You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.07.10 | হিন্দুস্তান স্ট্যান্ডার্ড, ১০ জুলাই ১৯৭১, মার্কিন কনস্যুলেট ভবনের সামনে বিক্ষোভ - সংগ্রামের নোটবুক

হিন্দুস্তান স্ট্যান্ডার্ড, ১০ জুলাই ১৯৭১
মার্কিন কনস্যুলেট ভবনের সামনে বিক্ষোভ
– স্টাফ রিপোর্টার

পাকিস্তানে মার্কিন অস্ত্র চালানের প্রতিবাদে বাংলাদেশের ছাত্র এবং নারী শিল্পীদের একটি গ্রুপ শুক্রবার কলকাতায় মার্কিন কনস্যুলেট ভবনের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে করে।

২৪পরগনা ডিসিসির(ও) সামনে যুব ও ছাত্রদের আন্দোলন অপ্রত্যাশিতভাবে রাশিয়ান কনস্যুলেটের সামনে পড়ে যায়। তারা ইউএসএসআর কনস্যুলেটের কাছে একটি স্মারকলিপি পেশ করেন।

তারা কনস্যুলেট প্রবেশদ্বারের সামনে থামেন। একজন কর্মকর্তা স্মারকলিপি গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। বিক্ষোভকারীরা ভবনের দেয়ালে ঝুলিয়ে আসে।

যখন তারা মার্কিন কনস্যুলেটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল তখন একটি পুলিশের গাড়ির আসে। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি জনাব অসীম চ্যাটার্জী (কংগ্রেস-ও)অভিযোগ করেন যে কিছু পুলিশ গাড়ি থেকে লাফিয়ে তাদেরকে কোন বিরক্ত না করা সত্ত্বেও লাঠিচার্জ করতে শুরু করেন।

পুলিশের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভকারীরা রাস্তা আটকে বসে পড়েন। কংগ্রেস (ও) নেতা ডাঃ প্রতাপ চন্দ্র সুন্দর এবং জনাব অশোক কৃষ্ণ দত্ত, কংগ্রেস (ও) নেতা যাকে একদিন আগে হাওড়াতে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল তার প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ হতে বলেন। তখন বিক্ষোভকারীরা স্থান ত্যাগ করে।

এর আগে সকালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা কিছু চলচ্চিত্র শিল্পী ও প্রযুক্তিবিদরা মার্কিন কনস্যুলেটের সামনে প্রতিবাদ মিছিল করে। তারা কনস্যুলেট কর্মকর্তারা কাছে একটি স্মারকলিপি হস্তান্তর করে। তাতে পাকিস্তানে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে অনুরোধ করা হয় এবং বাংলাদেশে গণহত্যায় সাহায্য না করার আহবান জানানো হয়।

সন্ধ্যায় মিসেস পূরবী মুখার্জি এমপি (কংগ্রেস আর), মিসেস গীতা মুখার্জি (সিপিআই), মিসেস রেনুকা রায় (কংগ্রেস আর) এর নেতৃত্বে কয়েকশ নারী মার্কিন কনস্যুলেটের সামনে পাকিস্তানে অস্ত্র সরবরাহের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে।

বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রাম সহায়ক সমিতির বিক্ষোভের আয়োজন করে। একটি স্মারকলিপি মার্কিন কনস্যুলেট জেনারেল হার্বার্ট গর্ডনের কাছে হস্তান্তর করেন যেখানে পাকিস্তানকে আর কোন অস্ত্র সহায়তা না দিতে বলা হয় এবং শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা দিয়ে একটি রাজনৈতিক সমাধানে সাহায্য করার আবেদন জানানো হয়। এছাড়াও স্মারকলিপিতে যেসকল অস্ত্র পাকিস্তানের পথে আছে সেগুলোকে ফিরিয়ে নেবার আবেদন করা হয়।

চেয়ারম্যান মিসেস রেনুকা রায় ও আহবায়ক মিসেস মিরা দত্ত গুপ্ত, মার্কিন কন্স্যুলেটর জেনারেল গর্ডনের কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন। জনাব গর্ডন প্রতিনিধিদের জানান যে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বিষয়টি অবগত করবেন।