দি স্টেটসম্যান, ৪ঠা ডিসেম্বর;১৯৭১
পকিস্তান ভারতের উপর পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে !
“আমাদেরকে দীর্ঘ মেয়াদী ত্যাগ স্বীকার করতঃ প্রস্তুতি নিতেই হবে “:মিসেস গান্ধী
নয়া দিল্লী, ৩রা ডিসেম্বর : মধ্যরাতের খানিকটা পরের এক খবরে উল্লিখিত হয় যে ,প্রধান মন্ত্রী মিসেস ইন্দিরাগান্ধী বলেছেন ; আজ বিকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে পাকিস্তান, ভারতের উপর এক পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে – রিপোর্ট পি.টি.আই. ।
তিনি আরও বলেন যে , এখন যুদ্ধ ছাড়া আমাদের আর অন্য কোনই বিকল্প নাই । সমস্ত দেশব্যাপী জরুরী অবস্থা ঘোষণা করতঃ সকল প্রকার প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে ।
আমাদেরকে দীর্ঘ কালীন কষ্ট স্বীকার ও সকল প্রকার আত্ন বলিদানের জন্যও প্রস্তুত থাকতে হবে !
প্রধান মন্ত্রী তীব্র কণ্ঠে বলেন , পাকিস্তানের অনর্থক উচ্ছৃঙ্খল আচরণের আক্রমণকে সময় মত সংকল্পিতভাবে প্রতিহত করা হবে ।
ভারত শৃঙ্খলা বজায় রেখে বীরত্বের সাথে নজিরবিহীনভাবে একতাবদ্ধ হয়ে এই আগ্রাসনের উপযুক্ত জবাব দিবে। বাংলাদেশের যুদ্ধ এখন ভারতের নিজস্ব যুদ্ধে মোড় নিয়েছে বলে তিনি বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন – “আমাদের জীবনযাত্রার ধরন , স্বাধীনতা আর গণতন্ত্র রক্ষা না করতে পারলে শান্তি রক্ষিত হবে না । তাই আমরা শুধু আমাদের একমাত্র অবস্থানিক অখণ্ডতার জন্যই যুদ্ধ করছি না । আমাদের মৌলিক নীতিমালা যা এই দেশকে শক্তিশালী করে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে , সেই জন্যই এই যুদ্ধ ।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষনে আরও বলেন যে -“আমি আমাদের দেশ ও জাতির সংকটময় মুহূর্তে আপনাদেরকে অবগত করিয়ে দিচ্ছি যে , শুক্রবার , মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে, সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা নাগাদ পকিস্তান পুরোদ্দমে আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছে ! পাকিস্তানের বিমানবাহিনী আমাদের অমৃতাশ্বর , পাঠানকোট , শ্রীনগর , আভন্তীপুর , উত্তরলাই , যৌধপুর , আম্বালা ও আগ্রার বিমানঘাঁটিতে অতর্কিত আক্রমণ করেছে । সোলেমানকী , খেমকরন , পূঞ্চ এবং অন্যান্য ঘাঁটিতে আমাদের প্রতিরক্ষাকারী অবস্থানের উপর তারা গুলি চালায়” ।
এর পূর্বে কোলকাতার প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত লাখ লাখ লোকের সমবেত সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন , কিছু কিছু বিদেশী শক্তি ভারত-পাকিস্তানের এই দ্বন্দকে আরও বিষাক্ত করে তুলেছে । ভারত সংকল্পের সাথে , দেশের স্বার্থে এই দ্বন্দ প্রতিহত করবে বলে তিনি পুনঃ ব্যক্ত করেন; বলেও সাংবাদিকরা জনান ।
যে পরাশক্তিরা গোপনে পাকিস্তানকে ভারতের বিরুদ্ধে সহানুভূতি দেখিয়েছে , তাদেরকে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে , স্বাধীনতার পূর্বে , এমনকি আজ হতে পাঁচ বছর আগের ভারতও আজ সেই ভারত নেই ।
আজ দেশ ও জাতি তার সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যত ঘর্ম ও রক্ত দেবার প্রয়োজন তজ্জন্য সার্বিকভাবে প্রস্তুত” ।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনে চারিদিকে জয়জয়কার পড়ে ও তাঁকে ভীষণ বড় রকমের সাদর সম্ভাষণ দেয়া হয় ।
দিল্লী যাত্রার প্রাক্কালে পশ্চিম বঙ্গের রাজ্যপাল , মুখ্যসচিব , লেখক , শিল্পী , কলাকুশলী ও গুরত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সাথেও তিনি পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ আলোচনা করেন ।
জনাব আবদুস সাত্তারের সভাপতিত্বে , অধুনা বছরগুলির সবচাইতে বড় এই সভার আয়োজন করে পশ্চিমবঙ্গ প্রাদেশিক কংগ্রেস(ডানপন্হী ) । দুইশতেরও বেশী দেশী বিদেশী সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে , বার ফুট উঁচু বক্তৃতা মঞ্চে দাঁড়িয়ে ছাপার শাড়ী পরিহিতা প্রধানমন্ত্রী বিপুল জনতাকে উদ্দেশ্য করে তাঁর বক্তব্য রাখেন ।
মিসেস গান্ধী মঞ্চে উঠতেই উপস্থিত জনতা আন্তরিক হর্ষধ্বনি করে উঠে । ডানপন্হী কংগ্রেস সম্পৃক্ত দলগুলো তাঁকে অঝোরে ফুল মাল্যে ভূষিত করে । এই সময় হেমন্ত মুখার্জী ও নামীদামী শিল্পীরা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে সভাটিকে সময়োপযোগী করে তোলে ।
একঘন্টা কালীন হিন্দী বক্তব্যে তিনি বলেন , এই দুর্যোগের সময়ে সকলে ভুক্তভোগী হলেও তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস , জনগণ তাদের সহজাত শক্তি দিয়ে এই সকল অসুবিধা ও কষ্ট সহ্য করে তা নিরসন করার ক্ষমতা রাখবে ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন , তিনি জানেন এই যুদ্ধ সকলকে, বিশেষ করে গরীবদের জন্য অপরিমেয় দুর্ভোগ বয়ে আনবে । কিন্তু যদি কোন যুদ্ধ, দেশের অখণ্ডতার উপর হুমকি বয়ে আনে, তবে তার মোকাবিলা সাহসিকতার সাথেই করতে হবে । ইংল্যান্ডের বিগত যুদ্ধে পঁয়তাল্লিশ বছরের নীচের সকলকে ডাকা হলে নারীদেরকেও এই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে দেখা যায় ।
শরণার্থীদের আন্তঃপ্রবাহ চাপে প্রশাসনে বর্ধিত অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক চাপ বয়ে আনবে বৈকি ! কিন্তু দেশের সার্বিক নিরাপত্তার উপরই আমাদের সর্বোচ্চ নজর দিতে হবে ।শুরুতে ভারতের সীমান্তরক্ষী বি এস এফ নিজেদের সীমান্তে বহাল থাকা অবস্থায় পাকিস্তান, পূর্ববাংলার সীমান্তে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস্ (ইপিআর) এবং ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট(ইবিআর) আনা শুরু করলেই ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় ।
যখন দেখা গেল ইপিআর ও ইবিআর জওয়ানরা মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিচ্ছে, তখনই পাকিস্তান পূর্ববাংলার সীমান্তে ও পশ্চিমের ঘাঁটি গুলিতে তার নিজস্ব সৈন্য মোতায়েন আরও জোরদার করা শুরু করে । এ কথা ইউ এন পর্যবেক্ষকদের গোচরে আনা হলে বলা হয় , পাকিস্তান সৈন্য সরিয়েছে তাদের মহড়া ও প্রশিক্ষণের নিমিত্তে ।
এ কথা কে বিশ্বাস করবে ? পকিস্তান যেখানে আমাদেরকে তিন তিনবার আক্রমণ করেছে, এহেন বিশ্বাস অসম্ভব ! যাই হোক, দশ দিন অপেক্ষা করার পর আমাদের সৈন্য সীমান্তে পাঠানো হয়েছে – বলেন প্রধানমন্ত্রী !
এটা কি আশ্চর্য্য যে , পাকিস্তান সৈন্য পাঠানো শুরু করলে বৃহৎ শক্তিগুলো মনেই করলো না এটা ভারতের জন্য হুমকি ! কিন্তু যখন আমরা সৈন্য পাঠালাম , তখন তারাই হৈচৈ , কান্নাকাটি করে বলা শুরু করলো এটা উপমহাদেশের জন্য বিরাট হুমকি ! কোন দায়িত্বশীল সরকার এহেন সংকটময় মুহূর্তে তার সীমান্তকে সুরক্ষিত না করে পারে না ।
যেহেতু আমাদের সেনানিবাস সীমান্ত হতে অনেক দূরে অবস্থিত ,তাই চাইলেই কম সময়ে সেখানে সৈন্য সরানো যায় না ।
পাকিস্তানের পক্ষে এই কাজটি অধিকতর সহজ । কারন সীমান্ত তাদের সেনানিবাস হতে অতি কাছে । আক্রমণ করে পাকিস্তান যদি আমাদের ভূমি দখল করে, তবে তাহা ফেরত পাবার নিশ্চয়তা আমাদেরকে কে দিবে ? তিনি প্রশ্ন রাখেন ।
তিনি পুনরায় বলেন , পাকিস্তান পূর্ববাংলা হতে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করার অর্থই হবে, কোন যুদ্ধের সম্ভাবনা নাই । ঐখানে
সৈন্য মোতায়েনই হলো এই সমস্যার প্রধান কারন ।
ত্রৈমাসিক এক আলোচনায় পরামর্শ দেয়া হয়েছে যে , পূর্ববাংলায় শীঘ্রই ইউ.এন. পর্যবেক্ষক মোতায়েন করা হচ্ছে ।তাতে লাভ কি ? তারা কি বাংলাদেশে শরণার্থীদেরকে নির্ভয়ে দেশে ফিরে যেতে দিতে সমর্থ হবে ? তিনি আবারও প্রশ্ন করেন । শরণার্থীরা বলে যে , তারা তখনই সেখানে ফিরে যাবে যখন বাংলাদেশ স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণ হবে ।
প্রধানমন্ত্রী মনে করেন যে , ঐ শত্রুতার খণ্ড, টুকরো ভূমিতে শান্তি ফিরিয়ে আনাই হবে আমাদের প্রথম পদক্ষেপ । এখনও সেখানে মানুষ খুন ও নারীধর্ষণ চলছে । ভারত দরিদ্র । ভারতের উপর এত বড় একটা বোঝা থাকা সত্ত্বেও আমরা এহেন অবস্থায় তাদেরকে দেশে চলে যেতে বলতে পারিনা।
তিনি বিদেশে সফরকালে তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন যে , পূর্ববাংলার সমস্যা নিরশনে রাজনৈতিক সমাধান আনা সম্ভব । বৃহত্তর শক্তিগুলো তা’র উদ্যোগ নিলেও তার কোন প্রভাব এখনও পরিলক্ষিত হয় নি ।”পাকিস্তান ভারতকে হুমকি দেবার অনেক মাস পর পর্যন্ত আমি অপেক্ষা করলেও , তার কোন সুরাহা পাইনি ।
শক্তিশালী কিছু দেশের শাসনের উদ্ধৃতি দিয়ে মিসেস গান্ধী বলেন , এশীয় দেশগুলিকে তারা এখনও তাদের “ক্রীতদাস” বলে মনে করে । কিন্তু ভারত স্বাধীনতার পূর্বে , এমনকি পাঁচবছর আগেও যা ছিল, এখন আর তা নয় । পাঁচ বছর আগেও প্রশ্ন জাগতো , ভারতবর্ষ কি ঐক্যবদ্ধ হয়ে অবিভক্ত থাকতে পারবে ? এ দেশের গণতন্ত্র কি বেঁচে থাকবে ? কিন্তু এহেন সন্দিহান আজ অপগত ।
এ দেশের আরেকটি নতুন আত্ন প্রত্যয় এই যে , ভারত তার জতীয় স্বার্থে তৎপর হতে “অসমর্থ”এ কথা কেউ মনে করলে চরম ভুল করবে ।
বৃহত্তর শক্তিগুলো আমাদেরকে সাহায্য করলে খুবই ভাল । আমরা তা কৃতজ্ঞতার সাথে গ্রহণ করবো । যদি না করে তবে আমি স্পষ্ট করে জানাতে চাই যে , ভারত তার নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখেছে । অন্যের সাহায্য ভিক্ষার আশায় চেয়ে থাকবে না ।
মিসেস গান্ধী বলেন , এই ব্যপারে আমাকে “জেদী” বলা হয়েছে।
বাংলাদেশের ধংসযজ্ঞ থামানো মানে আমার জেদ নয় । বংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষকে ধংসের কবল থেকে বাঁচানো ভারতের জাতীয় স্বার্থ । এবং এটা অবশ্যই বাংলাদেশের স্বার্থও বটে ।
কিছু দেশ পাকিস্তানকে সমরাস্ত্র সরবরাহ করে ইন্ধন যুগিয়েছে। ইহা ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের যুদ্ধের পায়তারা বর্ধিত করেছে।
তিনি মনে করেন, পাক নেতারা সুষ্ঠু নীতিমালা অনুসরণ করছে না। কারন তারা এমন সকল কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে যা তাদের দেশের জাতীয় স্বার্থ সম্বলিত না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন , প্রতিবারই কলকাতায় সভা করতে আসার আগে মনে হয় তেমন কোন লোকজন হয়তো হবে না । কিন্তু প্রতিবারই পূর্বাধিক বিশাল জনসমাবেশ দেখে আমি আশ্চর্য্য
হই ।
তিনি উল্লেখ করেন যে, এই বিশাল সমাবেশের উষ্ণ সাদর সম্ভাষণ , আমার একার জন্য নয় ; বরং আমাদের নতুন মহৎ কর্মসূচীর জন্য ।
মধ্যবর্তী কালীন নির্বাচনের পর আমরা , মনে করেছিলাম সামাজিক কাঠামো উন্নয়নের দিকে নজর দিব । কিন্তু সীমান্তে পাকিস্তানী জান্তাদের কবল হতে রক্ষা পেতে, অগণিত নিরীহ জনতার আন্তঃ প্রবাহ একটা নতুন সমস্যার সৃষ্টি । শুরুতে ভেবেছিলাম সমস্যা সাময়িক এবং বিদেশী দেশগুলির সহযোগিতায় তা অল্প সময়ে নিরসন সম্ভব । কিন্তু তা হয়নি । প্রথমতঃ পর্যাপ্ত সাহায্যের অপ্রাপ্তি ।
দ্বিতীয়তঃ যে দেশগুলি সাহায্য দিয়েছে তারা , এই বিশাল শরণার্থী নিজের দেশ ছেড়ে আমাদের দেশে কেন আসলো তার মূল কারণ তলিয়ে দেখেনি ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন , রোগ নিরসনে রোগের প্রধান কারণ খুঁজে বেড় করতে হয়।
ডানপন্থী কংগ্রেস ও নির্বাচনী অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন , দল যা করতে চাচ্ছে তা নতুন কিছুই নয় । এগুলি দলের মূল কর্মসূচী । দলের কিছু সংখ্যক সদস্যদের বিরোধিতার কারণে তা করা সম্ভব হয়ে উঠছে না।
ডানপন্হী কংগ্রেস, মহারাজা আর কোটিপতিদের বিরুদ্ধে নয়।বরং সেই পদ্ধতির বিরুদ্ধে, যেখানে কিছু সংখ্যক লোক ধনকুবের বনে যাবে আর সিংহভাগ জনতা দারিদ্রে হিমসিম খাবে । পশ্চিমবঙ্গে দারিদ্রতা এবং চাকুরী হীনতা সব চাইতে বেশী । এর মূল কারন ক্রমাগত বয়কট ও বাধকতা । যে সমস্ত দলগুলি তাদেরকে বিপ্লবী মনে করে , এ সকল নিরসনে তাদের কোন উদ্যোগই নাই । এরা গরীব কৃষকদের ভূমি পেতে প্রলোভন দেখিয়েছে, কিন্তু ভূমি দস্যুদের ভূমির ক্ষুধা সমস্যার কোন সমাধান দেয় নাই ।
দীর্ঘ মেয়াদী ফায়দার জন্য দরকার ২৫তম সংশোধনী কার্যকরী করে ধন সম্পদ জাতীয়করণ করা । মিসেস গান্ধী বলেন, এই জাতীয়করণে স্বতন্ত্র দলের সর্বদাই বিরুদ্ধাচরণ । প্রমাণ হিসেবে মিল কারখানা জাতীয়করণের অপারগতার কথা উল্লেখ করে এরা বলেন – “এতে কোন ফায়দাই আসবে না” । আহমেদাবাদের টেক্সটাইল মিল উল্লেখ করে তিনি বলেন , এটা অনেক সময়
সত্য । কিন্তু এটা তো মিল মালিকদের পূনঃ উৎপাদন ফিরিয়ে এনে মুনাফা বাড়ানোর অপারগতা ! সে পশ্চিম বঙ্গের যুব কংগ্রেস ও ছাত্রদলের খুনাখুনি, মারামারির রাজনীতি খতমের ভূয়সী প্রশংসা করেন । কিন্তু তারপরও তিনি মনে করেন এইক্ষেত্রে আরও অনেক কাজ বাকি । সীমান্ত হুমকির কারনে পশ্চিমবঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা অনিশ্চিত । তিনি মজুতদার আর মুনাফাখোরদের সম্পত্তি বা দোকানপাটে আক্রমণ না করে শান্তিপূর্ণভাবে স্বাভাবিক জীবনযাপন করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জনান । কোলকাতা নোংরা বলে যথেষ্ট নাম আছে । হয়তো এটা কোলকাতা কর্পোরেশনের দোষ ! কিন্তু জনতারও যথেষ্ট ভূমিকা ও দায়িত্ব থাকা উচিৎ । এই দুর্যোগের সময় মহামারীর প্রাদুর্ভাব যাতে না হয় সেই দিকে নজর রেখে শহরের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে ।