কালান্তর পত্রিকা
১৩ জুন, ১৯৭১
শরনার্থীদের চিকিৎসায় সরকারী ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বয় দরকার
কলকাতা ১২ জুন – বাংলাদেশ থেকে আগত শরনার্থীদের মধ্যে চিকিৎসা সংক্রান্ত ত্রাণের কাজে অবিলম্বে সমন্বয় দরকার।
বিশেষভাবে বেসরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গে ৮১৩ সরকারি কাজের সমন্বয়ের অভাবে ও বেসরকারি সংস্থাগুলির ওষুধপত্রের অভাবে শরনার্থীদের চিকিৎসা ভীষণভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে আইএমএ-এর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক ডাঃ দেবেন ঘোষ এ কথা বলেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনে সর্বশ্রী এ কে রায়, শিশির সেনগুপ্ত, নরেশ ব্যানার্জী, মৃনাল নন্দী ও সমর রায় চৌধুরী প্রমুখ বেঙ্গল মেডিকেল রিলিফ কমিটির ডাক্তারগণ উপস্থিত ছিলেন।
আইএমএ-এর কাজে সরকারি সহযোগিতা সম্পর্কে তাঁরা বলেন-আইএমএ চেষ্টা করেও রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কোন প্রকার সাহায্য বা সহযোগিতা পায়নি। পক্ষান্তরে নদীয়া জেলা শাসকের অনুরোধে শাসকের দল নদীয়ায় গিয়ে সহযোগিতার অভাবে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন।
গত ৮ জুন রাজ্য স্বাস্থমন্ত্রী আইএমএ-এর সহযোগিতা চেয়ে চিঠি দিয়েছেন। আইএমএ মনে করে রাজ্য সরকার চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রশ্নে আমিএম-এর আগের প্রস্তাব মত কাজে সমন্বয় ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি বেসরকারি সংস্থার দায়িত্ব বন্টনের নীতি গ্রহণ না করলে সহযোগিতা হতে পারে না।
আই এম এ নিজেদের সদস্য ও শাখাগুলি ছাড়াও বহুসংখ্যক সংস্থার কাছ থেকে ছোট বড় দান পেয়েছে। কিন্তু তা প্র্যোজনের তুলনায় নিতান্তই কম। বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রাম সহায়ক সমতির (সভাপতি অজয় কুমার মুখার্জী) কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা সাহায্য পেয়েছে। ডাঃ ত্রিগুনা সেনের সভাপতিত্বে গঠিত কমিটির সাহায্য করেছে। শ্রী জ্যোতি বসুর সভাপতিত্বে গঠিত কমটি কোন সাহায্য করেছে কিনা জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, সংবাদপত্রের সাধারণ আবেদন ছাড়া বিষেশভাবে কোন সাহায্য করিনি। ঐ সংস্থার কাছে সাহায্য করার জন্য আবেদন করা হবে কি না তা এখনও সিদ্ধান্ত করা হয়নি।
ডাক্তারগণ কলেরার প্রোকোপের সঙ্গে সঙ্গে ডিপ্তহেরিয়া আক্রমণের আশঙ্কা প্রকাশ করেন। মহামারী প্রোতিরোধে সামরিক বাহিনীর সাহায্য গ্রগণ করার জন্যও তারা দাবি করেন।