দি স্টেটসম্যান ৫ জুলাই ১৯৭১
মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অস্ত্র দাবী
আমাদের বিশেষ প্রতিনিধি থেকে প্রাপ্ত খবর
উদয়পুর. জুলাই 4 – জনসঙ্ঘ ১ আগস্ট থেকে নয়া দিল্লিতে সত্যাগ্রহ আরম্ভ করবে। বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেবার ব্যাপারে সরকারকে চাপ দেয়ার জন্য এটা করা হবে। শুধু তাই নয়, তাদের দাবী এটি সক্রিয় করতে সকল প্রকার সামরিক সহায়তা সহ সব নৈতিক ও বৈষয়িক সমর্থন দিতে হবে তাদেরকে পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক শাসনের করাল গ্রাস থেকে মুক্ত করতে।
আজ সকালে দলের সভাপতি জনাব অটল বিহারী বাজপেয়ী সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে এটা ঘোষণা করেন।
জনাব বাজপেয়ী ঘোষণা করেন যে সত্যাগ্রহ ১১ আগস্ট পর্যন্ত ১১ দিনের জন্য অব্যাহত থাকবে এবং সংসদ-আগস্টের বর্তমান অধিবেশন শেষ দিনে ১২ আগস্টের মধ্যে প্রায় ২০০০০০ জন সংঘ স্বেচ্ছাসেবক সংসদের সামনে বাংলাদেশ বিষয়ে সরকারের আলস্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রকাশ করবে। তবে তিনি বলেন, যদি ১ আগস্ট এর আগে সংঘ এর দাবী সরকার মেনে নিতে রাজি হয় তাহলে আন্দোলন পরিকল্পনা ছেড়ে দেয়া হবে এবং কেন্দ্রকে সব রকমের সহায়তা প্রদান করতে হবে।
বাংলাদেশ রেজল্যুশনের উপর বিতর্ক চলাকালীন সময়ে অনেক প্রতিনিধি বলেন যে নেতৃত্ব শুধুমাত্র চাচ্ছে সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপ। কারণ মনে হচ্ছিল পার্টির বাংলাদেশ ইস্যুতে কোন দায়িত্ব নেই। তাদের জবাবে জনাব বাজপেয়ি বলেন জান সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ডঃ শ্যামাপ্রসাদ প্রসাদ মুখার্জী, পূর্ব বাংলার শরণার্থী ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন। এছাড়া গোয়া আগ্রাসনের সময়ে জম্মু ও কাশ্মীর-এর জন্য একটি গণআন্দোলন শুরু হয়েছিল। অতএব, যখন হাজার হাজার মানুষ বাংলাদেশে জবাই করা হচ্ছে তখন পার্টি শান্ত থাকতে পারেনা।
জনাব বাজপেয়ীর বক্তব্যের পর বাংলাদেশ রেজল্যুশন এর উপড়ে নির্দিষ্ট সংশোধনী গৃহীত হয়, UNI যোগ করে। শেখ মুজিবুর রহমান ও উদ্বাস্তু দের সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যাতে তারা তাদের মুক্তির জন্য আরও সক্ষম হতে পারে এবং তাদের বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এই রেজল্যুশন দেশের সবার সামনে একটি ছয় দফা কর্মসূচি হিসাবে পেশ করা হবে এবং দেশের বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করতে সরকারকে বাধ্য করার জন্য জনমত সংগঠিত করতে তার পার্টির সব ইউনিট পরিচালিত হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়।
তারা উদ্বাস্তু দের ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিভিন্ন এলাকায় বিতরণ করার বিরোধিতা করেন। এটা দাবি করেন যে শরণার্থী শিবির হবে বাংলাদেশ সীমান্তে যাতে যত তাড়াতাড়ি পাকিস্তান হানাদার বাহিনী নতুন প্রজাতন্ত্রের থেকে সরে যাবার সাথে সাথে তাদের প্রত্যাবর্তন সহজতর হয়। তারা ভারতীয় সীমান্তে পাকিস্তানি আগ্রাসন প্রতিহত করার জন্য কার্যকর সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেন।
রেজল্যুশনে শেখ আব্দুল্লাহ এবং অন্যান্য যারা ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশে গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের সামরিক জান্তার নিন্দা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন তাদের বিচারের দাবি করেন।
আরও বলা হয়, সকল দেশপ্রেমী সংগঠনকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। তাহলে বাংলাদেশের পাকিস্তানি আগ্রাসন বন্ধ তরান্বিত হবে এবং ভারতের অখণ্ডতা এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি মুক্ত হবে।
রেজল্যুশনে ভারতের পররাষ্ট্র-নীতি সমালোচনা করা হয়।