পূর্ব বাংলার বামপন্থী রাজনীতি
শফিকুল হাসান
সাম্রাজ্যবাদীদের প্ররােচনায় পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান ঘৃণা বিদ্বেষ সন্দেহ ও অবিশ্বাস ১৯৬৫ সালের ছয়ই সেপ্টেম্বর এক আত্মঘাতী অস্ত্র প্রতিযােগিতার রূপ নেয়। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের পদলেহী পাকিস্তান সরকার ‘সিয়াটো’ ‘সেন্টো’ সাম্রাজ্যবাদী সামরিক জোটভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও তাদের স্বীয় স্বার্থের কারণে পাকিস্তানকে সাহায্য করতে তারা অসম্মতি জানায়। তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান চীনের নিকট সাহায্য ভিক্ষা করে এবং আত্মরক্ষার প্রয়ােজনে গণচীনের সঙ্গে রাষ্ট্রগত সম্পর্ক গড়ে তােলার চেষ্টা করে। আইয়ুব সরকারের এই চীন ঘেঁষা নীতিকে ভাসানী ন্যাপে অবস্থানরত চীনপন্থী পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির মােহাম্মদ তােহা, আব্দুল হক, বদরুদ্দিন উমর, আসহাবউদ্দিন,। ইসলাম ও ইন্দু সাহা প্রমুখ নেতৃবর্গ প্রগতিশীল আখ্যা দেন এবং প্রতিকর্মে এ সরকারকে তারা সমর্থন জানাতে থাকেন। যে সরকার দীর্ঘ নয় বছর যাবত (তখনকার সময়ানুযায়ী) সামরিক শাসনের নামে জনগণের ওপর চালিয়েছে শােষণ, নিপীড়ন, অত্যাচার আর নিষ্পেষণ; কেড়ে নিয়েছে জনগণের মৌলিক অধিকার ব্যক্তি স্বাধীনতা বাক্যের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, মতাদর্শের স্বাধীনতা; জনগণের প্রতিটি দাবিকে যে সরকার বুলেট, বেয়নেট ও লাঠি দিয়ে দমিয়ে রেখেছে, শতশত রাজবন্দিদের জেলে পুরে অকথ্য নির্যাতন চালাচ্ছে সে সরকারকে আর যাই হােক প্রগতিশীল বলা যায় কি? প্রতিটি শােষণ নিপীড়নের বিরুদ্ধে; অত্যাচার অবিচারের বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদ সামন্তবাদ ও একচেটিয়া পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে মাওলানা ভাসানী ছিলেন আপােসহীন সংগ্রামের অগ্রনায়ক। ক্ষমতার লােভে নয়, পদের মােহ নয় অত্যাচারী শােষকের বিরুদ্ধে মেহনতি জনগণের পাশে সর্বদাই মাওলানা ভাসানীর এক বিরাট সংগ্রামী নেতৃত্ব ছিল। অত্যাচারী স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকার যতই চীন ঘেঁষা নীতি অবলম্বন করুক না কেন মাওলানা ভাসানী তাকে প্রগতিবাদী বলে স্বীকার করা দূরে থাক, বরং আইয়ুবশাহীর শােষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিয়ে জনগণকে সংগ্রামের পথে আন্দোলনের পথে ঐক্যবদ্ধ করার প্রচেষ্টা চালাতে থাকেন। ফলে ন্যাপে অবস্থানরত কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে মওলানা ভাসানীর নীতিগত বিরােধের সূত্রপাত হয়। আইয়ুব সরকারের মতাে প্রতিক্রিয়াশীল সরকারকে সমর্থন করার ফলে খােদ কমিউনিস্ট পার্টিতে তীব্র মতবিরােধ দেখা দেয়। পার্টির অন্যান্য কমিউনিস্ট নেতা পাবনার মতিন, আলাউদ্দিন এবং চট্টগ্রামের দেবেন শিকদার, আবুল বাসার পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির আইয়ুব সমর্থন ও নিষ্ক্রিয় ভূমিকার তীব্র নিন্দা করেন এবং মাওলানা ভাসানীর সংগ্রামকে সমর্থন জানান এবং তাতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টির মােহাম্মদ তােহা সাহেবরা মওলানা ভাসানী ও অন্যান্য সংগ্রামী কমিউনিস্টদের এ ভূমিকাকে মহান চীন বিরােধী প্রতিক্রিয়াশীল কার্যকলাপ বলে অভিহিত করেন এবং ঐ সকল কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের পার্টি থেকে বহিষ্কার করে দেন। তারা ন্যাপে থেকেও ন্যাপপ্রধান মওলানা ভাসানীর এ সংগ্রামী কার্যকলাপকে নিন্দা করেন এবং ঐ সকল সংগ্রামে অংশগ্রহণে বিরত থাকেন।
মওলানা ভাসানী এবং পার্টি থেকে বহিষ্কৃত সংগ্রামী কমিউনিস্ট কর্মীরা (যারা পরবর্তীকালে পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি গঠন করেন) ১৯৬৯ সালের মার্চ মাসে পাবনার শাহপুরে দু’দিনব্যাপী এক বিরাট কৃষক সম্মেলনের আহ্বান করেন। কৃষক সমিতির সম্পাদক আব্দুল হক এ সম্মেলনের ব্যাপারে সম্পূর্ণ মৌনতা অবলম্বন করেন এবং নানা অজুহাতে সম্মেলনের সাংগঠনিক কাজ থেকে দূরে সরে থাকেন। সম্মেলনের প্রথম দিনেই মওলানা ভাসানীর সমর্থক এবং মাে. তােহা সাহেবের সমর্থকদের পরস্পর বিরােধী স্লোগান ও পাল্টা স্লোগানের পরিণতি হিসেবে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয় এবং দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনের প্রথম দিনেই সমাপ্তি ঘােষণা করা হয়। এ ঘটনার পর মওলানা ভাসানী এবং মােহাম্মদ তােহার সম্পর্ক আরও তিক্ততা লাভ করে। উভয়পক্ষ প্রকাশ্যভাবে পরস্পরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুঁড়ি করতে থাকেন।
এ সময় প্রশাসন ব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে দুর্নীতি প্রবল আকার ধারণ করে। ঘুষখাের অফিসার, সুদখাের মহাজন, মুনাফাকারী মজুরদারী ও চোরাকারবারীদের অত্যাচার জনজীবনে ত্রাসের সৃষ্টি করে। মওলানা ভাসানী ঐ সকল দুর্নীতিবাজদের সতর্ক করে দেন এবং জুন মাসে তাদের বিরুদ্ধে ঘেরাও অভিযান শুরু করেন। পূর্ববাংলার ইতিহাসে ইহা জুন আন্দোলন নামে খ্যাত। এ ঘেরাও আন্দোলনের বিরুদ্ধে মােহাম্মদ তােহা সমালােচনা করেন এবং তাতে অংশগ্রহণে বিরত থাকেন। অন্যদিকে মওলানা ভাসানীও তাঁদেরকে দুর্নীতিবাজদের সমর্থক হিসেবে অভিযুক্ত করেন, ফলে তাঁদের সম্পর্কের আরাে অবনতি ঘটে।
এদিকে আইয়ুব সরকারের স্বৈরাচারী সামরিক শাসনের বেড়াজাল থেকে মুক্তি পাবার জন্য মুক্তিকামী সংগ্রামী জনতা সভা ও শােভাযাত্রা চালাতে থাকেন। এসকল সভা ও শােভাযাত্রায় পুলিশ ও মিলিটারির গুলি চালনার প্রতিবাদে সারা পূর্ব বাংলাব্যাপী জনগণের যে সংগ্রামী চেতনা বৃদ্ধি পায় তার প্রকাশ ঘটে সরাসরি স্বাধীনতা ঘােষণার দাবিতে। ছয় দফার প্রণেতা শেখ মুজিবকে আইয়ুব সরকার বহু পূর্বেই ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি করে সামরিক কারাগারে বিচার চালাতে থাকে। প্রতিক্রিয়াশীল শাসক ও কায়েমী স্বার্থবাদীদের এসব চক্রান্তের বিরুদ্ধে মওলানা ভাসানী সংগ্রামের পথে নেমে আসার জন্য জনগণকে আহ্বান জানান। তাঁর এ আহ্বানে পূর্ব বাংলার কৃষক শ্রমিক ছাত্রজনতা সংগ্রামী ভূমিকা গ্রহণে এগিয়ে আসেন। সকল ছাত্র প্রতিষ্ঠান ঐতিহাসিক এগারাে দফা দাবির ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্টুডেন্টস অ্যাকশন কমিটি গঠন করে এবং স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকারকে উৎখাত করার এক বিপ্লবী ভূমিকা গ্রহণ করে। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জনতা হরতাল, শােভাযাত্রা এবং জনসভা করতে থাকেন। এই জনসভায় পুলিশ ও মিলিটারি গুলি চালালে জনতা আরাে ক্ষিপ্ত হয়ে গ্রাম ও শহরে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পুলিশ, মিলিটারি, সুদখাের, মহাজন, ঘুষখাের অফিসার, দালাল, গরুচোর, বদমাইশদের খতম করতে থাকে।
ঠিক এমনি সময় কোনাে সুসংগঠিত জনগণের রাজনৈতিক পার্টি (কমিউনিস্ট পার্টি) এগিয়ে এসে যদি এ অসংগঠিত বিপ্লবী জনগণকে সংগঠিত করে সশস্ত্র বিপ্লবের পথে পরিচালনা করার মহান দায়িত্ব স্বেচ্ছায় কাঁধে তুলে নিতেন তাহলে পূর্ব বাংলার ইতিহাস নিঃসন্দেহে অন্যভাবে লিখতে হতাে। মােহাম্মদ তােহার বিপ্লবী পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি জনগণকে বিপ্লবের পথে পরিচালনা করার পরিবর্তে সম্পূর্ণ নীরব নিষ্ক্রিয় দর্শকের ভূমিকা গ্রহণ করে। ঠিক এমনি সময় জনগণকে বিপ্লবের পথে পরিচালনা করার মহান দায়িত্ব গ্রহণের উদ্দেশে ভাসানী ন্যাপের অন্যান্য বিপ্লবী কমিউনিস্টরা মতিন, আলাউদ্দিন, দেবেন শিকদার ও আবুল বাসারের নেতৃত্বে কৃষক শ্রমিক ও বিপ্লবী বুদ্ধিজীবীদের সমন্বয়ে গড়ে তােলেন পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি। নবগঠিত এ পার্টি জনগণকে পরিচালনা করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায়। বিশে জানুয়ারি পুলিশের গুলিতে শহীদ হলেন কমরেড আসাদুজ্জামান, শহীদ হলেন রুস্তম, মতিউর আরাে নাম না জানা অনেকে। মওলানা ভাসানী ক্ষিপ্ত জনতাকে যে কোনাে মূল্যে এ সরকারকে প্রতিহত করার আদেশ দেন। বিপ্লবী বীর জনগণ সেদিন সশস্ত্র হয়ে উঠেছিলেন এবং অসীম সাহসিকতার সঙ্গে তারা আক্রমণ করেছিলেন ক্যান্টনমেন্ট। সরকারি দালালদের প্রচার কেন্দ্র, দালাল মন্ত্রীদের বাড়ি, সরকারি অফিস-আদালত, পুলিশ মিলিটারির গাড়ি, শহর গ্রামের থানায় থানায় এ বিপ্লবী জনতা সেদিন করেছিলেন অগ্নিসংযোেগ, শােষণনিপীড়ন থেকে জাতীয় মুক্তির জন্য স্বতঃস্ফূর্ত জনতা সেদিন সর্বাত্মক বিপ্লবী প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন। অবশেষে আতঙ্কগ্রস্ত প্রতিক্রিয়াশীল আইয়ুব সরকার জনগণের শক্তির নিকট আত্মসমর্পণ করে এবং শেখ মুজিবকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। নবগঠিত পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টি তখনাে জনগণকে নেতৃত্ব দেবার মতাে সুসংগঠিত হয়ে উঠতে পারে নি, তাদের এ দুর্বলতার কারণে জনগণের বিপ্লবী নেতৃত্ব শেখ মুজিবের হাতে চলে যায়। কিন্তু শেখ মুজিব তার শ্রেণীগত চরিত্রের জন্যই জনগণের বিপ্লবী চেতনায় আতঙ্কগ্রস্ত হন এবং তাদেরকে ভুলপথে পরিচালনা করার উদ্দেশে আপােস আলােচনায় লিপ্ত হন। ফলে জনগণের বিপ্লবী ভূমিকা ক্রমে ক্রমে স্তিমিত হয়ে আসে। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিষ্ক্রিয় এবং অবিপ্লবী ভূমিকা গ্রহণের ফলে সংগ্রামী জনগণকে বিপ্লবী গণযুদ্ধের পথে নিয়ে যাবার একটা সুবর্ণ সুযোেগ পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টির মােহাম্মদ তােহা সাহেবরা নস্যাত করেছেন।
মওলানা ভাসানী অতঃপর সন্তোষে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় কৃষক সম্মেলনে সি আই এর একটি দলিল সম্পর্কে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেন। সে দলিলে ভারত-পাকিস্তান সরকারের মাঝে কনফেডারেশনের চুক্তিতে দুই বাংলা ও আসামকে নিয়ে নতুন ‘বেংসাম রাষ্ট্রের সৃষ্টি করে মহান চীনের বিরুদ্ধে একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটি সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের কথা লিপিবদ্ধ ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন। দলিলটি তিনি মােহাম্মদ তােহাকে প্রকাশ করার জন্য নির্দেশ দেন। মােহাম্মদ তােহা দলিলকে তথাকথিত দলিল বলে উল্লেখ করেন এবং তা প্রকাশে বিরত থাকেন। পরে তিনি তার নিকট এ দলিলের উপস্থিতি অস্বীকার করেন। এতে উভয়ের মাঝে পরস্পর বিরােধী অভিযােগের বিনিময় হতে থাকে এবং জনগণের মনে মােহাম্মদ তােহার কার্যাবলী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা ও সন্দেহ দানা বেঁধে ওঠে। মওলানা ভাসানী এবং মােহাম্মদ তােহার মাঝে এভাবে যে তিক্ত সম্পর্কের সৃষ্টি হয় তার থেকে অব্যাহতি পাবার জন্যই মােহাম্মদ তােহা তার দীর্ঘদিনের পরিশ্রমে গড়া ন্যাপ, কৃষক সমিতি এবং শ্রমিক ফেডারেশনকে বিপ্লবের পরিপন্থী পাঁতি বুর্জোয়া সংগঠন হিসেবে এবং মওলানা ভাসানীকে বিপ্লব বিরােধী প্রতিক্রিয়াশীল হিসেবে অভিযুক্ত করে ঐসব প্রতিবিপ্লবী গণসংগঠন থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
কিন্তু মােহাম্মদ তােহা সম্পর্কে গণমনে এক তীব্র জিজ্ঞাসা বিরাজ করতে থাকে। কৃষি বিপ্লবের এতবড় একজন বিপ্লবী নেতা (নােয়াখালীতে যাদের পরিবারের তিরিশ হাজার বিঘা জমি আছে) সুদীর্ঘ আট বছর যাবত শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি, ন্যাপের সম্পাদক এবং কৃষক সমিতির গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও সেখানে কৃষকদের সঙ্গে সম্পর্কিত হয়ে বিপ্লবী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করলেন না কেন? এমন সব প্রতিবিপ্লবী কৃষক শ্রমিক সংগঠনগুলােতে দীর্ঘদিন তিনি কেন ছিলেন এবং সেখানে তাঁর মতাে বিরাট বিপ্লবীর কী ভূমিকা ছিল? সকল শ্রমিক কৃষক সংগঠন যে প্রতিক্রিয়াশীল বিপ্লব বিরােধী সংগঠন তা উপলব্ধি করতে মাে. তােহার মতাে বিপ্লবীর এত দীর্ঘ সময় লাগলাে কেন? তিনি কি কোনাে উদ্দেশ্যপ্রণােদিত হয়ে এসব বলছেন? নাকি তােহা সাহেব নিজেই প্রতিবিপ্লবী ইত্যাদি জিজ্ঞাসার ধুম্রজালে জনগণকে ফেলে রেখে মহান বিপ্লবী নেতা তার বিপ্লবী দলবল নিয়ে সকল বিপ্লব বিরােধী প্রতিক্রিয়াশীল সংস্পর্শকে চরম ঘৃণাভরে পরিত্যাগ করেন।
সূত্র: দর্পণ
০৪.০৬.১৯৭১