের সকল গণতান্ত্রিক লােকের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সিন্ধু, বালুচিস্তান, সীমান্ত প্রদেশের স্বায়ত্তশাসনের প্রশ্ন এর মধ্যে আছে। আজ পূর্ব বাংলার বিরুদ্ধে সমস্ত পশ্চিম পাকিস্তানকেই লেলিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। বরং একথাও হয়তাে বলা যায় যে ইয়াহিয়া খান ক্ষিপ্ত ও উন্মাদ হয়ে যে বর্বর আক্রমণ পূর্ব বাংলার উপরে চাপিয়ে দিয়েছেন, এর পরিণামে পশ্চিম পাকিস্তানেও বিদ্রোহের অগ্ন্যপাৎ ঘটতে পারে। কেননা সেখানেও স্বায়ত্ব শাসনের শক্তিসমূহ বর্তমান আছে।
বস্তুত হয়তাে একথাও প্রমানিত হতে পারে, ইতিহাসে কায়েদে আজম জিন্নাহ যে পাকিস্তান রাজ্য বা সাম্রাজ্য স্থাপন করে গিয়েছিলেন জেনারেল ইয়াহিয়া খানের হাতে তা শেষ হয়ে যাবে। অবশ্য সে জাতীয় চরম পরিণতি নির্ভর করে আপাতত পূর্ব বাংলার প্রতিরােধ ক্ষমতার উপর। যদি এই প্রতিরােধ দীর্ঘায়িত হয় ও দিন দিন একটা বেপােরােয়া স্বাধীনতার সংগ্রামে পরিণত হয়, তবে পশ্চিম পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সংকটগুলিও মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। এর উপরে যদি ইয়াহিয়া খান ভারতের উপরেও আক্রমণ করতে আসেন তবে তার সাথে সমগ্র পাকিস্তানী স্বপ্নটারই কবর তৈরি করবেন মাত্র। এদিকে পূর্ব ও পশ্চিম বাংলার মধ্যকার সীমান্ত আবার দৃঢ়ভাবে বন্ধ করার চেষ্টা হবে। পূর্ববাংলার ভয়াবহ সাইক্লোন জনিত ক্ষয়ক্ষতি হয় সেখানে খাদ্য বস্ত্রের অভাব তীব্রভাবে দেখা দিবে। বৈদেশিক সাহায্য ইয়াহিয়া খান বন্ধ করে দিয়ে বাঙালীদের দুর্ভিক্ষের মধ্যে ফেলে দিতে পারে। ভারত থেকে সাহায্য বন্ধ করবে প্রথমেই। এর উত্তর পশ্চিম বাংলা ও ভারত কী ভাবে দেবে সেটা ভাবা দরকার। অজস্র শরণার্থী আবার আসতে শুরু করতে পারে- কেবল হিন্দুই নয়, বিপন্ন মুসলমানেরাও ভারতে এসে প্রাণ বাঁচাবার চেষ্টা করতে পারে। এসব পরিস্থিতির জন্যও আমাদের তৈরি থাকতে হবে। ব্যাপারটি ভারতের পক্ষেও সামান্য নয়, ভারত এ ক্ষেত্রে উদাসীন থাকতে পারে না।
২৭ মার্চ, ১৯৭১
সূত্র: গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ খন্ড -০৭ , আনন্দবাজার পত্রিকা