দৈনিক ইত্তেফাক
২৭শে অক্টোবর ১৯৫৭
ওহিদুজ্জামানের প্রতি পাল্টা চ্যালেঞ্জ
শেখ মুজিবুর কর্তৃক নির্বাচনে অবতীর্ণ হওয়ার আহ্বান
এ, পি, পি পরিবেশিত সংবাদে বলা হইয়াছে যে, প্রাদেশিক আওয়ামী লীগের জেনারেল সেক্রেটারী শেখ মুজিবুর রহমান গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, অদ্যকার‘আজাদ পত্রিকায় প্রকাশিত গােপালগঞ্জে জনাব ওয়াহিদুজ্জামানের একটি হাস্যকর বিবৃতির প্রতি আমার দৃষ্টি আকৃষ্ট হইয়াছে।
“জনাব জামান তাহার সহিত নির্বাচন-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হওয়ার জন্য আমাকে চ্যালেঞ্জ দিয়াছেন। এই সেদিন সাধারণ নির্বাচনে আমার নিকট পরাজিত হওয়ার পরও কোন লজ্জায় আমাকে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যপদে ইস্তাফা দিয়া পৃথক বনাম যুক্ত নির্বাচনের ইস্যুতে তাহার সহিত নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হইতে বলেন? বরং তিনি তাঁহার নেতা জনাব নূরুল আমীন বা অন্য কোন মুসলিম লীগ নেতাকে পূর্ব পাকিস্তানের আসন্ন যে-কোন উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সহিত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিতে বলুন।“সকলেই-বিশেষ করিয়া গােপালগঞ্জবাসী জনাব জামানের রীতি-প্রকৃতি জানে। নির্বাচনে আমার কাছে পরাজিত হইলে তিনি তাঁহার স্ত্রী, ভ্রাতা, ভৃত্য, গৃহশিক্ষক প্রভৃতির নামে রাখা অসদুপায়ে অর্জিত সকল অর্থ জনসাধারণের মধ্যে বাটিয়া দিতে রাজী আছেন? অথবা তিনি কি আমার নিকট নির্বাচনে পরাজিত হইলে তাহার করাচীর মনিবদের বা লীগ নেতাদের জাতীয় পরিষদে পৃথক নির্বাচনী বিল উত্থাপন না করিতে রাজী করিতে পারিবেন? আমি পরাজিত হইলে আমার পার্টি পৃথক নির্বাচনী বিলে আপত্তি দিবে না।
“আমি কেন গােপালগঞ্জের যে-কোন আওয়ামী লীগ কর্মীই তাঁহাকে আগামী সাধারণ নির্বাচনে হারাইয়া দিবে। জনসাধারণ জানে, গত নির্বাচনে আমার সহিত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিতে যাইয়া তিনি লাখ লাখ টাকা খরচ করিয়াও পরাজিত হন।