দি স্টেটসম্যান, ১১ই অগাস্ট, ১৯৭১
মুজিবের বিচার শুরুঃ
রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতি ভারতের আবেদন
রাওয়ালপিন্ডি, ১১ই অগাস্ট, ওয়াকিবহাল সরকারী সূত্রে জানা গেছে যে আওয়ামী লীগ নেতা, শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রাণরক্ষার বিচারকাজ আজ শুরু হয়েছে তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন এই অপরাধে। এপি-র প্রতিবেদন।
বিচারকাজ গোপনে পরিচালনা করা হয়।
মামলার বিচারকাজ শুরু হয়েছে তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করতে সরকার অস্বীকৃতি জানিয়েছে। সরকার সামরিক আদালতের অবস্থান, বিচারকদের নাম বা বিবাদী পক্ষের আইনজীবীর নাম প্রকাশ করতেও অস্বীকৃতি জানায়।
তিনটি বিদেশী রেডিও ষ্টেশন – রেডিও আক্রা, রেডিও কোলন এবং রেডিও অস্ট্রেলিয়া প্রচার করেছে – আজ শেখ মুজিবুর রহমানের বিচারকাজ শুরু হয়েছে কিন্তু তারা কোন সূত্র উল্লেখ করেনি।
মিসেস গান্ধী ২৪টি দেশের কাছে আবেদন জানিয়েছেন মিঃ রহমানের জীবনরক্ষার জন্য, নয়া দিল্লী থেকে আমাদের বিশেষ প্রতিনিধি লিখেছেন।
সোভিয়েত ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও একই আবেদন জানানোর সম্ভাবনা রয়েছে এই বিষয়ে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী, মিঃ সরন সিং একই বিষয়ে একটি তারবার্তা পাঠিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিবের কাছে।
যুক্তরাষ্ট্র আজ পাকিস্তান সরকারের প্রতি দ্বিতীয়বারের মতো তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে শেখ মুজিবুর রহমানের গোপন বিচারে যেকোনো “সংক্ষিপ্ত বিচার” করা হলে তা পূর্ববাংলার সঙ্কটের রাজনৈতিক মীমাংসার জন্য সব ধরণের সম্ভাবনা নষ্ট করে দেবে। ওয়াশিংটন থেকে জানিয়েছে এপি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সচিব মিঃ রজার্স, পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মিঃ আগা হিলালির কাছে ১১ জন সিনেটরের পক্ষ থেকে একটি টেলিগ্রাম এবং ৫৮ জন কংগ্রেস সদস্যের সাক্ষরিত একটি চিঠি হস্তান্তর করেন যেগুলোতে তাঁরা সবাই শেখ মুজিবের প্রতি করুণা প্রদর্শনের জন্য পাকিস্তানের প্রতি আবেদন জানান।
একই সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র ডেমোক্র্যাট সিনেটর মিঃ কেনেডিকে ইসলামাবাদ এবং ঢাকা সফরের জন্য পাকিস্তান সরকারের অনুমতি দিতে প্রত্যাখ্যান করার সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেন।
আজ মুজিবনগরে এক নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে পাওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গেছে যে শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রী যিনি ঢাকায় গৃহবন্দী ছিলেন তাঁকে কয়েকদিন আগে বিমানযোগে করাচী নিয়ে আসা হয়, লিখেছে ইউএনআই।
তাঁকে সামরিক প্রহরায় ধানমন্ডির বাসা থেকে বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয় এবং করাচীগামী একটি বিমানে তুলে দেয়া হয়।
তাঁকে করাচী বা পশ্চিম পাকিস্তানের অন্য কোথাও আটকে রাখা হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।
রেডিও অস্ট্রেলিয়া জানায় যে বিচারের ফলাফল পূর্বনির্ধারিত ছিল। “একমাত্র রায়ঃ দোষী”।
২৬শে মার্চ রাতে, শেখ মুজিব গ্রেফতার হবার ১৮ ঘণ্টা পর, জেনারেল ইয়াহিয়া খান তাঁকে বিশ্বাসঘাতক এবং পাকিস্তানের শত্রু হিসেবে ঘোষণা করেন। “পাকিস্তানের কেউই, বিশেষ করে কোন সামরিক আদালত, কখনই ইয়াহিয়া খানের বিরুদ্ধে যেতে সাহস পাবে না”, রেডিও অস্ট্রেলিয়াতে প্রচার করা হয়।
রেডিও অস্ট্রেলিয়া আরো প্রচার করে যে জেনারেল ইয়াহিয়া খান একান্তে “শেখ মুজিবকে মরতেই হবে” এরকম মন্তব্য করেছেন বলে জানা গেছে।
সকল পরাশক্তি, পশ্চিমা দেশগুলো এবং আফ্রিকার বিশেষ কিছু দেশ, এশিয়া ও পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলির প্রতি প্রেরিত প্রধানমন্ত্রীর তারবার্তা সংশ্লিষ্ট সরকার প্রধানদের প্রতি উদ্দেশ্য করে এবং সেইসব দেশে ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
তিনি এই তারবার্তায় বলেন “ভারতের সরকার ও জনগণ সেইসাথে আমাদের সংবাদমাধ্যম এবং সংসদ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের উল্লিখিত বিবৃতিতে অত্যন্ত বিচলিত হয়েছে যে, তাঁকে কোনধরণের বৈদেশিক আইনি সহায়তা নেয়ার সুযোগ না দিয়েই তিনি জনাব মুজিবুর রহমানের গোপন সামরিক বিচার শুরু করতে যাচ্ছেন। আমরা বুঝতে পেরেছি যে এই তথাকথিত বিচার শুধুমাত্র শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ড আড়াল করার কাজেই ব্যবহার করা হবে। এতে করে পূর্ববঙ্গের পরিস্থিতির আরো অবনতি হবে এবং ভারতেও গুরুতর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে কেননা এব্যপারে আমাদের জনগণ এবং সবগুলো রাজনৈতিক দলের গভীর অনুভূতি রয়েছে। একারণেই আমাদের গভীর উদ্বেগ। আমরা আপনাদের কাছে সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি এই অঞ্চলে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার বৃহত্তর স্বার্থে একটি বাস্তবসম্মত মনোভাব গ্রহণ করার জন্য প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সাথে আপনাদের প্রভাব খাটাতে”।
মিসেস গান্ধীর এই বার্তা, অবশ্য, চীন এবং ইউএআর ও ইরাক ছাড়া পশ্চিম এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোকে উদ্দেশ্য করে পাঠানো হয়নি। এই বাছাই করা তালিকায় রয়েছেঃ ইউএআর, সিলন, তাঞ্জানিয়া, ইন্দোনেশিয়া, আফগানিস্তান, নেপাল, মালয়শিয়া, জাম্বিয়া, ইউএসএসআর, কানাডা, ফ্রান্স, ইটালি, সিঙ্গাপুর, সুইডেন, হল্যান্ড, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, পশ্চিম জার্মানি, ঘানা এবং যুগোস্লাভিয়া।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিঃ সরন সিং, ইউ থান্ট-এর কাছে তাঁর পাঠানো তারবার্তায় বলেন “তারা আগামীকাল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের বিচার আরম্ভ করার প্রস্তাব করেছে রাওয়ালপিন্ডি থেকে এই ঘোষণা আসায় আমরা ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। এই ঘোষণা ইদানীং প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান হতে উদ্ভূত কয়েকটি চরম বিবৃতির প্রাক্কালে এসেছে যেখানে তিনি শেখ মুজিবের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার এবং রাষ্ট্রদ্রোহমূলক কার্যক্রমে লিপ্ত থাকার সামর্থ্য সম্পর্কে বলেছেন”।
“শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর জনগণের অবিসংবাদিত নেতা, যাকে সবাই ভালবাসে এবং শ্রদ্ধা করে। ১৯৭০ সালের ডিসেম্বর মাসের নির্বাচনে তাঁর বিজয় সম্ভবত সাম্প্রতিক সময়ের পৃথিবীর যেকোনো স্থানের অনুরুপ নির্বাচনের মধ্যে সবচেয়ে চমকপ্রদ ছিল। আমাদের জনগণ, সংবাদমাধ্যম, সংসদ এবং সরকার সবাই নিশ্চিত যে পূর্ব বঙ্গে পাকিস্তানী কর্মকাণ্ডের কারণে আমাদের জন্য যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে পাকিস্তানের সরকার যদি শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কল্যাণের প্রেক্ষাপটে কোন হঠকারী এবং চরম সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে সেগুলো আরো দশ-গুণ বেড়ে যাবে”।
“আমরা আপনার কাছে সনির্বন্ধ আবেদন করতে চাই যাতে করে আপনি জরুরী পদক্ষেপ নেন পাকিস্তান সরকারকে অনুরোধ করার জন্য যেন তারা এমন কোন কাজ না করে যা তাদের এবং আমাদের সমস্যাগুলোকে আরো অনেক বেশী জটিল করে তোলে। তারা শেখ মুজিবের সাথে এখন যাই করুক না কেন তার পরিণাম অত্যন্ত গুরুতর এবং বিপজ্জনক হবে”।
সোভিয়েত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে তিনি এবিষয়ে আলোচনা করেছেন কিনা এই প্রশ্নের জবাবে মিঃ সিং আজ রাজ্যসভায় বলেন যে মিঃ গ্রোমিকো দৃঢ়ভাবে পাকিস্তানকে প্ররোচিত করার পক্ষে যাতে করে তারা “এধরণের লজ্জাজনক বিচারকাজ” নিয়ে আর অগ্রসর না হয়।
তিনি সভাকে আরো জানান যে সরকার শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট যে হুমকির সৃষ্টি করেছেন তা নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
মিঃ এ. ডি. মানি বাংলাদেশে পাকিস্তানী সামরিক শাসকদের দ্বারা যেসব যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে তার তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক আইনজ্ঞদের দিয়ে একটি কমিশন গঠন করার ব্যপারে সরকার কোন পদক্ষেপ নেবে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন এধরণের একটি প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। তবে তাঁর মতে, যদি আন্তর্জাতিক আইনজ্ঞ কমিশনের ভারতীয় সদস্যরা এই পদক্ষেপ নেন তাহলে তা আরো কার্যকর হবে।
জাতিসংঘের মহাসচিব, ইউ থান্ট গতকাল বলেন যে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্যে যা ঘটবে পাকিস্তানের বাইরে তার প্রতিক্রিয়া হতে বাধ্য, জাতিসংঘ থেকে রয়টার জানিয়েছে।
কিন্তু মহাসচিব বলেন, সামরিক আদালতে শেখ মুজিবের আসন্ন বিচার “একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং নাজুক বিষয় যেটি একটি সদস্য রাষ্ট্রের বিচারব্যবস্থার যোগ্যতার মধ্যে পরে”।
একটি সংবাদ বিবৃতিতে, ইউ থান্ট বলেন, তিনি জাতিসংঘে অনেক দেশের প্রতিনিধির সাথে একই অনুভুতির অংশীদার “যে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্য নির্ধারণ সংক্রান্ত বিষয়ে যেকোনো পরিবর্তনে পাকিস্তানের সীমান্তের বাইরে অবধারিতভাবে তার প্রতিক্রিয়া হবে”।
তিনি বলেন এই বিচারকার্যটি “অনেকের কাছেই মানবিক সেইসাথে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত কৌতূহল এবং উদ্বেগের বিষয়”।
তিনি বলেন, পূর্ব বঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা প্রায় প্রতিদিনই তার কাছে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং এখনো করে যাচ্ছেন।
জেনেভাতে, আন্তর্জাতিক আইনজ্ঞ কমিশন গতকাল শেখ মুজিবুর রহমানের নির্ধারিত বিচারকার্যের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
কমিশনের মহাসচিব মিঃ এলান নীল ম্যাকডেরমট কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক তারবার্তায় বলা হয় “আন্তর্জাতিক আইনজ্ঞ কমিশন শেখ মুজিবুর রহমানের গোপন সামরিক বিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে লুকানোর মতো কিছু থাকে না”।
লন্ডন থেকে এক প্রতিবেদনে বলা হয় লন্ডনে অবস্থানরত শেখ মুজিবুর রহমানের আইনজীবীরা দাবী করেন যে তাঁকে সবধরনের আইনগত সাহায্য গ্রহণ করা থেকে বিরত রাখা হয়েছে। রয়টার জানিয়েছে।
আইনজ্ঞ বার্নার্ড শেরিডান অ্যান্ড কোম্পানি এই মামলার ব্যপারে টাইম্স পত্রিকার কাছে একটি চিঠি লেখার মতো অস্বাভাবিক পদক্ষেপ নেয়। তারা এটা করেছে, চিঠিতে বলা হয়, যাতে করে পাঠকরা আরো সঠিকভাবে জানতে পারে তাঁর জন্য একটি পক্ষপাতবিহীন বিচার নিশ্চিত করতে আইনজ্ঞরা কি কি প্রচেষ্টা চালিয়েছে।
“যদিও শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতার হয়েছেন এই বছরের মার্চ মাসের শেষ দিকে নির্বাচনে তাঁর জয়লাভের অব্যবহিত পরেই তাঁকে সবধরনের আইনী পরামর্শ গ্রহণ করা থেকে বিরত রাখা হয়েছে”।
এই চিঠিতে আরো বলা হয় যে তারা গত জুন মাসে লন্ডনের পাকিস্তান দূতাবাসে গিয়েছিলেন এবং তাঁর সাথে দেখা করার অনুমতি চেয়ে লিখিত আবেদন করেছিলেন কিন্তু এই আবদনের প্রতিউত্তর বা প্রাপ্তিস্বীকার পাননি।
এই প্রতিষ্ঠানের একজন সদস্য মিঃ শন ম্যাকব্রাইড (জ্যেষ্ঠ আইনজ্ঞ) পাকিস্তানে সশরীরে উপস্থিত হয়ে আরেকটি আবেদন করেন যেটির প্রাপ্তিস্বীকারও পাওয়া যায়নি বলে এই চিঠিতে বলা হয়।
কায়রো থেকে এক প্রতিবেদনে জানা যায় ইউএআর-এর শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা আল আহরাম, সামরিক আদালতে পূর্ব বঙ্গের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের বিচার হতে যাচ্ছে এই ঘোষণায় গতকাল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
এই পত্রিকায় বলা হয় “সামরিক বা গোপন বিচার করে জাতীয় ঐক্য নিশ্চিত করা যাবে না এবং জনসংখ্যার বেশীরভাগ মানুষকে লৌহকঠিন শাসনে রেখে একে রক্ষা করা যাবে না”।
পত্রিকাটি জানায় শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্যে কি ঘটতে যাচ্ছে সে ব্যপারে আগ্রহ দেখানো মানে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা কিংবা জাতীয় ভূমি থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদের ডাকের নিশ্চিতকরণ নয় হস্তক্ষেপ ও বিচ্ছেদ উভয় নীতি সুনিশ্চিত এবং দ্ব্যর্থহীনভাবে বাতিল করা হয়েছে।
“এই আগ্রহ বরং অনেকটা প্রথমত এই বিশ্বাস থেকে যে পাকিস্তানের পূর্ব এবং পশ্চিম অঙ্গরাজ্যের জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এই জাতীয় ঐক্য জনসাধারণের আকাঙ্খার একটি যুক্তিসম্মত অভিব্যক্তি এবং উভয় প্রদেশে তাদের নেতৃত্বের জন্যই”, এই পত্রিকায় বলা হয়।