এক্সপ্রেশন, স্টকহোম, ১২ এপ্রিল ১৯৭১
বাংলায় গণহত্যা
পাকিস্তানের সামরিক সরকার একটি ছবি প্রকাশ করেছে যাতে প্রমাণিত হয়েছে মুজিবুর রহমান বন্দী আছেন।
তাকে বন্দী হিসেবে দেখিয়ে তারা পূর্ব পাকিস্তানের মনোবল দুর্বল করতে চাইছে। কিন্তু এই ছবির প্রমাণ যথেষ্ট বিশ্বাসী নয়। কেন এটা এত আগে দেখানো হল? কেন কোন তারিখ দেওয়া হয়নি? কেন তারা মুজিবকে দেখাচ্ছেনা?
এটা সুস্পষ্ট যে ইয়াহিয়া খানের সরকার রহমানকে শহীদ হওয়া থেকে প্রতিরোধ করতে চায়। প্রশ্ন হল, তাতে পূর্ব পাকিস্তানের অবস্থার পরিবর্তন হবে কিনা। রহমান সহ বা রহমান ছাড়া পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ সরে দাঁড়াবে না।
এখন আমরা জানি সামরিক শাসক তথ্যগুলো লুকাতে কি কি করেছেন। শরণার্থীরা পশ্চিম পাকিস্তানী সৈন্য দ্বারা ব্যাপক বোমাবাজি, বেপরোয়া ধাওয়া এবং গণহত্যার শিকার হচ্ছেন।
হাজার হাজার মানুষ তাদের ঘর-বাড়ী থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। অনাহারের সম্মুখীন তারা। এটা বোঝানো হচ্ছে যে পাকিস্তানের একতা রক্ষা করতে হবে। সামরিক শাসক সহিংসতা ব্যবহার করে দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনের ফলাফলকে অবজ্ঞা করতে চাচ্ছেন। শাসকরা এই নির্বাচনের ফলাফল গেলার জন্য প্রস্তুত ছিল না। তার পরিবর্তে তারা সামরিক শাসন চালাচ্ছে। এটা নিশ্চিত যে এই পদ্ধতি পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের পুনর্মিলন করবে না। নির্মমতার ধারাবাহিকতা চলবে অথবা যুদ্ধ শুরু হবে – এই দুটো পথই খোলা আছে।
এই পলিসিকে অবশ্যই নিন্দা করা উচিৎ।