You dont have javascript enabled! Please enable it!

শরণার্থী সমস্যা ভারতের একার দায় নয়

বিধান সিংহ

 হলদিবাড়ি, ১৬ মে-প্রধামন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী আজ এখানে ঘােষণা করেন, শরণার্থী সমস্যা কিছুতেই ভারতের একার সমস্যা হতে পারে না। তা আন্তর্জাতিক সমস্যা এবং শরণার্থী ত্রাণে আন্তর্জাতিক সাহায্য চাই। এ দায় সকলকেই বহন করতে হবে।

শ্ৰীমতী গান্ধী এদিন হলদিবাড়ি এবং দেওয়ানগঞ্জে বাংলাদেশ থেকে আগত শরণার্থীদের দেখতে আসেন। এতদিন যে শত সহস্র দুর্গত মানুষ পরম আগ্রহে দিল্লির দিকে তাকিয়ে ছিলেন তারা প্রধানমন্ত্রীকে কাছে পেলেন, ভরসাও পেলেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের বললেন, আমি এসেছি আপনাদের পিছনে ভারতের জনগণের সমর্থনের কথা জানাতে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শ্রীমতী পদ্মজা নাইডু ও কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী শ্রীসিদ্ধার্থশঙ্কর রায়।

মা, আপনার শরণ নিয়েছি’

 বেলা ১০-২৫ মিনিটে হেলিকপটার থেকে নেমেই প্রধানমন্ত্রী সােজা চলে গেলেন গারলস স্কুল শরণার্থী শিবিরে। গিয়ে দাঁড়ালেন বৃদ্ধ শরৎ কুমারীর দরজায়। ঘর থেকে বােটকা গন্ধ আর এক ঝাঁক মাছি এসে পড়ল। মাছি প্রধানমন্ত্রীর মুখের ওপরেও। কিন্তু তবু তিনি সরলেন না। —

১৭ মে ‘৭১

ইন্দিরাজীর প্রতিশ্রুতি 

হলদিবাড়ি, ১৬ মে-বাংলাদেশ থেকে আগত শরণার্থীদের শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী আজ এই প্রতিশ্রুতি দেন যে, ভারতে যদিও জনসংখ্যা অনেক বেশি এবং খাদ্যাভাবও রয়েছে তবুও মানবিক কারণে ভারত তাঁদের (শরণার্থীদের জন্য খাদ্য ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করবে।

ইন্দিরাজী আজ সকালে দুটি জন সভায় বক্তৃতা দেন-হলদিবাড়িতে ও দেয়ানগঞ্জে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন-পাকিস্তানের কাছে যেটা তার আভ্যন্তরীণ ব্যাপার ভারতের কাছে সেটা গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

-পিটিআই।

প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি প্রত্যাবর্তন 

নয়াদিল্লি, ১৬ মে-দুইদিন ধরে আসাম, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গের উদ্বাস্তু শিবিরগুলি পরিদর্শন করে প্রধানমন্ত্রী শ্ৰীমতী ইন্দিরা আজ রাত্রে এখানে ফিরে এসেছেন।

১৭ মে ‘৭১

Reference: ১৭ মে ১৯৭১, দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা 

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!