You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.09.23 | বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত (২)। - হাসান মুরশিদ - সংগ্রামের নোটবুক

বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত (২)।

— হাসান মুরশিদ

‘আমার সােনার বাংলা আমি তােমায় ভালােবাসি’ জাতীয় সঙ্গীত হবার উপযুক্ত নয়, এমন কথাও কোনাে কোনাে মহলে শুনেছি। এ মহল তাদের বক্তব্যের পেছনে যে যুক্তি দিতে চান, তা মােটামুটি এক রকম ? এক এ গানটি দীর্ঘ; দুই, এ গানটির সুর চটকদার নয়। (অর্থাৎ মার্চের সুরের মতাে চটুল নয়); তিন, এ গান।  সকলের পক্ষে গাওয়া সম্ভব নয় (সুরের জটিলতা ও ওঠা নামার জন্যে)। আর একটি যুক্তি কাউকে মুখ ফুটে বলতে শুনিনি, কিন্তু আভাস ইঙ্গিতে তাঁদের বক্তব্য অনুমান করেছি। এ গান ইসলামি সংস্কৃতির পুরােপুরি অনুকূল নয়। | এ যুক্তিগুলি যে অত্যন্ত দুর্বল বিশ্লেষণ করলেই সেটা ধরা পড়ে। গানটি দীর্ঘ সন্দেহ নেই; কিন্তু দীর্ঘ গান জাতীয় সঙ্গীতরূপে নির্বাচিত হয়নি এমন প্রমাণ নেই। এই ভারতের জাতীয় সঙ্গীত ‘জনগণমন অধিনায়ক’ সােনার বাংলার চেয়েও বড়াে। গীতবিতানের পংক্তিবিন্যাস অনুসারে সােনার বাংলার পংক্তি সংখ্যা পঁচিশ আর জনগণমনের একত্রিশ। এ ছাড়া এ গানের গােটাটাই গাইতে হবে এমন কোনাে কথা নেই। প্রকৃতপক্ষে, জনগণমনেরও সম্পূর্ণটা গাওয়া হয় না। তদুপরি, সােনার বাংলা জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গৃহীত হলে শেষ স্তবকটি সম্ভবত বর্জন করতে হবে। কারণ এ অংশের ‘আমি পরের ঘরে কিনবাে না আর, মা, তাের ভূষণ বলে গলায় ফাসি’ যে সময়ের প্রেক্ষিতে রচিত, এখন সে প্রাসঙ্গিকতা বর্তমান নেই। বস্তুত, দ্বিতীয় স্তবকের শেষে এসেই থামা যেতে পারে।

এ গানের সুর সম্পর্কে আগেই বলেছি যে, পূর্ব বাংলার নিজস্ব পল্লীগীতির সুরে গান রচিত । পল্লীগীতির সুরেই যথার্থরূপে মাটির স্পর্শ লেগে থাকে। সে সুরে স্থানীয় বৈশিষ্ট্য যতােখানি ওতপ্রােতভাবে জড়িত থাকে, ধার করা অথবা সংস্কৃত কোনাে সুরে তা থাকতে পারে না। সুতরাং মাঠের সুরে হােক অথবা না-ই হােক, সােনার বাংলার সুর বাংলাদেশের বৈশিষ্ট্য অভিষিক্ত আমাদের নিজস্ব সম্পদ। এ বিষয়ে শান্তিদেব ঘােষ যা বলেছেন তা এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য। তিনি বলেছেন, বিশেষ করে পূর্ববঙ্গের বাউলদের এক ধরনের গানের সুরে এ গান রচিত হয়েছে। অন্যত্র তিনি পুনরায় বলেছেন, ‘বাংলার নিজস্ব সুরে রচিত। অন্য কোনােরূপ মিশ্রণ। নেই।’ এগানের সুরের বেশিষ্ট্য সম্পর্কে তার উক্তি-এ সুর— সহজ ও সরল। গুরুগম্ভীর সুরের বা তালের গান এ নয় । এ-সুরে আছে বাঁশির মতাে উদাস-করা ব্যথায়-ভরা একটা আবেগ।’

যে গানটির সুরে (আমি কোথায় পাবাে তারে, আমার মনের মানুষ যেরে) এ গানটি রচিত সে সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং বলেছেন, “গেঁয়াে সুর’ এবং ‘অন্ধকার মাকে দেখতে পাচ্ছে না যে শিশু, তারই কান্নার সুর। | আগেই উল্লিখিত হয়েছে এ গানটি আয়তনে দীর্ঘ। কিন্তু তাই বলে সুরের কাঠামােটা দীর্ঘ নয়। সুতরাং এর সুর শিখে নেওয়া মােটেই কঠিন নয়। অস্থায়ীর পর দ্বিতীয় স্তবকে এসেই এ গানের পরিপূর্ণ রূপটি ফুটে উঠেছে। বাকি তিন স্তবকে দ্বিতীয় স্তবকের সুরই পুনরাবৃত্ত হয়েছে। তাই বলে এ দাবি করবে না যে, এ গান সকলের পক্ষে গাওয়া সম্ভব। বাস্তবিক পক্ষে কোন গানই সকলের পক্ষে গাওয়া সম্ভব নয় । অস্বীকার করবাে না এ গানের স্কেল কিছু দীর্ঘ। খাদের ধৈবত থেকে তারার কোমল গান্ধার পর্যন্ত এর সুরের বিস্তার। কিন্তু সাধারণত দেখা যায়, যারা কখনাে গলা সাধেননি, তারা সাধারণ কথাবার্তায় গান্ধার, মধ্যম ও পঞ্চমের মধ্যে গলা সীমিত রাখেন। এবং আবেগে ভেসে গিয়েও তারা পুরাে একটি সপ্তক গলার ওঠা-নামা করাতে পারবে না। সুতরাং প্রশিক্ষণ ব্যতীত কোনাে গানই করা সম্ভব নয়, সােনার বাংলাও একই কারণে সম্ভব নয়। যে যুক্তি সকল গানের বেলাতেই প্রযােজ্য, তাকে কোনাে একটি গানের বেলাতে উপস্থাপিত করা সমীচীন নয়। | চতুর্থ অব্যক্ত যুক্তিটিই সবচেয়ে গুরুতর এবং বােধ হয় সবচেয়ে প্রবল। আপত্তিটা ঠিক কোনখানে আমি জানিনে। হতে পারে তা রচয়িতার নাম রবীন্দ্রনাথ এ কারণে। অথবা হতে পারে গানে দেশকে ‘মা’ বলা হয়েছে। এ কারণে। এমনকি, “ওমা, তাের চরণেতে দিলেম এই মাথা পেতে দে গাে তাের পায়ের ধুলাে, সে যে আমার মাথার মাণিক হবে।’- এ পংক্তির মধ্যে যে প্রতিমার চিত্রকল্প আছে, হতে পারে আপত্তি সে কারণে। এ আপত্তিগুলাের যৌক্তিকতা নিয়ে আলােচনা করা যেতে পারে। এ গানের রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ, এ যদি আমাদের গর্বের ও আনন্দের কারণ না হয়ে আপত্তির কারণ হয়,  তাহলে আমাদের সেকুলারইজম্ আর বাঙালিত্বের দাবি অর্থহীন হয়ে পড়ে। মানসিকতার এটকু পরিবর্তন না হয়ে থাকলে, আমাদের বরং আইয়ুব-ইয়াহিয়ার রাজত্বে মেবেয় নিঝঞ্জাট তৃপ্ত জীবনই যাপন করা ভালােবড়াে বুলি কপচানাে আর ততােধিক বৃহৎ সংগ্রামে লিপ্ত হয়ে ভিটে মাটি ও আয়েশি-জীবনের স্বাচ্ছন্দ্য ত্যাগ করার মানে হয় না। পাকিস্তান পেয়ে আমরা তাে সকলেই বেশ গুছিয়ে বসেছিলুম। আমাদের পূর্বপুরুষেরা। যা-ই থাকুন না কেন, তাদের আর্থিক অবস্থা যে রকমের হােক না কেন, পশ্চিমারা যতই আপিত্য খাটাক

কেন- আমি তাে ছােটখাটো একটা ব্যবসা ফেঁদে বসেছিলুম, অথবা মাঝারি হােক তবু একটি আমরা সেজে বসেছিলুম, অথবা রাজনীতিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা অর্জন করেছিলুম, পরিবার পরিজন নিয়ে বেশ নিশ্চিন্ত ও ঝামেলা মুক্ত জীবন কাটাচ্ছিলুম। কোথা থেকে আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার আর কালচারের আদর্শ এসে আমাদের। সাজানাে বাগান এলােমেলাে করে দিয়েছিলাে। সে আদর্শ এসে আমাদের কি শুধু নাড়া দিয়েছিলাে? আমরা কি সে আদর্শ স্বীকরণ অথবা আত্মস্থ করতে পারিনি? যে বাঙালী সংস্কৃতির জন্যে আমরা লড়াই করেছি এ যাবৎ, আজ যদি ভেতর থেকে আমরা তার প্রতি বিমুখ হই অথবা প্রসন্ন মনে সায় দিতে না পারি, তাহলে আমাদের বরং পশ্চিমা কর্তাদের ইচ্ছেয় কীর্তন গাওয়ার অঙ্গীকার করে ফিরে যাওয়াই ভালাে।

আমাদের অসাম্প্রদায়িক চরিত্র সম্পর্কে সম্প্রতি আমার যথেষ্ট সন্দেহ হচ্ছে। এ কথা না মেনে উপায় নেই যে, সাহিত্যেই মানুষের কালচারের যথার্থ রূপটি আত্মপ্রকাশ করে। কদিন আগে আমাদের স্বাধীন বাংলা বেতারে একটি গান শুনেছিলুম ‘সােনা, সােনা সােনা, লােকে বলে সােনা, সােনা নয় এত খাটি।’ এ গান সম্ভবত এ বছরেই লেখা হয়েছে। কে এর গীতিকার আমার জানা নেই। কিন্তু তিনি বলতে চান- “আমাদের। 

দেশের মাটি সােনার থেকেও বেশি খাটি।’ আগাগােড়া গানটি শুনে বােঝা যায়, তিনি দেশ বলতে বাংলাদেশের কথা বােঝাতে চান পূর্ব পাকিস্তানের নয়। দেশের মাটির খুঁটির প্রমাণ করতে গিয়ে গীতিকার যুক্তিস্বরূপ বলেছেন, ‘এ মাটির নীচে শুয়ে আছেন বরকত-সালাম-রফিক’- ভাষা আন্দোলনের এসব শহীদরা। বাংলাদেশের জন্মের পেছনে এঁদের অবদান অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু তারপর রচয়িতা আরাে কয়েকটি নামের উল্লেখ করেছেন যথা, তিতুমীর ও ঈশা খা। এঁদের সঙ্গে বাংলাদেশের কী যােগ আমার জানা নেই। তিতুমীরকে তার ইংরেজবিরােধী ভূমিকার জন্যে যদি বা স্বাধীনতা সংগ্রামী বলে চিহ্নিত করা যায়, ঈশা খার নাম আসে কোন্ সূত্রে? বিশেষত, যে গানে বাঘা যতীন, সূর্য সেন প্রমুখের নাম নেই। এঁদের নাম নেই কেন? সে কি অন্তরের অন্তস্থলে আমরা এখনাে সাম্প্রদায়িক বলে?

‘সােনার বাংলা’ নিয়ে সাম্প্রদায়িকতার প্রশ্ন উঠলে তা দুর্ভাগ্যজনক হবে। এ কথা বলবাে না রবীন্দ্রনাথের তাবৎ গান আমাদের বৃহত্তর সমাজের উপযােগী। আর সে বিষয়ে কবি নিজেও সচেতন ছিলেন। দেশমাতার একটি প্রতিমার কল্পনা করে একটি গান লিখে দিতে কবিকে একদা কয়েকজন নেতা অনুরােধ করেছিলেন। নেতাদের ইচ্ছে ছিলাে দুর্গোৎসবের মতাে একটি উৎসবের আয়ােজন করার। রবীন্দ্রনাথের ধর্মমতে সেটা বেধেছিলাে। তিনি লেখেননি। তারপরে এক সময় অয়ি ভুবন মনােমােহিনী গানটি রচনা করেন। এ গান যে, অহিন্দুর পক্ষে পুরােপুরি গ্রহণ করা সম্ভব নয়, সে সম্পর্কে কবি নিজে সচেতন ছিলেন। এ বিষয়ে তিনি পুলিন বিহারী সেনকে একখানি চিঠিতে লেখেন, ‘এ গান পূজামণ্ডপের যােগ্য নয় সে কথা বলা বাহুল্য। অপরপক্ষে, এ কথাও স্বীকার করতে হবে যে, এ গান সর্বজনীন ভারতরাষ্ট্র সভায় গাবার উপযুক্ত নয় কেন না এ কবিতাটি একান্ত ভাবে হিন্দু সংস্কৃতি আশ্রয় করে রচিত। অহিন্দুর পক্ষে এটা সুপরিচিতভাবে মর্মঙ্গম হবে না।’ ‘সােনার বাংলা’ সৌভাগ্যক্রমে সে ধরনের গান নয়। ভুবণ মনােমােহিনী’ গানটিতে কবি দেশমাতার একটি আত্মা অঙ্কন করার চেষ্টা করেছেন, অন্যদিকে সােনার বাংলায় প্রভাতকুমার মুখােপাধ্যায়ের ভাষায়, ‘বঙ্গমাতার সৌন্দর্য বর্ণনা করেছেন।

বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, ‘আমার সােনার বাংলা’ বলে সম্বােধন করে কবি বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের কথাই বলেছেন। বাংলামাতার প্রতিমা আঁকতে চাননি। কেবল শেষ স্তবকে এসে বােধ হয় মায়ের একটি মূর্তি কল্পনা করে কবি বলেছেন, “আমার যা কিছু আছে তােমার পায়ে এনে নিবেদন করতে চাই । তােমাকে প্রণাম করে তােমার পায়ের ধুলাে নিচ্ছি। সে ধুলােই হবে আমার মাথার মানিক।’ কিন্তু আগেই বলেছি, ‘আমি পরের ঘরে কিনব না আর, মা, তাের ভূষণ বলে গলার ফাসি’- পংক্তিটি বর্তমান সময়ের। পরিপ্রেক্ষিতে অবান্তর।

সুতরাং এ পংক্তিটি হয়তাে বর্জন করতে হবে। এবং তেমন অবস্থায় পিউরিটানরা  গােটা স্তবকটি প্রয়ােজন বােধে বর্জন করতে পারেন। কিন্তু তাই বলে এ কথা মনে করা সঙ্গত হবে না যে, এ গান মুসলিম সংস্কৃতির পরিপন্থী। এ-গান রচিত হয় বঙ্গভঙ্গের কালে। তখন সাম্প্রদায়িক নেতারাও হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের জন্যে রীতিমতাে ভাবিত হয়েছিলেন। সেই নেতাদের অনেকরই লক্ষ্য ও আচরণের অসঙ্গতির কথা উল্লেখ করে রবীন্দ্রনাথ একাধিক প্রবন্ধে কঠিন ভৎর্সনা করেছেন। আপনি তিনি সাম্প্রদায়িক হবেন কী করে। প্রকৃতপক্ষে বঙ্গভঙ্গের পটভূমিকায় এ সময়ে তিনি যে গানগুলি রচনা করেন তার সবগুলির মধ্যেই একটা অসাম্প্রদায়িক বাঙালী সংস্কৃতির ও হিন্দু মুসলিম প্রীতির স্বাক্ষর অত্যুজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। প্রসঙ্গত, এ সময়কার গানগুলির একটি তালিকা এ স্থানে উদ্ধৃত করা যেতে পারে। | ‘সােনার বাংলা’ গানটি প্রথমে প্রকাশিত হয়েছিলাে ভাণ্ডার পত্রিকার ১৩১২ সালের ভাদ্র-আশ্বিন সংখ্যায়। একই সঙ্গে যে গানগুলি প্রকাশিত হয়, সেগুলি হলাে ঃ ১ এবার তাের মরাগাঙ্গে বান এসেছে; ২ যদি তাের ডাক শুনে কেউ না আসে; ৩ আজ বাংলাদেশের হৃদয় হতে; ৪ মাকি তুই পরের দ্বারে; ৫ তাের আপন জনে ছাড়বে তােরে; ৬ ছি ছি চোখের জলে ভিজাস নে; ৭ যে তােমায় ছাড়ে ছাড় ক; ৮ যে তােরে পাগল বলে; ৯ ওরে তােরা নেই বা বলিলি কথা; ১০ যদি তাের ভাবনা থাকে; ১১ যদি আপনি অবশ হলি; ১২ জোনাকি কী সখে ওই ডানা দুটি; ১৩ বাংলার মাটি বাংলার জল; ১৪ ওদের বাঁধন যতই শক্ত হবে; এবং  ১৫ বিধির বিধান কাটবে তুমি। | প্রায় একই সময়ে বঙ্গদর্শনের কার্ত্তিক সংখ্যায় যে গানগুলি প্রকাশিত হয়, সেগুলি হলাে ঃ ১ নিশি দিন ভরসা রাখিস; ২ বুক বেঁধে তুই দাড়া দেখি; এবং ৩ আমি ভয় করবাে না। শুধু সােনার বাংলা’ নয় এই কুড়িটি গানের কোনটির মধ্যেই মুসলিম সংস্কৃত বিরােধী পৌত্তলিকতা নেই। রবীন্দ্রনাথ নিজেই পৌত্তলিকতার ঘােরতর বিরােধী ছিলেন। ‘সােনার বাংলা’য় রবীন্দ্রনাথ বাঙালি সংস্কৃতির উদার দৃষ্টান্ত উপস্থাপিত করে বাংলাদেশের জয়ধ্বনি উচ্চারণ করেছেন। আমরাও সেই বাংলার সন্তান। আমরা তাই আমাদের শ্রেষ্ঠ কবির ভাষায় আমাদের মাকে ভালােবাসার কথাটা জানাতে চাই। দেশকে ‘মা’ বলে সম্বােধন করতে আমাদের রাজনীতিক অথবা বেতার কেউ-ই তাে কুণ্ঠিত নন। তারা তাে যখন তখন দেশমাতৃকা’ কথাটি বলেন, তা হলে বাধাটা কোথায়।

২৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

সূত্র:  গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ খন্ড -০৭ , আনন্দবাজার পত্রিকা