You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.04.16 | বাংলাদেশ বৃহৎ শক্তিবর্গ ও ভারত- রমাপ্রসাদ মল্লিক | দর্পণ - সংগ্রামের নোটবুক

বাংলাদেশ বৃহৎ শক্তিবর্গ ও ভারত
রমাপ্রসাদ মল্লিক

বাংলাদেশ আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের পূর্ণ প্রতিষ্ঠা চায়, স্বাধীন এবং সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের মারফত। কিন্তু আণবিক শক্তিধর বৃহৎ রাষ্ট্রদ্বয়, সােভিয়েত রাশিয়া এবং আমেরিকা ক্ষমতা রাজনীতির কূটনীতির কুটক্রীড়ায় এখনই ক্ষান্ত হবে না; কারণ বিশ্বব্যাপী সামরিক তথা রাজনৈতিক স্বার্থপূর্তির উদ্দেশে তারা ভারত-পাকিস্তান উপমহাদেশের এই সঙ্কট কুটিল পূর্বাঞ্চলে এমন এক শক্তি ভারসাম্য বজায় রাখতে চায়, যাতে ইসলামাবাদ, নতুন দিল্লী এবং ঢাকার কেন্দ্রবিন্দুগুলাের ওপর খাড়া করা অচলায়তনী শক্তিদ্বন্দ্বের ত্রিকোণ পাকিস্তান ভারত এবং বাংলাদেশের জনগণকে সর্বদা বিবাদের টানাপােড়েনে ব্যতিব্যস্ত রাখে এবং তার ফলে আন্তর্জাতিক সম্বন্ধ তথা বিকাশের ক্ষেত্রে কোনাে প্রগতিশীল পদক্ষেপ ফেলতে না দেয়। ভারত সরকারের বর্তমান নীতি এই দুই বিশ্বশক্তির ক্ষমতা রাজনীতির ধারা অনুগামী। ভারতের শাসকদল ইন্দিরাজীর ইন্ডিকেট কংগ্রেস ঐ ধারার বিশ্বস্ত অনুসরণে চলে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না, যা আন্তর্জাতিক স্তরে ঐ দেশের জনগণকে রাষ্ট্ররূপে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথে কার্যকরী সাহায্য দিত।
অথচ ভারতের জাগ্রত জনমতকে শান্ত রাখা দরকার। সে জন্য চাই সুক্ষ্ম ও অভিসন্ধিমূলক প্রচারের ধুম্রজাল বিস্তার। ভারতের পার্লামেন্টে শাসকদলের রচিত প্রস্তাব যাতে বর্তমান দলীয় শক্তির পরিস্থিতিতে বিরােধী দলগুলাের সায় না দিয়ে উপায় ছিল না এবং সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দলের সর্বভারতীয় অধিবেশনে এমনি বিভ্রান্তিকর প্রচারের কাড়ানাকাড়া বাজানাে হয়েছে। ফলে জনগণের মধ্যে মােহ জন্মেছে, যদিও সাময়িকভাবে যে, ভারত সরকার বুঝি প্রকৃতই বাংলাদেশের বর্তমান অস্থায়ী এবং ক্রান্তিকালীন সরকারকে স্বীকৃতি দিতে চায়, বুঝি আন্তর্জাতিক পরিবেশ অনুকূল না হওয়ার দরুন দিতে পারছে না। আসল সত্য কিন্তু সম্পূর্ণ বিপরীত।
বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্ররূপে প্রতিষ্ঠিত দেখা ভারতের অধুনা শাসকশ্রেণীর অভিপ্রেত নয়। এর কারণ—
(এক) যে মৌল নীতির ভিত্তিতে বাংলাদেশের জনতা আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের প্রতিষ্ঠা অর্জন করতে চায় এক স্বাধীন রাষ্ট্রের অস্তিত্বে তার প্রতিক্রিয়া পশ্চিমবঙ্গে যেমন, তেমনি কাশ্মীরেও অনিবার্য! বিশেষত সশস্ত্র সংগ্রামের প্রত্যক্ষ ফল রূপে এই অধিকার বাংলাদেশে অর্জিত হলে ভারতের শাসক শ্রেণী আর একবার আন্তর্জাতিক তথা নৈতিক সঙ্কটে পড়বে, যার সুবিধা পাকিস্তানের সরকারই কেবল নেবে না, শ্রীনগরস্থ কাশ্মীরী জনগণের নেতারা উক্ত আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের প্রয়ােগ দাবি করবে বাংলাদেশের দৃষ্টান্তে উদ্বুদ্ধ হয়ে। বলা বাহুল্য, ভারতের শাসকশ্রেণী কাশ্মীরের জনগণকে উক্ত অধিকারের প্রয়ােগ- যার অনুমতি ১৯৪৮ সালে তদানীন্তন ভারত সরকার দিতে একরকম স্বীকৃত হয়েছিল- থেকে বিরত রাখতে চায়। সম্প্রতি কাশ্মীরের নির্বাচনে তথাকার প্রেবিসিট ফ্রন্টকে আইনের বলে আটকে রেখে ভারত সরকার গণতান্ত্রিক অধিকার হননের যে নমুনা রেখেছে, তাতে ভারতের বর্তমান শাসকদলের পক্ষে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়ে ফের বিশ্বজনমতের কাঠগড়ায় দাঁড়ানাের সম্ভাবনা খুব প্রীতিকর নয়।
(দুই) স্বাধীন বাংলাদেশে আরব্ধ মুক্তিযুদ্ধে গেরিলা সংগ্রামের কৌশল ও পদ্ধতি গৃহীত হয়েছে এবং ক্রমশই তা তীব্র থেকে তীব্রতর পর্যায়ে উখিত হবে। আগামী ক মাসে এই সংগ্রামের ব্যাপকতা ও বিস্তার ভারতের উত্তরপূর্ব অঞ্চলে অর্থাৎ আসাম, নাগাভূমি, মিজোরাম প্রদেশ, মণিপুর, ত্রিপুরা এবং উত্তরবঙ্গ সমেত সমগ্র পশ্চিম বাংলায় অনুভূত হবে, যার তাল সামলাতে হলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক উল্লেখযােগ্য অংশকে এই অঞ্চলে মােতায়েন রাখতে হয়। গেরিলা যুদ্ধের স্বাভাবিক এবং অনিবার্য পরিণতি ক্ষয়ান্তিক চরম লড়াই (War of attrition)। এমনি লড়াইয়ে পাকিস্তানি বাহিনী যতদিন লিপ্ত থাকে এবং যতদিন বাংলাদেশের উদীয়মান বৈপ্লবিক শক্তিদের ধরে রাখতে পারে, ততদিনই ভারতের উচ্চ-ধনিকবর্গ চালিত সরকারের নিশ্বাস নেবার অবসর। বাংলাদেশে গেরিলা সংগ্রাম মারফত নিম্নতম সমাজস্তর থেকে উখিত সর্বহারা কৃষক, শ্রমিক এবং সচেতন যুববৃন্দের বিপ্লবী নেতৃত্ব একবার প্রতিষ্ঠিত হলে, উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্ৰেণীদের মেকি গণতন্ত্রের নাভিশ্বাস উঠবে। সুতরাং এই শক্তিকে ভারতের পূর্ব সীমান্তে জাঁকিয়ে বসতে না দেয়াই অধুনা ভারত সরকারের সঞ্চালক শাসক শ্রেণীর নীতি। এই নীতির আর এক মুখ, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অংশ যাতে অনির্দিষ্টকাল অবধি বাংলাদেশে রাষ্ট্র সংহতি রক্ষার লড়ায়ে আবদ্ধ থেকে যায়, তার ব্যবস্থা করা। পর্যন্ত পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাহৃত হতে বাধ্য হলে যে ক্রোধ এবং হতাশাজনিত বেপরােয়া ভারতবিদ্বেষ পাকিস্তানের শাসকশ্রেণী তৈরি করবে, তাতে ভারতের সেনাবাহিনীর পক্ষে পশ্চিম সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষার দায় ও ঝুঁকি বহুলাংশে বর্ধিত হবে। এ কারণে বর্তমান ভারত সরকারের প্রতিরক্ষা নীতি নির্ণীত হচ্ছে বাংলাদেশে যতদিন সম্ভব এক রাজনৈতিক তথা সামরিক অচলায়তনী অবস্থা বজায় রাখার তাগিদে, রক্তক্ষয়ী ভারসাম্য জিইয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষমতা রাজনীতির সফল প্রয়ােগে। এই ধরনের শক্তি ভারসাম্য জিইয়ে রেখে আন্তর্জাতিক ক্ষমতার ভাবমূর্তি ও প্রভাব বাড়িয়ে তােলা, যুক্তরাষ্ট্রের যেমন, সােভিয়েত রাশিয়ারও বর্তমান পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম নির্ণায়ক সূত্র। ভারতের শাসকশ্রেণী এই বৃহৎ বিশ্বরাষ্ট্র দুটির দ্বারা অনুসৃত বিবাদ বাধানাে ও তার নিষ্পত্তির ছলে বিবদমান ক্ষুদ্র রাষ্ট্রগুলাের মুরুব্বিয়ানা করার রাজনীতিকে মূলত মেনে নিয়েছে মুখে ভারত মহাসাগর অঞ্চলকে ক্ষমতার রাজনীতির প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য যতই মেকি দরদ দেখাক। বিস্ময়ের কথা নয় যে, বাংলাদেশে বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিকায় ভারতের কূটনীতিজ্ঞ দূতরা ওয়াশিংটন এবং মস্কোতে যথাক্রমে নীরব কর্মপদ্ধতি এবং সরব দূতিয়ালীর দ্বারা উক্ত ভারসাম্যের ক্ষেত্র রচনায় উদ্যোগী হয়েছে। লক্ষ্য আর এক তাশখন্দ চুক্তির খসড়া তৈরি করা, যার অনুবদ্ধ শর্তাদির ফাঁসে স্বাধীনতাকামী বাংলাদেশকে পাকিস্তানি রাষ্ট্র ব্যবস্থায় বেঁধে রাখা চলবে, যদিও স্বায়ত্তশাসনের নামে কতগুলাে স্তোক দেয়াও হবে।
জনমত বনাম সামরিক শিল্পতত্ত্ব দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র আমেরিকায় শিল্প মালিক এবং সমাজের সর্বোচ্চ কোটিতে অবস্থিত ধনিকবর্গের সঙ্গে সংযুক্ত সমরনায়করা সারা দেশে যেমন তেমনি রাষ্ট্রযন্ত্রের ওপর খবরদারি প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয় এবং তাদের সম্মিলিত অর্থনৈতিক তথা রাজনৈতিক ক্ষমতা জোটের কায়েমী স্বার্থে স্বদেশে এবং বিদেশে রাষ্ট্রালিকা নীতি নিয়ন্ত্রণ করতে আরম্ভ করে। শিল্পবিকশিত আমেরিকার অনুসরণে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় কতকগুলাে আমেরিকার বশংবদ সরকারের মাথা হয়ে দাঁড়ায়, এমনি শিল্পমালিক তথা সমরনায়কদের আমলাতন্ত্র। উদাহরণত দক্ষিণ ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এবং তাইওয়ান সরকার। পাকিস্তানের শাসকশ্রেণী বহুদিন থেকেই এমনি অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক জোটের কবলিত।
সম্প্রতি কয়েক বছর হলাে ভারতেও এ ধরনের শক্তির সমাহার ঘটেছে। তবে ভারতে জনমত অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি জাগ্রত বলে ভারতের শাসকবর্গ এই বৃহৎ আমলা তথা সেনাবাহিনীর হাইকমান্ড তথা বৃহৎ ব্যবসায়ী ও শিল্প মালিকশ্রেণীর জোট সুচারুকৌশলে গণতান্ত্রিক সমাজবাদের ধোকা চালায়। সে জন্য এদের প্রচারপদ্ধতি আরও সূক্ষ্ম, আরও ধূর্তামিতে ঠাসা, আরও সুদূরপ্রসারী। কিন্তু জোটের কায়েমী স্বার্থ সংরক্ষণের ব্যাপারে এদের রাষ্ট্র-প্রশাসনিক ব্যবস্থা ভয়ঙ্কর স্বৈরাচারী। একের পর এক রাজ্য সরকার উল্টিয়ে ইন্ডিকেট কংগ্রেসের মাধ্যমে শাসকশ্রেণী যে কঠোর গণতান্ত্রিক একনায়কতন্ত্র চালিয়ে চলেছে, কাশ্মীর থেকে পশ্চিম বাংলা পর্যন্ত জনমতের কণ্ঠরােধেই তার প্রমাণ। এ হেন সরকার যখন বাংলাদেশের বহুযুগ শােষিত সর্বহারা কৃষক-শ্রমিক বুদ্ধিজীবীদের মুক্তিযুদ্ধে হঠাৎ নিষ্ঠুর দরদি হয়ে দাঁড়ায়, তখন বুঝতে হবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আপন মুরুব্বিয়ানা বাড়াবার তালেই এই প্রচারমূলক পটভূমিকার রচনা।
প্রসঙ্গত, নেপাে দই মারার মতাে ভারত সরকার চাইছে যত সম্ভব কম-সে-কম ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশে আপন প্রভাবপরিধি বিস্তৃত করতে। সুতরাং প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম সি চাগলা সাহেব বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেবার আবশ্যিক প্রয়ােজনীয়তা সম্বন্ধে যতই সদুপদেশ দিন না কেন, তা বধিরকর্ণে ফেলার মতােই পণ্ডশ্রম হবে। ইসলামাবাদ সরকারও জানে, ভারত সরকাররূপী মমাল্লার দৌড় মস্কোর কোন মসজিদ তক। তাই তারা একনাগাড়ে চুটিয়ে ভারতবিরােধী মিথ্যা প্রচার করে চলেছে এটা ভালােভাবে জেনে যে, ভারত থেকে কোনাে অস্ত্রসম্ভারের সরবরাহ বা সশস্ত্র স্বেচ্ছাসেবকের অনুপ্রবেশ পাকিস্তানে ঘটেনি। অপরপক্ষে তারা ক্রেমলিনের শক্ত মানুষগুলাের ডাণ্ডার শক্তিকে সমীহ করে তাদের আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রনীতি একটু আধটু করে ঘষে মেজে দ্র ও দেখনবাহারি করে তুলছে। উদ্দেশ্য সাধু প্রবঞ্চনা, সন্দেহ নেই।
এম সি চাগলার উক্তি উদ্ধৃতির অবকাশ রাখে। ভারত সরকারকে সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে অনুরােধ করে তিনি বলেছেন যে, বাংলাদেশকে সরকারি স্তরে স্বীকৃতি দেবার বিষয়টি কোনাে আইনগত সূক্ষ্মবিশ্লেষণের ব্যাপার নয়। কারণ রূপে তিনি অকাট্য যুক্তি দর্শিয়েছেন যে, স্বীকৃতি না দিলে নৈতিক সমর্থন ও সমবেদনা প্রকাশও পররাষ্ট্রে হস্তক্ষেপের রূপ পরিগ্রহন করতে পারে, স্বীকৃতি দিলে এ ধরনের কাজ আইনসম্মত পদ্ধতির আশ্রয় পায়। স্বীকৃতি যদি অবিলম্বে না দেয়া হয়, তাহলে ইতিহাস এবং গণতন্ত্রের বিচার এজলাসে আমাদের বিচার হবে; বলা হবে যে, আমরা এক সঙ্কটপূর্ণ মুহূর্তে সময়ের দাবি অনুযায়ী উপযুক্ত সাড়া দিতে পারিনি। এক নিকটতম প্রতিবেশী জাতি হিসেবে ভারতীয়রা আজ বাংলাদেশে সামরিক স্বৈরতন্ত্রের বর্বরতা সম্বন্ধে নিন্দাবাদসূচক প্রস্তাবের এবং বক্তৃতা করার স্তর পেরিয়ে গেছে। এখন এসেছে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণের আহ্বান!
এই কর্তব্যের আশু পালনীয়তা সম্পর্কে কোনাে ভ্রান্তি, ভারত সরকারের প্রচার দুন্দুভি সম্পর্কে কোনাে মােহ থাকা এখন বাস্তবতা বিরােধী কাজ হবে। সুতরাং বিদেশের জননেতাদের মুখাপেক্ষী হয়ে নিশ্চেষ্ট থাকা এই সঙ্গীন মুহূর্তে ভারতের নির্যাতিত শােষিত জনগণের পক্ষে আত্মহত্যার সমতুল্য কুকাজ হবে।
পাকিস্তানের বর্তমান সামরিকতন্ত্রী শাসকগােষ্ঠী মুজিবর রহমানের মতাে উদারপন্থী, মধ্যবিত্তশ্রেণী প্রতিনিধি নেতার সঙ্গে আপােস না করে উপর তাঁকে নিগৃহীত এবং সম্ভবত বন্দি করে বাংলাদেশে জনগণের বিপ্লবী অভ্যুদয়ের পথ পরিষ্কার করে দিয়েছে।
তাদের নির্বুদ্ধিতাকে ধন্যবাদ, সকল প্রকার সাম্রাজ্যবাদ এবং উপনেবিশকতার বিরুদ্ধে স্বাধীনতা ও শশাষণমুক্তির বিপ্লবী সংগ্রাম আজ সাফল্যের দ্বারে উপস্থিত!

সূত্র: দর্পণ
১৬.০৪.১৯৭১