You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.05.20 | আনন্দবাজার পত্রিকা, ২০ মে ১৯৭১, সীমান্ত দেখতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী, উদ্বাস্তু মন্ত্রী আসছেন - সংগ্রামের নোটবুক

আনন্দবাজার পত্রিকা
২০ মে ১৯৭১
সীমান্ত দেখতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী, উদ্বাস্তু মন্ত্রী আসছেন
স্টাফ রিপোর্টার

বাংলাদেশে দখলদার পাক ফৌজ ইদানীং পশ্চিমবঙ্গ ওঁ পূর্বাঞ্চলের অপর কয়েকটি রাজ্যের সীমান্ত লঙ্ঘন করে গুলো চালানোয় ভারত সরকার বিশেষ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের মনোভাব এ ব্যাপারে কঠোরতর হচ্ছে। ঐ সীমান্ত এলাকার প্রকৃত অবস্থা পরিদর্শনের জন্য ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শ্রী জগজিবন রাম তাই নিজে আগামী শনিবার দুই দিনের জন্য পশ্চিমবঙ্গে আসছেন। তিনি আসামের কয়েকটি সীমান্ত অঞ্চলও পরিদর্শন করতে চান।

শ্রী রাম ছাড়া কেন্দ্রীয় পুনর্বাসন মন্ত্রী শ্রী আর কে খালিদকরও শনিবার রাত্রে কলকাতায় আসছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা সংক্রান্ত অতিরিক্ত সচিব শ্রী আর এন চোপড়া বুধবার কলকাতায় এসেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধির আসাম ওঁ পশ্চিমবঙ্গ পরিদর্শনের এক সপ্তাহের মধ্যেই কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওঁ উদ্বাস্তু পুনর্বাসন মন্ত্রী সীমান্ত সফর বিশেষ তাতপর্যপূর্ন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছেন। হানাদার ফৌজের বারবার ভারত সীমান্তে হানা প্রতিরোধ ভারত সরকার কতদূর অগ্রসর হবেন এবং শররনার্থিদের সম্পর্কেই বা কি ধরনের ব্যাবস্থা অবলম্বন করবেন শ্রী রাম ওঁ শ্রী খাদিলকরের সফরের পর তা চূড়ান্ত নির্ধারিত হতে পারে বলেও তথ্যাভিজ্ঞমহলে মনে করা হচ্ছে।

এই সম্পর্কে আলোচনাকালে একজন সরকারী মুখপাত্র বুধবারও পাকফৌজ কর্ত্রিক পেট্রাপোল সীমান্তে এবং সুন্দরবন এলাকার খোজডাঙ্গায় গোলাগুলি বর্ষনের উল্লেখ করেন। সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ওঁ প্রতিরক্ষামন্ত্রী এর আগে পাক ফৌজের সীমান্ত লঙ্ঘন ভারত সরকার করবেন না বলে যে মন্তব্য করেছেন তিনি তারও উল্লেখ করেছেন।

বুধবার কোলকাতায় রাজ্য সরকারের সূত্রে এই দুজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আসার খবর পাওয়া গেছে।

জানা গেছে শনিবার সকালে প্রতিরক্ষামন্ত্রী শ্রী রাম সরাসরি বাগডোগরায় আসছেন। সেখান থেকে তিনি কোচবিহারে হলদিবাড়ি ওঁ সুরতি এলাকায় যাবেন। এরপর আসাম সীমান্ত ঘুরে সন্ধ্যায় কলকাতায় আসবেন ওঁ রাত্রে এখানে থাকবেন। পরদিন রবিবার সকালে তিনি চাকুলিয়া ওঁ বনগাঁয় যাবেন। কয়েকটি শরনার্থি শিবির পরিদর্শন করবেন। অপরাহ্নে দমদম বিমান ঘাঁটিতে ফিরে এসে দিল্লি প্রত্যাবর্তন করবেন।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী খালিদকর শনিবার রাত্রে এখানে আসবেন এবং রবিবার বনগাঁ সীমান্ত এলাকা ওঁ শিবির পরিদর্শন করবেন।

রাজ্যমন্ত্রিদের দিল্লি যাত্রা
এদিকে বাংলাদেশের শরনার্থিদের ত্রাণ ব্যাবস্থা নিয়ে আলোচনার জন্য বুধবার সন্ধ্যায় তিনজন মন্ত্রী শ্রী সন্তোষ রায়, ডাঃ জয়নাল আবেদিন এবং শ্রী তরুণ কান্তি ঘোষ দিল্লি গিয়েছেন। উপ-মুখ্যমন্ত্রি শ্রী বিজয় সিংহে নাহার এদিন সকালেই দিল্লি রওনা হন।

শরনার্থিদের ত্রাণ বাবদ ২৪০ কোটির একটি কর্মসূচি এদিন রাজ্য মন্ত্রীসভায় অনুমোদন করা হয়। এই কর্মসূচি অনুযায়ীই ঐ চারজন মন্ত্রী কেন্দ্রের কাছে ২৪০ কোটি টাকা চাইবেন। রাজ্য মন্ত্রিবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং পুনর্বাসন মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন।