You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.06.13 | বাঙলাদেশ শরণার্থীদের ত্রাণকার্যে ঝাপিয়ে পড়ুন, ছাত্র-যুবদের প্রতি কমিউনিস্ট নেতা গােপাল ব্যানার্জি | কালান্তর - সংগ্রামের নোটবুক

বাঙলাদেশ শরণার্থীদের ত্রাণকার্যে ঝাপিয়ে পড়ুন। ছাত্র-যুবদের প্রতি কমিউনিস্ট নেতা গােপাল ব্যানার্জি
(স্টাফ রিপাের্টার)

কলকাতা, ১২ জুন- বাঙলাদেশের মুক্তিযােদ্ধাদের সাহায্যে এবং শরণার্থীদের ত্রাণ কার্যে ঝাঁপিয়ে পড়ন, কমিউনিস্ট হিসাবে কমিউনিস্টের দায়িত্ব পালন করুন। আজ ছাত্র ও যুবক কমিউনিস্ট কর্মীদের সভায় কমিউনিস্ট পার্টির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পরিষদের সম্পাদক শ্রীগােপাল বন্দোপাধ্যায় এই আহ্বান জানান।
কলকাতা, হাওড়া, গুহরী ও ২৪ পরগণা জেলার যুব ও ছাত্র কমিউনিস্ট কর্মীদের এক সভায় রাজ্যপরিষদের সম্পাদক শ্রীগােপাল বন্দোপাধ্যায় বাঙলাদেশের বর্তমান সংগ্রামের পটভূমি এবং বর্তমান গতি প্রকৃতি সুবিস্তৃত ভাবে বর্ণনা করেন। পূর্ববাঙলার কমিউনিস্ট পার্টি বে-আইনী ঘােষিত ছিল। এমতাবস্থায় মধ্যেও সেখানকার কমিউনিস্ট কর্মীরা কিভাবে কাজ করছেন। তিনি গর্বের সঙ্গে তার উল্লেখ করেন। বাঙলাদেশের প্রগতিশীল যুব শক্তি এবং তরুণ কমিউনিস্ট কর্মীরা কি অসীম সাহসের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে নেমেছেন তার কয়েকটি নজীর তুলে শ্ৰী বন্দোপাধ্যায় বলেন এই ধরণের কথা যে কোন পার্টির পক্ষেই গর্বের। শ্রী বন্দোপাধ্যায় বলেন পূর্ব বাঙলার কমিউনিস্ট কর্মীদের অনেক কিছুর শেখার আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আন্তর্জাতিক দায়িত্ব
শ্ৰীবন্দোপাধ্যায় বলেন কমিউনিস্টদের কমিউনিস্ট হিসাবে পরিচয় দিতে হলে নিজের আন্তর্জাতিক দায়িত্ব পালন করতে হবে, এবং এখনাকার কমিউনিস্ট কর্মীদের এই পরীক্ষা দেবার সময় এখন এসেছে। তিনি বলেন দেশের মধ্যে কিছু শক্তি ‘দলবাজির নামে কিংবা প্রতিক্রিয়ার শক্তিকে সহায়তা করার জন্য শরণার্থীদের আসা সম্পর্কে নানা ধরণের ঘটনার সৃষ্টি করছেন সেই বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
শ্ৰী বন্দোপাধ্যায় দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, বাঙলাদেশের মানুষের এই সংগ্রাম জয়ী হবেই এবং যে শরণার্থী এই দেশে আসছে তাদের ঘরের সন্তানরাই সংগ্রামে সাফল্য আনবে এবং শরণার্থী হিসাবে আসা মানুষ আবার তার ঘর-বাড়িতে ফিরে যাবেন।
যুব আন্দোলন।
শ্ৰীবন্দোপাধ্যায় বলেন “বাঙলাদেশের সমস্যা বাদ দিয়ে বর্তমানে এখানে কোন আন্দোলন হতে পারে , তবে বাঙলাদেশের জন্য কাজ করার সঙ্গে সঙ্গে এখানকার সমস্যা নিয়েও আন্দোলন করতে হবে। এই দেশে বেকারীর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তােলার জন্যও তিনি বলেন। সভায় শ্রীমতি ইলা মিত্র ও শ্রীগুরুদাস দাশগুপ্ত ও বক্তব্য রাখেন। সভায় স্থির হয় শরণার্থীদের ত্রাণ কার্য ও অন্যান্য কাজের জন্য যুব ও ছাত্রদের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বেশ কিছু দিনের জন্য সীমান্ত অঞ্চলে যাবেন।

সূত্র: কালান্তর, ১৩.৬.১৯৭১