You dont have javascript enabled! Please enable it!

রাজনৈতিক হালচাল

॥ ভাষ্যকার। খুনী ইয়াহিয়ার প্রচার যন্ত্র রেডিও পাকিস্তানের খবরে প্রকাশ যে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর হইতে ঘােষণা করা হইয়াছে; “মানবিকতার খাতিরে পূর্ব পাকিস্তানের (অর্থাৎ অধিকৃত বাংলদেশ) যুক্তরাষ্ট্রের রিলিফ দান অব্যাহত থাকিবে।” | মার্কিনী সাম্রাজ্যবাদীদের মুখে “মানবিকতার” এই বুলি বাংলাদেশের জনগণের প্রতি একটা বিরাট উপহাস মাত্র। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীদের যদি বিন্দুমাত্র “মানবিকতা” বােধ থাকিত, যদি বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উহাদের বিন্দুমাত্র দরদ থাকিত তাহা হইলে তাহারা তাহাদের প্রদত্ত অস্ত্র-শস্ত্র দ্বারা বাংলাদেশে ইয়াহিয়া-চক্রের গণহত্যা রােধ করিত। কিন্তু তাহারা উহা ত করেই নাই, উল্টা সেই খুনীর দলকে আরও

অন্ত্র ও অর্থ দিয়াছে। তাই বাংলাদেশে গণহত্যার জন্য ইয়াহিয়া-চক্র যেমন দোষী, তেমনই দোষী | সাম্রাজ্যবাদীরা। এখন অধিকৃত বাংলাদেশের জনগণের জন্য কিছু রিলিফ দিয়া ও মানবিকতার দোহাই দিয়া মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীরা তাহাদের ঐ অপরাধ ঢাকিতে পারিবে না। | বাংলাদেশের জনগণের প্রতি মার্কিনী সাম্রাজ্যবাদীদের এই দুশমনীর ভূমিকার গােড়াপত্তন হইয়াছিল প্রায় দুই দশক আগে যখন বৃহৎ বুর্জোয়া ও সামন্তবাদীদের স্বার্থের রক্ষক পাক শাসকবর্গ অর্থ ও অস্ত্রের লােভে মার্কিনী সাম্রজা্যবাদীদের দুয়ারে ধরনা দিয়াছিল। এরই ফলশ্রুতিতে ১৯৫৩ সালে স্বাক্ষরিত হইল পাক মার্কিন সামরিক চুক্তি। তখন হইতেই বাংলাদেশ সহ পাকিস্তানের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক জীবনে মার্কিনী | সাম্রাজ্যবাদ শনি হিসাবে দেখা দিয়াছিল। সে সময় হইতেই মার্কিনী সাম্রাজ্যবাদীরা ও পাকিস্তানের | প্রতিক্রিয়াশীলরা নিজেদের শ্রেণী স্বার্থরক্ষার জন্য একযােগে ষড়যন্ত্র করিয়াছে যাতে পাকিস্তানে গণতন্ত্র চালু না হয় এবং স্বৈরতন্ত্র কায়েম থাকে। | এই পটভূমিতেই ১৯৫৪ সনে তখনকার পূর্ব বাংলায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইয়াছিল। শাসকবর্গ ও তাদের মিত্র’ মার্কিনী সাম্রাজ্যবাদীদের আশা ছিল তাদের ভরাডুবি হইবে না, কেননা সে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইয়াছিল সাম্প্রদায়িক পৃথক নির্বাচনের ভিত্তিতে। কিন্তু বিস্ময়কর ভরাডুবি হইল বৃহৎ বুর্জোয়া সামন্তবাদী শােষকচক্রের পদলেহী মুসলিম লীগ দলের। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হইয়া পড়িয়াছিল পাক শাসকবর্গ। কিন্তু 

মাভৈঃ’ বলিয়া আগাইয়া আসিল মার্কিনী সাম্রাজ্যবাদ। সমস্ত কূটনৈতিক শালীনতা বিসর্জন দিয়া পাকিস্তানে মার্কিনী রাষ্ট্রদূত ঘােষণা করিল, পূর্ব বাংলার নির্বাচনের ফলাফলে পাক সরকারের রাজনৈতিক কাঠামােতে কোনও পরিবর্তনের প্রয়ােজন নেই। | যেমন কথা তেমনি কাজ। স্বল্পদিনের আয়ুষ্কালের পরেই মার্কিনীদের পরামর্শে পূর্ব বাংলার যুক্তফ্রন্ট সরকারকে কার্যত বলপ্রয়ােগে ক্ষমতাচ্যুত করা হইল এবং এখানে প্রবর্তিত হইল স্বৈরাচারী গভর্নরী শাসন। গভর্নর হইয়া আসিল পাক সামরিক দপ্তরের সেক্রেটারি ইয়াঙ্কি-ভক্ত কুখ্যাত মেজর জেনারেল ইস্কান্দার মীর্জা এখানে চলিল ব্যাপক সন্ত্রাস এবং প্রচণ্ড আঘাত আসিয়া পড়িল গণতান্ত্রিক সংগ্রামের পথিকৃৎ বাংলাদেশের উপর। প্রকাশ্য প্রমাণিত হইল যে মার্কিনী সাম্রাজ্যবাদীরা আমাদের গণতন্ত্রের পহেলা নম্বর দুশমন। | এর পরে পরেই পাকিস্তান যােগ দিল সেন্টো (তখন ‘মেডাে’) ও সিয়াটোতে। পাকিস্তান সম্পর্কে মার্কিনী সাম্রাজ্যবাদীদের ষড়যন্ত্র তখন ষােলকলায় পূর্ণ হইয়াছিল। | কিন্তু এত করিয়া বাংলাদেশের জনগণকে একেবারে স্তব্ধ করা গেল না, নিশ্চিহ্ন করা গেল না এখানকার গণতান্ত্রিক শক্তিগুলিকে। কিছুদিন পরেই তারা আবার গণতন্ত্র ও স্বায়ত্তশাসন প্রভৃতির দাবি তুলিতে লাগিলেন। জাগরণের ঢেউ পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে হুড়াইয়া পড়িয়াছিল।

এই অবস্থায় জনগণকে ধোকা দেওয়া ও দুনিয়ার দরবারে নিজেদের মান বাচাইবার জন্য শাসকগােষ্ঠী জোড়াতালি দিয়া প্রণয়ন করিল একটা শাসনতন্ত্র-১৯৫৬ সনে অর্থাৎ পাকিস্তানের জন্মের ৯ বৎসর পরে। কিন্তু গােলমাল বাধাইল বাংলাদেশের বেয়াড়া জনগণ। যদিও সেই সময় তদানীন্তন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের গণস্বার্থ বিরােধী কতকগুলি কাজ গণতান্ত্রিক শিবিরে কতকগুলি জটিলতা সৃষ্টি করিয়াছিল কিন্তু বাংলাদেশে হইতেই দাবি উঠিতেছিল যে, নূতন শাসনতন্ত্রের ভিত্তিতে নির্বাচন চাই। পশ্চিম পাকিস্তানের গণতন্ত্রীরাও সেই দাবি তুলিলেন। শাসকগােষ্ঠীর ভিতর কোন্দল হেতু তাদের একটা অংশও ক্ষমতার আশায় নির্বাচনের দাবিকে সমর্থন করিতেছিল। পাকিস্তানের শাসকবর্গের মার্কিনী সাম্রাজ্যবাদীদের সামনে উপস্থিত হইল একটা সমস্যা। পাকিস্তানের নিকটবর্তী মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার কয়েকটি দেশের তদানীন্তন পরিস্থিতিটা ও এই প্রসঙ্গে উল্লেখযােগ্য। মিশরের জনমননন্দিত নেতা নাসের তখন সুয়েজ খাল জাতীয়করণ করিয়া সাম্রাজ্যবাদীদের দম্ভে এক মােক্ষম আঘাত হানিয়াছেন। ইরাকে করিম কাসেমের নেতৃত্বে দেশপ্রেমিক সৈন্যবাহিনী ও জনগণ রাজতন্ত্রকে খতম করিয়া ‘মেডাে’ (এখানকার সেন্টো)-র সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করিয়াছেন। সিংহলে সাধারণ নির্বাচনের জয়ী হইলেন মি, বন্দরনায়েকের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক শক্তি। ভারতে গণতান্ত্রিক শক্তিগুলিও অপ্রতিহত গতিতে আগাইয়া চলিয়াছে এবং নেহেরুর নেতৃত্বে ভারত সরকার তখন দৃঢ়হাতে তুলিয়া ধরিয়াছেন স্বাধীন ও জোট নিরপেক্ষ বৈদেশিক নীতির পতাকা। | দেশ-বিদেশের এই পরিস্থিতিতে রাওয়ালপিন্ডির ছাউনির অভ্যন্তরে দেশী-বিদেশী কায়েমী স্বার্থবাদীদের সলাপরামর্শ শুরু হইল। সিদ্ধান্ত হইল; গণজাগরণকে অগ্রসর হইতে দেওয়া চলে না; নির্বাচনের ঝুঁকি নেওয়া হইবে নির্বুদ্ধিতা। তাই মার্কিনীদের পরামর্শে ১৯৫৮ সনের অক্টোবরে কায়েম হইল সেনাপতি প্রধান আইয়ুব খানের নেতৃত্বে সামরিক জান্তার শাসন। সারা পাকিস্তান জুড়িয়া চলিল সামরিক সন্ত্রাস ও শােষকদের অবাধ লুটের পালা। আবার প্রমাণিত হইল যে মার্কিনী সাম্রাজ্যবাদীরা আমাদের দেশে গণতন্ত্রের টুটি চাপিয়া মারিতে বদ্ধপরিকর। 

এই ঘটনার পর মার্কিনী সাম্রাজ্যবাদীরা আইয়ুব খানের প্রশস্তি গাহিতে শুরু করিল। আইয়ুব খানও তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তীর্থযাত্রায়” (তখন মর্নিং নিউজের বক্তব্য মতে) গিয়া বলিয়া আসিল, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি এশিয়ার কোথাও স্থান না পায় পাকিস্তানে তাদের স্থান হইবে।” সঙ্গে সঙ্গে আইয়ুব খান ডলারের। অনুপ্রবেশের জন্য বাংলাদেশ সহ পাকিস্তানের দ্বার একেবারে খুলিয়া দিয়াছিল। পরে অবশ্য সেই বংশবদ আইয়ুব খানের সাথেও মার্কিনী সাম্রাজ্যবাদীদের কিছু দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হইয়াছিল, চীন-ভারত সংঘর্ষের সুযােগে ঐ সাম্রাজ্যবাদীরা যখন ভারতকে অর্থ ও অস্ত্র সাহায্য দিয়া পক্ষে টানিতে সচেষ্ট হইয়াছিল। সে কথা যাউক। যা বলিতেছিলাম তাহাই বলি। আইয়ুব টিকিতে পারিল না। বাংলাদেশ ও পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণের সম্মিলিত এক গৌরবময় অভ্যুত্থানে আইয়ুব খান ধরাশায়ী হইল ১৯৬৯ সনে। কিন্তু সে স্থলে উদয় হইল ইয়াহিয়ার নেতৃত্বে নূতন করিয়া সামরিক জান্তার শাসন। এরা প্রথমেই সরাসরি দমনের পথ নেয় নাই, নিতে পারে নাই। ১৯৬৯ সনের গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়া এক লােক এক ভােট’ ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠান, পার্লামেন্টারি শাসন প্রতিষ্ঠা প্রভৃতি যে দাবিগুলি অপ্রতিরােধ্য হইয়া উঠিয়াছিল, সেগুলি তারা মানিয়া নেয়। অনুষ্ঠিত হয় পাকিস্তানের প্রথম সাধারণ নির্বাচন। তখনও তাদের আশা ছিল হয়ত তাদের সহযােগী ও অনুগতরা নির্বাচনে জিতিবে। কিন্তু তাদের সে সব আশা ভণ্ডুল করিয়া দিলেন বাংলাদেশের জনগণ। নির্বাচনে বিজয়ী হইল জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক শক্তি, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাইল আওয়ামী লীগ। সম্ভাবনা উদয় হইল গণতন্ত্র চালু হওয়ার এবং বাঙালি ও অন্যান্য জাতির স্বায়ত্তশাসন লাভের। | কিন্তু, এটা মার্কিনী সাম্রাজ্যবাদীদের অভিপ্রেত নয়। এটা পাকিস্তানের ২২টি একচেটিয়া পরিবার ও বৃহৎ সামন্তবাদীদের দুই চোখের বিষ। সুতরাং, নির্বাচনের গণ-রায়কে বানচাল করার গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হইল। ইহারই বর্বর প্রকাশ ঘটিল ২৫শে মার্চ মধ্যরাত্রি হইতে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে, নজির-হীন গণহত্যা ও পাশবিকতায়। কিন্তু এখানে আবার দেখা দিয়াছে এক প্রকট সমস্যা। পাক শাসকবর্গের সশস্ত্র হামলার বিরুদ্ধে জাগিয়া উঠিয়াছে বাংলাদেশের জনগণের সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রাম, জন্ম নিয়াছে মুক্তিবাহিনী ও গেরিলা বাহিনী। পাক শাসকবর্গ পড়িয়াছে এক মরণ সংকটে।

তাই তাদের সাহায্যে আবার আগাইয়া আসিয়াছে মার্কিনী সাম্রাজ্যবাদ অন্ত্র ও অর্থ সাহায্য নিয়া। কিন্তু, মার্কিনী সাম্রাজ্যবাদ পাকিস্তানের শাসকবর্গকে এই সাহায্য দিতেছে কেন? ব্যাপারটা বােঝার জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর কালে সাম্রাজ্যবাদীদের ঔপনিবেশিক লুণ্ঠনের নয়াকৌশলটা বােঝা দরকার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে দুনিয়াতে বিশাল শক্তিধর সমাজতান্ত্রিক শিবিরের অ্যুত্থান, এশিয়াআফ্রিকা-লাতিন আমেরিকাতে গণ-জাগরণের দুর্বার তরঙ্গ, বহু ঔপনিবেশিক দেশের স্বাধীনতা অর্জন, সাম্রাজ্যবাদীদের ঔপনিবেশিক ব্যবস্থার দ্রুত ভাঙন প্রভৃতির পটভূমিতে সাম্রাজাদীরাও তাহাদের ঔপনিবেশিক লুণ্ঠন চালাইবার জন্য নূতন কৌশল অবলম্বন করিয়াছে। এখনও তারা সাহায্য’ প্রভৃতির নামে সদ্য-স্বাধীন বহু দেশে পুঁজি রপ্তানি করে কিন্তু, সে সব দেশে তারা নিজেদের সরাসরি শাসন কায়েম করে । যে-সব দক্ষিণপন্থীরা ক্ষমতায় রহিয়াছে, তাদের সাহায্যের প্রলােভনে হাত করিয়া তাদের মারফত সাম্রাজ্যবাদীরা ঐ সব দেশে নিজেদের পুঁজি ও মুনাফা রক্ষায় সচেষ্ট থাকে। ঐ সব দেশের দক্ষিণপন্থীরাও নিজেদের সংকীর্ণ শ্রেণী স্বার্থে সাম্রাজ্যবাদীদেরে সাহায্য নেয়, ওদের সঙ্গে সহযােগিতা করে। | পাকিস্তানেও মার্কিনী সামাজ্যবাদীরা ঐ কৌশল অবলম্বন করিয়াছে। পাক শাসকবর্গ সব সময়ই সাম্রাজ্যবাদ ঘেঁষা। ১৯৫৩ সন হইতে এই শাসকবর্গ ডলার ও অস্ত্র সাহায্যের লােভে মার্কিনী সাম্রাজ্যবাদীদের নির্লজ্জ সহযােগিতা শুরু করে। তখন হইতে ১৯৬৯ সন পর্যন্ত মার্কিনী সাম্রাজ্যবাদীরা ‘সাহায্য’ ঋণ, পণ্য-সাহায্য প্রভৃতি মারফত প্রায় ২৫০০ কোটি টাকার পুঁজি বাংলাদেশ সহ পাকিস্তানে বিনিয়ােগ করিয়াছে। এর উপর মার্কিনী সাম্রাজ্যবাদীরা যে গম সাহায্য দিয়াছে তার টাকাটা ধরিলে ঐ পুঁজির পরিমাণ হইবে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। মার্কিনী সাম্রাজ্যবাদীরা যে ঋণ দিয়াছে, শুধু তার সুদ বাবদই তারা বাংলাদেশ ও পশ্চিম পাকিস্তান হইতে বৎসরে প্রায় ১০০ কোটি টাকা লুটিয়া নেয়। তা ছাড়া তারা যে ঋণ প্রভৃতি দেয়, সেগুলির সাথে এই শর্তও থাকে যে ঐ অর্থ দ্বারা পাক শাসকবর্গকে মার্কিনী পণ্য ক্রয় করিতে হইবে, যদিও মার্কিনী পণ্যের দাম দুনিয়ার অন্যান্য দেশের পণ্যের চাইতে শতকরা ৩০/৪০ টাকা বেশি। অর্থাৎ, ঐ সব ঋণ দ্বারা বাংলদেশে ও পশ্চিম পাকিস্তানকে মার্কিনী পণ্যের লুটের বাজারে পরিণত করা হইয়াছে। বস্তুত পাক-শাসকবর্গের দৌলতে বাংলাদেশ ও পশ্চিম পাকিস্তান মার্কিনী-সাম্রাজ্যবাদের নয়াঔপনিবেশিক শােষণের জালে আবদ্ধ হইয়াছে। এই নয়া-ঔপনিবেশিক শশাষণ রক্ষার জন্য মার্কিনী   সাম্রাজ্যবাদ সব সময় তাদের মিত্র’ পাক শাসকবর্গকে সাহায্য করিতেছে। সেই উদ্দেশ্য তারা বারবার আমাদের দেশে গণতন্ত্রকে জবেহ করিয়াছে এবং আজ খুনী ইয়াহিয়া-চক্রকে অস্ত্র-শস্ত্র দিতেছে। মার্কিনী সাম্রাজ্যবাদ আমাদের মুক্তি সংগ্রামের জানী দুশমন।

মুক্তিযুদ্ধ। ১:৯। ৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭১

সূত্র : গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ – খন্ড – ১০

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!