দ্যা ব্যাংকক ওয়ার্ড, ২৪ এপ্রিল, ১৯৭১
সম্পাদকীয়
শরনার্থি সমস্যার সমাধান করতেই হবে
পূর্ব পাকিস্তানের গুরুতর ঘটনাগুলির রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রভাবের জটিলতাগুলি উপেক্ষা করা যায় না। সেখানে যে অযৌক্তিক, অমানবিক পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে তা অবিলম্বে মনোযোগের দাবীদার।
পাকিস্তান থেকে পাঁচশত হাজার শরণার্থী ইতোমধ্যে ভারতে প্রবেশ করেছে এবং এই সমস্যাটি মোকাবেলা করার জন্য দেশটি দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ দেখা যাচ্ছে যে। তবেআন্তর্জাতিক সহায়তা দ্রুতই প্রয়োজন হবে।
ভারত তার সহানুভূতি দেখাচ্ছে কিন্তু ক্রমবর্ধমান খরচ এবং ক্রমবর্ধমানভাবে বাড়তে থাকা শরণার্থীদেরকে পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য শীঘ্রই তা যেকোনো একক ক্ষমতার সামর্থ্যের বাইরে চলে যাবে।
গত বছর যখন বিপুল সংখ্যক পাকিস্তানি নিহত হয়েছিল, তখন জরুরী-ত্রাণ বাহিনী প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছিল যা দুর্যোগ এলাকা থেকে জীবিতদের সাহায্য করতে পারে।
আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমন রেড ক্রস, জাতিসংঘের বিভিন্ন গোষ্ঠী এবং অন্যান্যরা এই ক্ষেত্রে তাদের প্রচেষ্টার জন্য স্মরণীয় প্রশংসার যোগ্যতা রাখেণ। কিন্তু এটি দেখা যায় যে, তারা যতটা ভালো কাজ করে, সেগুলিও কাজে জড়িত লোকেরা পরিচালনা করতে পারে না।
ভারত এখন যে শরণার্থী সমস্যার মুখোমুখি, তা নিঃসন্দেহে একটি দৃষ্টান্ত হবে। শত শত এবং সম্পূর্ণভাবে অসহায় শরণার্থীদের শত শত হাজার হাজার শরণার্থীকে থাকতে দেয়া , খাওয়ানো এবং চিকিৎসার প্রয়োজন মেটানো একটি ভয়ানক দায়বদ্ধতা। এটি যে কোনও জাতি বা গোষ্ঠীর উপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করবে।
জীবন ধ্বংসের জন্য প্রচুর সম্পদ থাকা সত্ত্বেও, এটি অসম্ভব বলে মনে হয় না যে এটিকে অন্য দিকে পরিচালিত করা যায়। মহাকাশের রহস্যগুলি আবিষ্কারের জন্য প্রচুর পরিমাণে ব্যয় করা হচ্ছে। তবে পেছনে পরে থাকা দুর্ভোগের পেছনেও কিছু ব্যয় করা উচিত।
শরণার্থীদের প্রস্থানের কারণ দূর করা প্রায় অসম্ভব তবে মানবিকতার দিক দিয়ে জরুরি ভিত্তিতে সমস্যাটাকে দেখা উচিত। এটি করা আবশ্যক, এটি দ্রুত সম্পন্ন করা আবশ্যক, এবং এটি কার্যকরভাবে করা আবশ্যক।