You dont have javascript enabled! Please enable it! 1957.01.27 | ৭ই ফেব্রুয়ারী কাগমারীতে আওয়ামী লীগ কাউন্সিল অধিবেশন পররাষ্ট্র ও আভ্যন্তরীণ নীতি সম্পর্কে সুদূরপ্রসারী সিদ্ধান্ত গ্রহণের সম্ভাবনা | সংবাদ - সংগ্রামের নোটবুক

সংবাদ
২৭শে জানুয়ারি ১৯৫৭
৭ই ফেব্রুয়ারী কাগমারীতে আওয়ামী লীগ কাউন্সিল অধিবেশন
পররাষ্ট্র ও আভ্যন্তরীণ নীতি সম্পর্কে সুদূরপ্রসারী সিদ্ধান্ত গ্রহণের সম্ভাবনা

স্টাফ রিপাের্টার
আগামী ৭ই ও ৮ই ফেব্রুয়ারী সন্তোষ-কাগমারীতে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হইবে। নানাবিধ কারণে এই কাউন্সিল অধিবেশন পূর্ব পাকিস্তান তথা সারা পাকিস্তানের পক্ষে সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সম্মেলনে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে আলােচনা হইবে। উক্ত আলােচনার ফলাফল পাকিস্তানের পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তার করিবে। এতদ্ব্যতীত এশিয়া-আফ্রিকার মুক্তি সাধন, পূৰ্ব্ব পাকিস্তানের আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন এবং ২১-দফা দাবী আদায়ের জন্য ব্যাপক গণঐক্যের কর্মসূচী গৃহীত হইবে। এই অধিবেশন সম্পর্কে চট্টগ্রাম হইতে প্রেরিত একটি ঘােষণায় মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী জানাইয়াছেন যে, আগামী ৬ই ফ্রেব্রুয়ারী তারিখে সন্তোষকাগমারীতে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের প্রাদেশিক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ৭ই এবং ৮ই ফেব্রুয়ারী আওয়ামী লীগ কাউন্সিলও ৯, ১০ এবং ১১ই ফেব্রুয়ারী সাংস্কৃতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হইবে। এতদুপলক্ষে প্রচারিত একটি আবেদন মওলানা সাহেব পূৰ্ব্ব পাকিস্তানের জন্য আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন, ঐতিহাসিক ২১ দফা দাবী আদায় ব্যাপক জন-ঐক্য সাম্রাজ্যবাদের কবল হইতে দক্ষিণ আফ্রিকার মুক্তি এশিয়া আফ্রিকার মুক্তিসাধন এবং পূর্ব বাংলার ৬০ হাজার গ্রামে আওয়ামী লীগ সংগঠন গড়ার কর্মসূচী “দেশের ডাক ” রূপে অভিহিত করেন। টাঙ্গাইল হইতে প্রচারিত অপর একটি আবেদনে মাওলানা সাহেব দেশের বহুবিধ সমস্যা সমাধানের উপায় উদ্ভাবনের জন্য কাগমারী সম্মেলন আহূত হইয়াছে বলিয়া মন্তব্য করেন।
পাক-ভারতীয় উপমহাদেশের যে সমস্যাটি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক কর্মীদের ব্ৰিত করিয়াছে পূর্ব পকিস্তান আওয়ামী লীগকে বর্তমানে উহারই মােকাবেলা করিতে হইবে। শাসনভার গ্রহণের পর সরকার গঠনকারি রাজনৈতিক দলই সরকার পরিচালনা করিবে না কি সরকারি নেতৃত্বই তাহার রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানকে পরিচালিত করতে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগকে বর্তমানে এই সমস্যার সুরাহা করিতে হইবে। আওয়ামী লীগ মহল মনে করেন যে, তাহারা এই সমস্যাটির সন্তোষজনকভাবে সমাধান করিতে সমর্থ হইবেন।
জানা গিয়াছে যে, কর্মী সম্মেলনে সরকার ও আওয়ামী লীগের মধ্যে উচ্চতর পারস্পরিক সহযােগিতা ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক প্রশ্নাদি আলােচনা হইবে। পূৰ্ব্ব পাকিস্তানের আওয়ামী লীগ সম্পাদক শেখ মুজিবর রহমান গতকল্য (বৃহস্পতিবার) জনগণের জ্ঞাতার্থে কাগমারী সম্মেলনের কর্মসূচী প্রকাশ করেন। কাউন্সিল অধিবেশনে উত্থাপনের জন্য ৩১শে জানুয়ারি পর্যন্ত প্রস্তাবাদি প্রাদেশিক আওয়ামী লীগ অফিসে দাখিল করা যাইবে বলিয়া জনাব রহমানের ঘােষণায় জানা যায়। প্রকাশ, ১লা ফেব্রুয়ারি হইতে কাগমারীতে প্রাদেশিক আওয়ামী লীগ অফিস চালু করা হইবে।
আওয়ামী লীগের কাউন্সিল সভ্য এবং সম্মেলনে যােগদানকারী কর্মীদের যাতায়াতের জন্য বিশেষ কনসেশনের ব্যবস্থা করা হইয়াছে।