মসজিদের উপর পাকিস্তানী গােলা, ইমাম নিহত
কৃষ্ণ দেবনাথ। ঝিকরগাছা যশাের, ৬ এপ্রিল–পাকিস্তানী মিলিটারির কামানের গােলার চাঁচড়ার মসজিদ উড়ে গিয়েছে। নামাজ পড়ার সময় সেখানকার ইমামও সেই সঙ্গে নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানী ফৌজ এদিন চাঁচড়ার মােড় থেকে মালঞ্চের দিকে এগিয়ে আসার সময় মুক্তিযােদ্ধাদের হাতে দারুণ মার খায়। প্রবল প্রতিরােধে তারা শেষ পর্যন্ত হঠে যায়। এর পর মিলিটারি ফরিদপুর গ্রামে কামান ও মেশিনগানের গােলায় ঘরবাড়ি ধ্বংস করে দেয়। কয়েকজনকে দাঁড় করিয়ে হত্যা করা হয়।
রাজশাহী গত ৩১ মার্চ সকাল ৯টার সময় রাজশাহী থেকে ৯ জন পাকসেনা নারায়ন পুর (চারঘাট থানায়) অস্ত্রশস্ত্র সহ প্রবেশ করলে স্থানীয় জনসাধারণ ও মুক্তিযােদ্ধাদের সঙ্গে মােকাবিলা হয়। পরে পাক সেনারা আত্মসমর্পণ করে ও তাদের বন্দী করা হয়। রাজশাহীর বেতার কেন্দ্রের অভ্যন্তরে পাঞ্জাবী সেনা আছে। মুক্তিবাহিনীর লােকেরা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে দেওয়ায় বাইরে থেকে সরবরাহ বন্ধ । গত রবিবার রাজশাহীর ইপি আর হেড কোয়ার্টারে দখলদার সৈন্যরা বােমা ফেলছে।
পাবনা পাবনার কোন প্রকার পাক সৈন্য ছিল না। কয়েকদিন আগে হঠাৎ পাবনায় পাক সৈন্য আসে এবং বাংলার মুক্তিযােদ্ধাদের সঙ্গে সৈন্যদের বিরাট সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষের ফলে পাক বাহিনী বেকায়দায় পড়ে পাবনা হাসপাতালের উপরতলায় আশ্রয় নেয়। পাবনার জেল কয়েদীগণ মুক্তিযােদ্ধাদের সঙ্গে যােগ দিয়ে পাক বাহিনীকে তিন দিক থেকে সাড়াশি অভিযান চালালে চেড়বকলাই, কুয়ার বশীর, মরিপুর ও ভেড়ামােড়াল প্রভৃতি স্থানে ৩০০ পাক সৈন্যের মধ্যে ২১০ জন আত্মসমর্পন করে বাকী ৯০ জন পাক সেনা জেলাস্কুলে আটক পড়ে।
৭ এপ্রিল ‘৭১
সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা