মাদারল্যান্ড , কাঠমান্ডু, ৮ ডিসেম্বর ১৯৭১, স্বাভাবিকভাবেই সুন্দর
এটা অনেক উল্লেখযোগ্য বিষয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশকে ভারতের স্বীকৃতি অনেকের সন্দেহ দূর করেছে যারা ভেবেছিল যে ভারত আসলে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের ফল হিসেবে “বাংলাদেশ” কে দেখছে।
ভারত তার প্রাথমিক রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জন করেছে। কিন্তু দির্ঘ উন্নয়নের ব্যাপারে প্রশ্ন থেকে যায় যার উত্তর কারো প্রস্তুত নেই। বাংলাদেশের নেতারা অথবা প্রধানমন্ত্রী গান্ধীও সেটা সততার সাথে বলতে পারবেন না।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভেটো প্রদানের ফলে ভারত বাংলাদেশের অঞ্চলের মধ্যে প্রবেশ করার সুযোগ পায় বরং মনে করে যে বাংলাদেশ সরকারকে স্বীকৃতি দেবার সময় হয়ত এসেছে – যেহেতু বিশ্ব জানে যে এই সরকার ৭৫ মিলিয়ন মানুষের স্বীকৃত প্রতিনিধিত্ব করছে।
সব বড় শক্তিগুলো জানত যে ভারত তার নিজের সিধান্ত নিতে বাধ্য হত যদি শরনার্থি সমস্যার জন্য তার অর্থনিতি ধ্বসে যেত।
সব বড় শক্তিগুলোর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশী বিরক্ত করেছে।
স্বাভাবিকভাবেই ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়েছে। কিন্তু তার চেয়ে বড় ঘটনা হল ভারতে অ্যামেরিকার ক্রেডিট বন্ধ করে দেয়া – বিশেষ করে এই উছিলায় যে ভারত কুচক্রী কার্যকলাপে লিপ্ত।
আমেরিকান প্রতিক্রিয়া বোধগম্য নয়। আসলে, কাউকে আমেরিকান পররাষ্ট্র নীতির নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে হলে বেশী দূরে যেতে হবে না – শুধু ভিয়েতনামের দিকে তাকালেই হবে। স্বাধীনতাকে অসম্মান জানানোর প্রচেষ্টা সত্যিই অবিশ্বাস্য।