১৮ই ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ বগুড়া আত্মসমর্পণ
ঢাকায় ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী মিত্র বাহিনীর নিকট আনুষ্ঠানিক ভাবে আত্নসমর্পন করলেও বগুড়া ভারতীয় সেনাবাহিনী ও মুক্তিবাহিনী দ্বারা অবরুদ্ধ থাকে। ব্রিগেডিয়ার তাজাম্মুলের ২০৫ ব্রিগেডের একাংশ আগেই আত্মসমর্পণ করে কিন্তু অধিনায়ক তাজাম্মুল হুসাইন মালিক আত্মসমর্পণ না করে পলায়ন বা প্রতিরোধের নিমিত্তে নওগাঁর দিকে অগ্রসর হন। তার ইচ্ছা ছিল নওগা এবং চাপাইয়ে তার দেড় ব্যাটেলিয়ন সৈন্য ছিল তা দিয়ে কিছুদিন প্রতিরোধ করা। এর মধ্যে তিনি আটক ও আহত হন। তাকে ভারতীয় ফিল্ড হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। সকল ডিভিশন এলাকায় আত্মসমর্পণ ডিভিশন জিওসিদের মধ্যে করার কথা থাকলেও সিলেটের ৮ ডিভিশন জিওসি কেভি কৃষ্ণা রাও ঢাকায় থাকায় এবং পাকিস্তানী জেনারেল কাজি মজিদকে সিলেটে না পাওয়ায় সেখানে ব্যাটেলিয়ন অধিনায়কের কাছে, পাকিস্তানী জিওসি পলাতক থাকায় ২৩ ডিভিশনের জিওসি কুমিল্লায় ব্রিগেড অধিনায়ক থেকে আত্মসমর্পণ নেয়ায় চট্টগ্রামে ব্রিগেড পর্যায়ে আত্মসমর্পণ হয়। ১৮ই ডিসেম্বর নাটোর হেড কোয়ার্টারে থাকা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ১৬ ডিভিশন জিওসি মেজর জেনারেল নজর হোসেন শাহকে হেলিকপ্টারে করে বগুড়ায় আনা হয়। এর পর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পক্ষে মেজর জেনারেল নজর হোসেন শাহ এবং মিত্র বাহিনীর পক্ষে মেজর জেনারেল লচমন সিং লেহ্ল (২০ মাউন্টেইন ডিভিশন) আত্নসমর্পন দলিলে স্বাক্ষর করেন।