চট্টগ্রাম ও চালনার সঙ্গে যােগাযােগ বিপর্যস্ত
স্টাফ রিপাের্টার কলকাতা, ১৬ই অক্টোবর বাংলাদেশে চট্টগ্রাম ও চালনা বন্দর থেকে সড়ক ও রেল যােগাযােগ যে বহুলাংশে বিপর্যস্ত হয়েছে তা জনৈক উচ্চপদস্থ মার্কিণ কর্মচারীর বক্তব্যেও স্বীকৃত হয়েছে। | মার্কিণ সেনেটের শরণার্থী সাবকমিটির ডেপুটি এডমিনস্ট্রেটার মি: মরিস জে উইলিয়ামস এই মাসের গােড়ার দিকে ওয়াশিংটনকে যে বিবৃতি দেন তাতে ঐ প্রসঙ্গের উল্লেখ আছে। তাঁর এই বিবৃতিতে বাংলাদেশে গেরিলা তৎপরতারও কিছুটা স্বীকৃতি পাওয়া যায়।
| মি: উইলিয়ামস বলেছেন, নদীপথে খাদ্য সরবরাহ করার জন্য মার্কিন সরকার ২৬টি জলযান দিয়েছেন। সেগুলিতে এবং ট্রাকে রাষ্ট্রসঙ্, আমেরিকা এবং অন্যান্য দেশের পাঠান খাদ্যদ্রব্য বিভিন্ন জায়গায় পাঠান হচ্ছে । | ঐ জলযান ও ট্রাকগুলি ফেরার পথে যাতে পাট বহন না করে তার জন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘ ও মার্কিণ কর্তৃপক্ষ কড়া নির্দেশ দিয়েছে। গেরিলারা যাতে এই ব্যবস্থাকে সরকারের প্রতি বৈদেশিক মুদ্রার ব্যাপারে মদৎ দেওয়া বলে ব্যাখ্যা করতে না পারে তার জন্যই যে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা মি: ইউলিয়ামসের বিবৃতি থেকে বােঝা যায় ।
ভারতের প্রশংসা। মি: উইলিয়ামস বলেছেন, ভারতে আগত অসংখ্য শরণার্থীর ভরণ পােষণের ব্যবস্থার বেশির ভাগটাই ভারতের বহন করতে হচ্ছে। হাজার হাজার সেবাব্রতীর সাহায্যে ভারত যেভাবে তাদের খাওয়া থাকা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে তা আক্ষরিক অর্থেই চমকপ্রদ‘ বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
আসন্ন শীতের মরশুমের কথা স্মরণ রেখে মার্কিণ সরকার শরণার্থীদের জন্য আপাতত: পঞ্চাশ লক্ষ ডলার দামের কম্বল সংগ্রহ করছেন। | মি: উইলিয়ামসের ঐ বিবৃতির পূর্ণ বয়ান সম্প্রতি এখানে কূটনৈতিক সূত্রে পাওয়া গেছে।
১৭ অক্টোবর ‘৭১
সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা