বাংলাদেশে সংগ্রামের পটভূমি ও গতিপথ
(দর্পণের পর্যবেক্ষক)
বাংলাদেশের রণাঙ্গনের যে সব সংবাদ আমাদের দেশের বড় বড় পত্রিকাগুলােতে সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, তাতে মনে হয় যে, যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায় শেষ হয়েছে। আপাতত বিভিন্ন জেলা শহর ও সামরিক কেন্দ্রে পাকিস্তানি সৈন্যদলের সাময়িক প্রাধান্য বিস্তৃত হয়েছে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত বন্ধ করে দেবার সমস্ত উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
ইতিমধ্যে শেখ মুজিবর রহমানের নামে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়েছে এবং শেখ সাহেবের অনুপস্থিতিতে জনাব নজরুল ইসলাম সরকারের প্রধান বলে ঘােষিত হয়েছেন এবং জনাব তাজুদ্দিন প্রধানমন্ত্রী রূপে তার ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ গ্রহণ করেছেন।
অপরদিকে পরবর্তীকালে এ সংবাদ পাওয়া গেছে যে, বাংলাদেশের যেসব মুক্ত এলাকায় পাকিস্তানি ফৌজ এখনও পদার্পণ করেনি, সে সব জায়গায় স্থানীয়ভাবে জাতীয় মুক্তিফ্রন্ট গঠিত করে সংগ্রাম চালিয়ে যাবার প্রচেষ্টা চলেছে। এই জাতীয় মুক্তিফ্রন্টে আওয়ামী লীগ, জাতীয় আওয়ামী পার্টির উভয় অংশ, কৃষক সমিতি প্রভৃতি সংস্থার অগ্রগামী অংশ ঐক্যবদ্ধ হতে পেরেছেন।
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির মূল্যায়ন ও সম্ভাব্য পরিণতির চিত্রকে বুঝতে হলে সর্বাগ্রে এই জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের চরিত্র সম্পর্কে অবহিত হওয়া প্রয়ােজন। এ কথা বােঝা দরকার বাংলাদেশের বিভিন্ন সামাজিক স্তরের মানুষ কীভাবে এই সংগ্রামকে দেখেছেন এবং কীভাবে তারা এই সংগ্রামে নিজেদের ভাগ্যকে জড়িত করতে পারছেন।
এটা আজ পরিষ্কার যে, বাংলাদেশের সংগ্রাম প্রধানত উনবিংশ শতাব্দীর ঔপনিবেশিক কায়দায় শশাষণের বিরুদ্ধে এবং এর নেতৃত্ব উদীয়মান জাতীয় বুর্জোয়া শ্রেণীর হাতে।
পশ্চিম পাকিস্তানের সঙ্গে পূর্ববঙ্গের জনসাধারণের ধর্ম সম্পর্কীয় বন্ধন ছাড়া আর কোনাে মিল নেই। ভাষা, সংস্কৃতি, জাতীয়তাবােধের প্রতিষ্ঠা ক্ষেত্রে পূর্ববঙ্গের মানুষ পশ্চিম পাকিস্তানের অধিবাসীদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এ কথা মনে রেখেই ১৯৪০ সালের লাহাের প্রস্তাবে মুসলিম লীগ এক বা একাধিক মুসলিম রাষ্ট্র গঠনের কথা বলেছিল।
ইতিহাসের অভিনব পরিহাস যে, পশ্চিম পাকিস্তানের নেতৃবৃন্দ গােড়া থেকেই একাধিক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাবকে আদৌ আমল দিতে চান নি, যদিও লাহাের প্রস্তাবে তারা তার যৌক্তিকতার কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন।
পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময় নবগঠিত রাষ্ট্রের শ্রেণীবিন্যাসের মধ্যেই এই স্ববিরােধিতার কারণ নিহিত।
পাকিস্তান রাষ্ট্র হিসেবে গঠিত হবার সময় নেতৃত্বভার যে মুসলিম লীগের হাতে ছিল, তার কাউন্সিল সদস্যের সংখ্যা ছিল পাঁচশ তিন জন। এর মধ্যে বৃহৎ ভূস্বামী নবাব, জমিদারদের সংখ্যা ছিল একশাে তেষট্টি জন। এঁদের মধ্যে পাঞ্জাবের বৃহৎ ভূস্বামীদের সংখ্যা সর্বাধিক একান্ন জন। এর পরই পূর্ববঙ্গ, উত্তর প্রদেশের ভূস্বামী প্রতিনিধিদের সংখ্যা। কাউন্সিলে সিন্ধু দেশের পঁচিশ জন সদস্যের মধ্যে পনের জনই ছিলেন বৃহৎ ভূস্বামী। সমস্ত ভূস্বামীদের সংখ্যা দেশের জনসাধারণের শতকরা একজন, কিন্তু তারাই দেশের মােট জমির পঁচাত্তর লক্ষ একরের মালিক এবং তাদের সর্বনিম্ন জোতের পরিমাণ পাঁচশাে একরেরও বেশি। অন্যদিকে দেশের জমির উপর নির্ভরশীল বাকি পঁয়ষট্টি শতাংশ লােক পাঁচ একরের চেয়েও কম ছােট ছােট জোতে মােট চুয়াত্তর লক্ষ একর জমির মালিক ছিলেন।
বলা বাহুল্য মুসলিম লীগ কাউন্সিলের এই সামন্তশ্রেণীর প্রাধান্য থেকে নতুন পাকিস্তান রাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় পাওয়া যায়। বৃটিশ আমলের নিয়ম অনুযায়ী এই শ্রেণী থেকেই উচ্চ সামরিক পদে লােক নিয়ােগ করা হত এবং এই সামরিক নেতৃবৃন্দ ভূস্বামী স্বার্থের সঙ্গে ওতপ্রােতভাবে জড়িত।
পশ্চিম পাকিস্তানে যে সব বড় বড় জমিদার ভারত থেকে রিফিউজি হিসেবে আসেন তাদের মধ্যে পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জনাব লিয়াকত আলি খান, জনাব খালিকুজ্জামান, জনাব মহম্মদ ইসমাইল এঁরা ছিলেন পাকিস্তানের প্রথম সারির নেতা।
অন্যদিকে যে সব বৃত্তিজীবী, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি ও ব্যাঙ্কার মুসলিম লীগের নেতৃস্থানীয় ছিলেন তাদের সংখ্যাধিক্য থাকলেও কার্যকরী প্রভাব ভূস্বামী স্বার্থের তুলনায় অনেক কম ছিল। তবু ইস্পাহানী, দাউদ, আবদুল রহমান, হাসেম, কাসেম, দাদা প্রভৃতি বিত্তশালী ধনিকশ্রেণী ভারত থেকে বিত্তবৈভব নিয়ে পাকিস্ত নে চলে যান। নবগঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রে এই জমিদার শিল্পপতি জোট রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
ইতিহাসের ছাত্র মাত্রেই জানেন যে, উনবিংশ শতাব্দীর ঔপনিবেশিক শাসকরা অধীনস্থ দেশগুলাের মধ্যে তাদের নির্ভরযােগ্য এবং চির অনুগত যে শ্রেণীর জন্ম দেয় তারাই হচ্ছে রাজা মহারাজা নবাবদের ভূস্বামী শ্রেণী। জন্ম সূত্রেই এই শ্রেণী বিদেশি সাম্রাজ্য স্বার্থের সমর্থক।
সুতরাং নবগঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রে একদিকে যেমন সাম্রাজ্যবাদী কায়দায় শশাষণের ব্যবস্থা অটুট থাকে, অপরদিকে জমিদার পুঁজিপতি জোটের শাসকশ্রেণী পূর্ববঙ্গের জনসাধারণের ওপর সম্পূর্ণ ঔপনিবেশিক কায়দায় শােষণ কায়েম করে। এভাবে পূর্ববঙ্গের সম্পদ শােষণ করার জন্যে তারা চারটি প্রধান উপায় অবলম্বন করে।
প্রথমত, এটা জানা আছে পূর্ববঙ্গের কৃষিজাত পণ্যের উদ্বৃত্ত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে উদ্বৃত্ত পাওনা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। বিশেষ করে স্বাধীনতার কোরীয় যুদ্ধ ও আন্তর্জাতিক পুনর্গঠন প্রকল্পগুলাের দরুন পূর্ববঙ্গের এই উদ্বৃত্ত বিশাল আকার ধারণ করে। অথচ পশ্চিম পাকিস্তান এই সময় বাণিজ্য ঘাটতি এলাকায় পরিণত হয়। সুতরাং পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের দুটি সম্পূর্ণ আলাদা অর্থনীতিকে এক রাষ্ট্রীয় কাঠামাের মধ্যে আটকে রেখে পশ্চিম পাকিস্তান পূর্ববঙ্গের সমগ্র উদ্বৃত্ত (বিদেশি মুদ্রায় প্রায় পাঁচশ কোটি টাকা) আত্মসাৎ করে এবং আন্তর্জাতিক বিনিময় হারের তারতম্যের সুযােগে আমদানি লাইসেন্স বাবদ আরাে প্রায় আড়াইশাে কোটি টাকা পশ্চিম পাকিস্তান কেড়ে নেয়। | দ্বিতীয়ত, রাজস্ব ও মূলধনী বাজেট বরাদ্দে অসম বণ্টন করে এবং আমলাতান্ত্রিক চাতুরি, অহেতুক বিলম্ব ও প্রকল্প মঞ্জুর করতে গড়িমসি করে কেন্দ্রীয় পাকিস্তানি সরকার পূর্ববঙ্গকে বঞ্চিত করে। একমাত্র রাজস্ব বাজেটে কারচুপি করে প্রতিবছর পূর্ববঙ্গ থেকে একুশ কোটি টাকা পশ্চিম পাকিস্তানে টেনে নেয়া হয়।
তৃতীয়ত, সরকারি প্রকল্পগুলাে সম্পর্কে বিনিয়ােগ হাতবদল করার নীতি কার্যকরী করে পূর্ববঙ্গের অধিকাংশ শিল্প কারখানা পশ্চিম পাকিস্তানি শিল্পপতিদের হাতে তুলে দেয়া হয়। ফলে সরকারি ব্যয় বাবদ যে আয় ও চাকরি সংস্থান ঘটে তার নব্বই শতাংশই পশ্চিম পাকিস্তানিদের ভাগে চলে যায়। সরকারি সামরিক বেসামরিক কাজে এবং পশ্চিম পাকিস্তানি মালিকানাধীন শিল্প ব্যবসায়ও বাঙালিদের আয় ও চাকরি সংস্থানের সম্ভাবনা তিরােহিত হয়।
চতুর্থত, ঔপনিবেশিক কায়দায় পূর্ববঙ্গ থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে আমদানি পণ্যের দাম কমিয়ে এবং পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পূর্ববঙ্গে রপ্তানি পণ্যের দাম চড়িয়ে অসম বাণিজ্যের মারফতে পশ্চিম পাকিস্তান, পূর্ববঙ্গ থেকে ক্রেতাদের পকেট শূন্য করে কোটি কোটি টাকা অতিরিক্ত মুনাফা ঘরে নিয়ে যায়।
ফলে উদীয়মান বাঙালি মধ্যশ্রেণীগুলাে এবং নবীন বুর্জোয়া শ্রেণী তাদের সামনে বিকাশের স্বাভাবিক পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে দেখতে চায়।
স্বভাবতই এই নবীন, উদীয়মান শ্রেণীগুলাে এর থেকে মুক্তির উপায় খুঁজতে থাকে। প্রথম তার প্রকাশ ছাত্র আন্দোলন, কৃষক বিক্ষোভে এবং পরে ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের বিপুল জয়লাভের মধ্যে তা পরিস্ফুট হয়ে ওঠে।
কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানি জমিদার পুঁজিপতি শ্রেণী জানে যে, পূর্ববঙ্গের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ও অন্যান্য ধরনের শােষণজাত মুনাফা বন্ধ হলে পশ্চিম পাকিস্তানে যে শিল্পভিত্তি গড়ে উঠেছে তা ধ্বসে পড়বে এবং নতুন নতুন শিল্প বিকাশের রাস্তা বন্ধ তাে হবেই, এ যাবত প্রতিষ্ঠিত শিল্পগুলাের জন্য একান্ত প্রয়ােজনীয় কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি প্রভৃতি আমদানি করাও তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। তাই তারা খােলাখুলিভাবে সংসদীয় গণতন্ত্র তুলে দিয়ে স্বীয় শ্রেণীর সামরিক নেতত্ব প্রতিষ্ঠা করল।
এ কথা বোেঝা দরকার বর্তমানে পাকিস্তানের যে আর্থিক বুনিয়াদ গড়ে উঠেছে তাতে পশ্চিম পাকিস্তানের প্রাধান্য এমনভাবে বিন্যস্ত যে কোনােরকম সুবিচার করার ইচ্ছে থাকলেও পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের হাতে আর সে সুযােগ নেই। হয়তােবা আর্থিক আয়ের খানিকটা বেশি পূর্ববঙ্গকে তারা দিতে পারেন, কিন্তু শিল্পভিত্তি সংগঠনের দরুণ সবটাই পশ্চিম পাকিস্তানের হাতে গিয়ে জমা হবে। কারণ কাঁচামালের বা যন্ত্রপাতির দরুন আমদানির সিংহভাগ পাবে ইতিপূর্বে স্থাপিত শিল্প প্রতিষ্ঠান, তারাই আবার রপ্তানি বাণিজ্যের পণ্য ও আভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের পণ্য যােগান দেবার ক্ষমতা রাখে। তাই পূর্ব অথবা পশ্চিম পাকিস্তানের উভয় অংশের সমস্ত ব্যয়বরাদ্দ পশ্চিম পাকিস্তানের হাতেই জমা হবে। পাকিস্তানি অর্থনীতির বুনিয়াদ এভাবেই গড়ে তােলা হয়েছে।
সুতরাং পূর্ববঙ্গের বাঙালিদের যদি আত্মবিকাশের পথ খুলে দিতে হয়, যদি তারা চিরস্থায়ীভাবে পশ্চিম পাকিস্তানের ‘জলতােলা কাঠ কুড়ানাের দুঃসহ জীবন-যাপন করতে অনিচ্ছুক হন তাহলে তাদের স্বতন্ত্র, সার্বভৌমত্বের দাবির ওপর দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে হবেই। আজ না পারলেও, একদিন না একদিন ইতিহাস এভাবে তাঁদের কাছ থেকে কঠোর মূল্য আদায় করে নেবেই।
আজ বাংলাদেশের সংগ্রাম তাই একটি জাতীয় মুক্তি সংগ্রাম এবং এই সংগ্রামের নেতৃত্ব উদীয়মান মধ্য শ্রেণী ও জাতীয় বুর্জোয়া শ্রেণীর হাতে ন্যস্ত হয়েছে। অর্থাৎ পশ্চিম পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শােষণ ও বিশ্ব সাম্রাজ্য স্বার্থের শােষণের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণ জাতীয় মুক্তি ও স্বাধীনতার সংগ্রামে লিপ্ত। এ মুক্তিসংগ্রাম সমস্ত স্বাধীনতাকামী মানুষের সমর্থন পাবার যােগ্য।
অন্যদিকে আজকের দিনে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে জাতীয় বুর্জোয়া শ্রেণীর নেতৃত্ব যে চূড়ান্ত জয়ে আস্থাবান নয়, তারা যে আপােসকামী এ কথা পরিষ্কার না থাকলে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামীরা সঙ্কট মুহূর্তে বিহ্বল, হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারেন।
বিশ্বসাম্রাজ্যবাদের পতনের যুগে, যে কোনাে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে শ্রমিক ও গ্রামীণ সর্বহারা শ্রেণীর যৌথ নেতৃত্ব ছাড়া চূড়ান্ত বিজয় অসম্ভব এবং একমাত্র শ্রমিক ও গ্রামীণ কৃষকশ্রেণীর যৌথ নেতৃত্ব পশ্চিম পাকিস্তানের শ্রমিক কৃষক শ্রেণীকে পশ্চিম পাকিস্তানের পুঁজিপতি জমিদার জোটের বিরুদ্ধে মিত্র হিসেবে পাশে পেতে পারে। পশ্চিম পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের সমর্থন বাংলাদেশের জাতীয় মুক্তি সংগ্রামকে দ্রুত বেগবান করতে পারে। তা না হলে শেষ পর্যন্ত বড়জোর একটা জগাখিচুড়ি ধরনের আপােস হতে পারে কিন্তু বাঙালি মধ্যশ্রেণী, জাতীয় বুর্জোয়া এবং শ্রমিক কৃষকের সর্বাঙ্গীন মুক্তি আকাশকুসুম হয়েই থাকবে।
সুতরাং বাংলাদেশের বর্তমান সংগ্রামকে উন্নততর স্তরে নিয়ে যেতে হলে রণনীতি ও রণকৌশলের যথাযথ বিন্যাস করেই এগােতে হবে।
এর জন্যে প্রথম রাজনৈতিক পদক্ষেপ একদলীয় সরকারের পরিবর্তে সর্বদলীয় সরকার গঠন, অবিলম্বে ভূমিসংস্কার কার্যকরী করা ও মেহনতি মানুষকে অনুপ্রাণিত করার দীর্ঘস্থায়ী কর্মনীতি ও রণকৌশল গ্রহণ করা অবিলম্বে প্রয়ােজন।
তাহলেই বাংলাদেশের মানুষ জয়লাভ করবেন সুনিশ্চিতভাবে। কারণ হিটলার থেকে ইয়াহিয়া খান সব ডিক্টেটরই ইতিহাসের আবর্জনা মাত্র আর একমাত্র জনগণই অমর।
সূত্র: দর্পণ
৩০.০৪.১৯৭১