You dont have javascript enabled! Please enable it!

সংবাদ
২৭শে জুলাই ১৯৫৮
বিনা বিচারে আটক অর্ডিন্যান্স বাতিল করঃ সংগ্রামলব্ধ ব্যক্তিস্বাধীনতা অক্ষয় হােক
সমগ্ৰ পুৰ্ব্ব পাকিস্তানের বজ্রধ্বনিঃ স্বৈরাচারী প্রতিরােধের জন্য নেতৃবৃন্দের আহবান
অবিলম্বে প্রদেশে পার্লামেন্টারী সরকারের পুনৰ্ব্বহাল দাবী

শেখ মুজিবুর
পুর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান পুৰ্ব্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের ইউনিট সমূহকে ১ লা আগস্ট নিবর্তনমূলক আটক অর্ডিন্যান্স বিরােধী দিবস পালনের আহবান জানাইয়া এক বিবৃতিতে বলেনঃ
অতি শীঘ্রই ১৯৩ ধারা প্রত্যাহৃত হইয়া প্রদেশে পার্লামেন্টারী সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার পরিপ্রেক্ষিতে গভর্ণর কর্তৃক দমনমূলক আটক অর্ডিন্যান্স জারীতে আমরা বিস্ময়ায়িত হইয়াছি। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা অপেক্ষা কায়েমী সার্থ সংরক্ষণের খাতিরে অতীতে বহুবার কালাকানুন ব্যবহৃত হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এইরূপ একটি আইন কার্যকরী রহিয়াছে তদসত্ত্বেও ইহা আমি বুঝিতে পারিতেছি না দেশে এমন কি অবস্থার সৃষ্টি হইয়াছে যাহার জন্য এই অর্ডিন্যান্স জারী করা আবশ্যক হইল? এই রূপ মনে করিবার যথেষ্ট কারণ রহিয়াছে যে, করাচীর কুচক্রী মহল পুৰ্ব্ব পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সুষ্ঠ ও কার্যকারীতা দমন করিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সেই জন্যও সংখ্যাগরিষ্ঠ নিৰ্বাচিত জনপ্রতিনিধিবর্গকে অগ্রাহ্য করিয়া প্রদেশে ৯৩ ধারা জারী করিয়াছেন এবং এখন মৌলিক নাগরিক অধিকার হরণ করিয়া প্রেসিডেন্ট শাসনের আড়ালে এই অর্ডিন্যান্স জারি করিয়াছেন। আমি কি জিজ্ঞাসা করিতে পারি এই অর্ডিন্যান্সের অবর্তমানে দেশে এমন কি মারাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হইয়াছে? তীব্র ভাষায় আমি ইহার নিন্দা না করিয়া পারি না। জনসাধারণ ইহাকে হীন উদ্দেশ্য প্রণােদিত বলিয়াই মনে করে। মুসলীম লীগ আমলের ঘূণ্য দমনমূলক ব্যবস্থা আজও আমাদের স্মৃতিতে জাগরুক। উপরােক্ত পরিস্থিতিতে পুৰ্ব্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সকল ইউনিটগুলিকে আমি ১লা আগস্ট সভা ও শােভাযাত্রা অনুষ্ঠান করিয়া নিবর্তনমূলক আটক বিরােধী দিবসরূপে পালনের আহবান জানাইতেছি।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!