শ্রীঅরবিন্দ ও বাংলাদেশ
— ভারত প্রেমিক
সামরিক দৃষ্টিভঙ্গী আর আশু স্বার্থের ঠেলাঠেলির পেছনে রয়েছে শাশ্বত দিকনির্দেশক চিহ্নগুলি। দৃষ্টি থেকে এই চিহ্নগুলি হারানাের অর্থই হচ্ছে পথ হারানাে সামরিক সুযােগ আর স্বচ্ছন্দ আপােষের প্রবল-প্রাচীরের মধ্যে ঢুকে পড়া যেখানে মুহূর্তকাল পরেই নৌকাডুবি ঘটবে। | চোখের সামনে ছােট ছােট যেসব ঘটনা ঘটছে, তার পেছনে রয়েছে ইতিহাসের বৃহত্তর স্রোত। এই স্রোত থেকে সরে যাওয়ার অর্থই হচ্ছে দিকভ্রান্ত হওয়া- যে সােনালী সূতােকে আঁকড়ে ধরে আমরা ব্যক্তিগত হােক কিংবা জাতীয় ক্ষেত্রেই হােক পরম পরিপূর্ণতার স্তরে পৌঁছে যেতে পারি, তাকে হারানাে। ইতিহাসের গােলকধাধার ওপর যারা আপন বৈশিষ্ট্যের ছাপ রেখে গেছেন, তাঁরা সকলেই ঐ সােনালী সূতােকে আঁকড়ে ধরে রেখেছিলেন, তারা বৃহত্তর ইতিহাস আর মহত্তর তাৎপর্যকে সামরিক সুযােগ-সুবিধার সব রকম দাবীর উর্ধ্বে গ্রহণ করেছিলেন। | এই বৃহত্তর ইতিহাস কি বলে? বৃহত্তর ইতিহাস বলে যে, সমগ্র পৃথিবী হচ্ছে একটি একক অস্তিত্ব, তার ভাগ্যও অবিচ্ছেদ্য। কিন্তু ঐ অবিচ্ছেদ্য ভাগ্যের মধ্যে প্রত্যেক অংশের, প্রত্যেক জাতির বিশেষ ভূমিকা এবং কতগুলি বিরল মুহূর্ত রয়েছে যখন তাকে শ্বাশ্বত ইতিহাসের সামগ্রিক গতিধারার মধ্যে চূড়ান্ত ও সৎ প্রয়াসের প্রমাণ তাকে দিতেই হবে। প্রত্যেকেটি দেশ হচ্ছে এক একটি প্রতীক। তার প্রতিটি প্রয়াস হচ্ছে সামগ্রিক বিজয়ের মধ্যে ছােট ছােট জয় কিংবা সামগ্রিক পরাজয়ের মধ্যে ছােট ছােট পরাজয়। এবং কখনাে কখনাে গৃথিবীর সামগ্রিক অস্তিত্বের কোনাে প্রতীক মুহূর্তে আমাদের গােটা ইতিহাসই বিপন্ন হয়ে পড়ে। ভালাের জন্যেই হােক আর খারাপের জন্যেই হােক, ক্ষুদ্র একটি প্রয়াসের প্রতিক্রিয়াও, ডানদিকে কিংবা বাদিকে একটা সামান্য ঝুঁকিও, বহু যুগ ধরে এবং গােটা পৃথিবী ব্যেপে অনুরণিত হয়ে চলে।
ভারত হচ্ছে ঠিক সেইরকম একটি প্রতীক; বাংলাদেশ হচ্ছে আরেকটি। পৃথিবীর চূড়ান্ত ক্রান্তি মুহূর্তের এরা হচ্ছে একটি ক্ষুদ্রতর ক্রান্তিমুহূর্ত। এখন সময় এসেছে দিকনির্দেশক চিহ্নগুলির দিকে তাকাবার, ছােট ছােট ঘূর্ণির মধ্যে বৃহত্তর স্রোতের প্রবাহকে উপলব্ধি করবার। এবং ঐ স্রোত দেখিয়ে দিচ্ছে যে, ভারতের ভূমিকা হচ্ছে পৃথিবীর আত্মিক হৃৎপিণ্ড হিসেবে, যেমন ফ্রান্সের ভূমিকা হচ্ছে স্বচ্ছ বুদ্ধি শক্তিকে প্রকাশ করার, জার্মানীর হচ্ছ দক্ষতার পরিচয় দেবার। রাশিয়ার হচ্ছে মানুষের সঙ্গে মানুষের ভ্রাতৃত্ববােধ স্থাপন করবার আর মারকিন যুক্তরাষ্ট্রের হচ্ছে অভিযান স্পৃহা আর বাস্তব সংগঠনশক্তির প্রমাণ দেবার।
কিন্তু ভারত যদি এক থাকে তাহলেই সে এই ভুমিকা পালন করতে পারে। নিজে বিভক্ত থাকলে সে অন্যকে কি করে নেতৃত্ব দেবে? কাজেই ভারত বিভাগ হচ্ছে পয়লা নম্বর মিথ্যা যা দূর হতেই হবে। কারণ এটা পৃথিবীর বিভাগেরই প্রতীক। যতদিন পর্যন্ত ভারত এক না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত পৃথিবী এক হতে পারে। । ভারতের ঐক্যের সন্ধান পৃথিবীর ঐক্যের সন্ধানেরই একটি প্রতীকী নাটক। এই সহজ শাশ্বত সত্য থেকেই সেই সব নীতির নির্দেশ আমরা পাবাে যা আমাদের পার্থিব ভাগ্যের পরিপূরণে সহায়তা করবে। শ্রী অরবিন্দ ১৯৪৭ সালে ঘােষণা করেছিলেন, “এই দেশ বিভাগকে দূর হতেই হবে এবং দূর হবেই।’ এই শাশ্বত সত্যের নির্দেশ যদি আমরা অনুধাবন করতে না পারি তাহলে তার ফলাফল। শুধু ভারতের পক্ষেই নয়, সমগ্র পৃথিবীর পক্ষেও বিপজ্জনক হবে।
শ্রী অরবিন্দ বলেছিলেনঃ “হিন্দু আর মুসলমানের মধ্যে প্রাচীন সাম্প্রদায়িক বিরাগ মনে হয় এখন দেশের স্থায়ী রাজনৈতিক বিভাগে জমাট বেঁধেছে। আশা করি এই চূড়ান্ত ঘটনাকে চিরকাল চূড়ান্ত বলে কিংবা সাময়িক সুবিধার চাইতে বেশী কিছু বলে গ্রহণ করা হবে না। কারণ এটা যদি স্থায়ী হয় তাহলে ভারত গুরুতর রকমে দুর্বল এমনকি পঙ্গু হয়ে পড়তে পারে ও গৃহবিবাদের সম্ভাবনা সর্বদাই থাকবে, থাকবে এমনকি একটি নতুন আক্রমণের ও বৈদেশিক দখলের সম্ভাবনাও।’ | এই ভবিষ্যদ্বাণীর চব্বিশ বছর পরে এখন আমরা টের পাচ্ছি যে, চীনা ড্রাগন আমাদের দুয়ারে অপেক্ষমান। সে সুযােগের অপেক্ষায় রয়েছে সমগ্র মহাদেশকে গ্রাস করবার জন্যে, ভারতের এই বিভাগের সুযােগ নিয়ে পৃথিবীর আত্মিক মর্মস্থলে আঘাত হানবার জন্যে, এবং সম্ভবত, সমগ্র পৃথিবীর ভাগ্যের পরিপূর্ণতাকে বানচাল করার জন্যে; অন্তত তাকে পিছিয়ে দেবার জন্যে, যতক্ষণ না বহু যন্ত্রণা আর জটিলতার পর একটি ভবিষ্যৎ ঘটনাচক্র তার প্রতিকার করে।
বৃহত্তর ইতিহাস এই কথাই ঘােষণা করছে যে, ভারতকে আবার এক হতেই হবে। ইতিহাসের স্রোত এতই অপ্রতিরােধ্য যে, ভাগ্য ইতিমধ্যেই দুবার ভারতের সামনে তার পুনর্মিলনের সম্ভবনাকে হাজির করেছিল। প্রথম সুযােগ এসেছিল ১৯৬৫ সালে যখন পাকিস্তানের মৃঢ় আক্রমণ ভারতকে পালটা আক্রমণের এবং যুদ্ধকে লাহােরের উকণ্ঠ পর্যন্ত নিয়ে যাবার সুযােগ করে দিয়েছিল। সুযােগ ছিল করাচী পর্যন্ত নিয়ে যাবার, যদি নিজের ভাগ্যকে আঁকড়ে ধরবার মতাে যথেষ্ট সাহস ভারতের থাকত। সেটা ছিল একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবার মুহূর্ত। শ্রীমা দ্বিধাহীনভাবে ঘােষণা করেছিলেন ? ‘ভারত সংগ্রাম করছে সত্যের খাতিরে, সত্যের জয়ের জন্যে ততক্ষণ ভারত আর পাকিস্তান এক না হচ্ছে ততক্ষণ তাকে সংগ্রাম করে যেতে হবে, কেননা, সেটাই তাদের সত্তার নির্দেশ …’ তার বদলে তাসখন্দে আমরা একটি নগণ্য আপােষকে মেনে নিলাম, আর গিয়ে পড়লাম দ্বিতীয় একটি এবং আরাে রক্তাক্ত ও বেদনাদায়ক প্রবালপ্রাচীরে- বাংলাদেশে।
সেখানেও ভাগ্য সবকিছু এমনভাবে ঠিক করে রেখেছিল যাতে ভারত তার উৎপীড়িত ভায়েদের সাহায্যে এগিয়ে যেতে পারে তাড়াতাড়ি। এমন কি জানুয়ারীর বিমান-ছিনতাইয়ের ঘটনাটিও যেন ভাগ্যের দ্বারাই আয়ােজিত ছিল, যাতে হস্তক্ষেপ করতে ভারতের খুব বেশী দেরী না হয়ে যায় কিংবা যাতে হস্তক্ষেপ না করার এবং ভায়েদের হত্যা করার জন্যে খুনী ও অস্ত্রশাস্ত্র নিয়ে মাথার ওপ দিয়ে পাকিস্তানী বিমানকে উড়ে যেতে দেবার লজ্জা থেকে সে রেহাই পায়। কিন্তু এখানেও, বৃহত্তর ইতিহাসের চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করে আমরা এই মুহূর্তের এবং ক্ষুদ্র অদূরদর্শী স্বার্থের দাবিকে মেনে নেওয়াই শ্রেয় বলে মনে করলাম। ফলে এখন আমরা একটি নতুন আপােষের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছি। সেখান থেকে আমরা একটি তৃতীয় প্রবালপ্রাচীরের সামনে গিয়ে পড়ব যা-আরাে বেশি বিপজ্জনক। কারণ যে ভাগ্যের সম্মুখীন হতে ভারত দু’দুবার অস্বীকার করেছে, একদিন আবার তার সম্মুখীন তাকে হতেই হবে। এবং প্রতিবারই অবস্থা হবে আরাে কঠিন, মােকাবিলাটা তার পক্ষে, আর পৃথিবীর পক্ষেও হবে আরাে বিপজ্জনক- এত বিপজ্জনক যে সম্ভবত গােটা পৃথিবীই আরেকটা মহাযুদ্ধে নিমজ্জিত হয়ে পড়বে। অথচ ঠিক সময়ে, ঠিক প্রয়াস দেখিয়ে ন্যূনতম দুর্দশার বিনিময়ে বাংলাদেশ নামক প্রতীক মুহূর্তটিতেই আমরা সমস্ত ব্যাপারটার ফয়সালা করে ফেলতে পারতাম। | বাংলাদেশের ঘটনা যে একটি স্থানীয় ঘটনা নয়, বিশ্ব ঘটনা, এ সম্পর্কে কারাে যেন কোনাে সন্দেহ না থাকে। ভারতের বিভাগ কেবল একটি স্থানীয় দুর্ভাগ্য নয়, একটি পার্থিব মিথ্যা। পৃথিবীর বিভাগ যদি দূর হতে হয়, তাহলে এই বিভাগও দূর হতেই হবে। এবং এখানেও আমরা শ্রী অরবিন্দের কণ্ঠই শুনতে পাই যখন তার দেহত্যাগের ছ’মাস আগে আরেকটি ঘটনা আমাদের সামনে হাজির হয়েছিল- একুশ বছর আগে ১৯৫০ সালে, দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর আক্রমণ। ঐ ঘটনাকে তখন আমরা তেমন গুরুত্ব দেইনি; অনেক দূরের, পৃথিবীর অন্য প্রান্তের একটি স্থানীয় ঘটনা বলেই মনে করেছি। তবু ঐ ক্ষুদ্র কোরীয় প্রতীকের মধ্যেই বাংলাদেশের ক্ষুদ্র প্রতীকের মতাে (কিংবা ১৯৩৮ সালে চেকোশ্লাভাকিয়া) একটি মারাত্মক পদযাত্রার বীজ লুকানাে ছিল, যে পথে পৃথিবী এখনাে চলেছে একটি ভয়াবহ ভাগ্যের দিকে।
“কোরিয়ায় যা ঘটেছে, শ্রী অরবিন্দ লিখেছিলেন, সেটা কমিউনিস্ট পরিকল্পনার প্রথম চাল মাত্র। তারা প্রথমে উত্তরের এই সব অঞ্চলকে প্রভাবিত ও দখল করতে চায়। তারপর দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া। গােটা মহাদেশের ক্ষেত্রে যাতে চাল চালতে পারে সেজন্যেই এই প্রস্তাবনা- যেমন তিব্বতকে তারা পেতে চায় ভারতে প্রবেশের দ্বার হিসেবে।” একুশ বছর পর এখন আমরা দেখছি তিব্বত এবং গােটা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াই কবলিত। ভারতে প্রবেশের দ্বার আক্ষরিক অর্থেই পাকিস্তান নামক মিথ্যার ফলে উন্মুক্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই কিংবা শীগগিরই বাংলাদেশকে শান্ত করবার কাজে ইয়াহিয়া খাকে সাহায্য করার জন্যে চীনারা খুলনায় কলকাতা থেকে মাত্র ১২০ কিলােমিটারের মতাে দূর- হাজির হয়েছে কিংবা হবে। তার ওপারের ঐ কথা গুলির সঙ্গে শ্রী অরবিন্দ পরে যােগ করেছিলেন ও তারা যদি সফল হয়, তাহলে গােটা পৃথিবীর ওপর তাদের প্রভুত্ব কায়েম না হবার কোনাে কারণ নেই,- পায়ে পায়ে তারা এমন এটা জায়গায় পৌছে যাবে যেখানে তাহারা, আমেরিকার সঙ্গে মােকাবিলা করতে প্রস্তুত।’
আমরা এখন এই পর্যায়ে পৌঁছেছি। যা থেকে আমরা পালিয়ে যেতে চাই, সেটাই দশগুণ বেশি শক্তি নিয়ে আবার আমাদের কাছে ফিরে আসছে। রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশের আমাদের ক্ষুদ্র সুযােগ-সন্ধানী অঙ্কের (যা সর্বদাই, ভুল হয়) এদিক-ওদিক নিয়ে মাথা ঘামাবার সময় উত্তীর্ণ হয়ে গেছে।
এখন সময় এসেছে ভারতের বৃহত্তর তাৎপর্যকে বা প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীরই বৃহত্তর তাৎপর্য পুনরাবিষ্কার করার, এবং বিশ্ব জনমতের’ ভূতের ভয়কে দূর করে, আধা-প্রয়াসের দুর্বলতাকে (যা কেবল শত্রুকেই শক্তি যােগায়) বাতিল করে আমাদের ভাগ্যের নিয়ন্তা যে আত্মা তার ওপর আস্থা স্থাপন করার। কাল আমেরিকা। হয়ত চীনা উপস্থিতিকে ঠেকানাের নামে পাকিস্তানকে আবার অর্থনৈতিক সাহায্য দিতে আরম্ভ করবে। আন্তর্জাতিক সমাজের আশীর্বাদপুষ্ট একটি মেকি সরকার বাংলাদেশের হত্যাকাণ্ডের ওপরে প্রলেপ দিয়ে চলে যাবে। কিন্তু ইতিহাসের স্রোতকে কেউ ঠেকাতে পারে না। পরিণামে আমাদের ছােট ছােট আপােষ ভেঙে পড়বেই এবং আমাদের একটি ভয়াবহ পরীক্ষার সম্মুখীন হতেই হবে। আমাদের অতীতের সমস্ত ব্যর্থতা তার তীব্রতার ইন্ধন জোগাবে।
কেবল ভারত নয়, আমেরিকা আর রাশিয়াও যত তাড়াতাড়ি পাকিস্তানের অবাস্তবতা উপলব্ধি করতে পারবে, কি বিরাট ঝুঁকি রয়েছে বুঝতে পারবে, তত তাড়াতাড়ি বিপর্যয়কে রােধ করা সম্ভব- পুরােপুরি এর সুনিশ্চিন্তভাবে অপ্রতিরােধ্য হবার আগেই । একটা বিষয় নিশ্চিন্ত’, শ্রী অরবিন্দ তার দেহত্যাগের কয়েকমাস আগে লিখেছিলেন, ‘সে, যদি খুব বেশী কালহরণ করা হয়, যদি আমেরিকা এখন কোরিয়াকে রক্ষার (আমরা আরেকটু এগিয়ে গিয়ে বলতে, পারি, বাংলাদেশকে রক্ষার) দায়িত্ব পরিত্যাগ করে, তাহলে (এটা ভারতের পক্ষে আরাে বেশি সত্য) সে একের পর এক স্থান ছাড়তে ছাড়তে এমন একটা জায়গায় পৌছতে পারে যখন খুব দেরী হয়ে গেছে। কোনাে না কোনাে সময় তাকে ফিরে দাড়িয়ে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণের আবশ্যকতার দিকে চেয়ে দেখতেই হবে- তাতে যদি যুদ্ধ বাধে তবুও।’ ভারতের যুদ্ধ পৃথিবীরও যুদ্ধ। এইখানেই দুনিয়ার মর্মান্তিক ভাগ্য রচিত হচ্ছে, কিংবা সত্য আর আলােকের এক নতুন জগতে উত্তরণের সম্ভাবনা। কারণ আমরা জানি উজ্জ্বলতম আলাের নিচেই অন্ধকার গভীরতম। শাশ্বত জননীর পদতলে সর্বশেষ অসুরের বিনাশ অবশ্যম্ভাবী।
৮ জুন, ১৯৭১
সূত্র: গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ খন্ড -০৭ , আনন্দবাজার পত্রিকা