You dont have javascript enabled! Please enable it! স্ট্রেইটস ইকো | মালয়েশিয়া, ১০ জুন ১৯৭১ |সম্পাদকীয় একটি বিশ্ব সমস্যা - সংগ্রামের নোটবুক

স্ট্রেইটস ইকো | মালয়েশিয়া, ১০ জুন ১৯৭১ |সম্পাদকীয় একটি বিশ্ব সমস্যা

বিশ্ব অনেক অপেক্ষা করেছে। এটা সত্য যে সাহায্য দেওয়া হয়েছিল এবং শুরুতে এটি পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একটি নৈতিক অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে যদিও সেখানে মানুষকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হচ্ছিল। তেমন প্রমাণ চাওয়া হয়নি। রক্তপাত এবং ধ্বংস এত পরিমাণে হয়ে যে এটাকে পগ্রমের (পগ্রম হচ্ছে একটি নির্দিস্ত গ্রুপের উপর ঘটানো পরিকল্পিত ধ্বংসলীলা) সাথে তুলনা করা যেতে পারে।

কিন্তু পাকিস্তানিদের কর্মকান্ডের প্রমাণ পরিলক্ষিত হচ্ছে ভারতে। অনেক আগেই সেই সংখ্যা ১০ মিলিয়নে পৌঁছেছে। তাদের অবস্থা অনেক খারাপ হয়ে গেছে। তারা পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকদের শাসনের বিরিধিতা করছিল।

এটা মনে করা কষ্টকর যে এই সব প্রমাণ বিশ্বব্যাপী এবং জাতিসংঘকে ততটা আগ্রহী করেনি যে তারা ইসলামাবাদকে তাদের সন্ত্রাস বন্ধ করতে বলবে এবং একটি বেসামরিক প্রশাসন চালু করতে বলবে। তবে ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও অন্যান্য পশ্চিম পাকিস্তানী নেতারা এসব অগ্রাহ্য করেছে যখন ক্র্যাকডাউন শুরু হয়েছে। সপ্তাহ যেতেই তাদের কাছে পরিষ্কার হল যে তারা কত বর্ব ভুল করেছে। গৃহযুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। জাতি প্রায় ভেঙ্গে পড়েছে। পুনর্নির্মাণের অত্যাশ্চর্য সমস্যাগুলি সামনে রয়েছে। সব শেষে কি পরিণতি অপেক্ষা করছে?

যদি কলেরা মহামারীটি শুরু হয় তবে ভারতের লক্ষ লক্ষ শরণার্থীর কি হবে?” এটা ভারতর সমস্যা নয়। সীমান্তে সন্ত্রাসবাদের তীব্রতা যা দাঁড়িয়েছে সেই পরিস্থিতি অনুধাবনের বাইরে।

এটি একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘকে শরণার্থীদের নিজেদের স্বদেশে পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিতে হবে। অর্থাৎ পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের অবস্থা তৈরি করতে হবে যাতে শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন সম্ভব হয় এবং তাদের ফিরে যেতে তারা সাহায্য করবে।

বলের ব্যবহার পাকিস্তানের জন্য একটি তিক্ত ব্যাপার হয়েছে এবং এটি আরও আগালে জাতীয় বিভেদ সৃষ্টি হতে পারে। এখনও জাতীয় সমঝোতার জন্য একটি সুযোগ রয়েছে। বিশ্বের উচিত পাকিস্তানকে জোর করা।