ইয়াঙ্কি | আঙ্কারা নিউজ ম্যাগাজিন | ২০-২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ | পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না
জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সরকার চালাবে বলে ইয়াহিয়া খান যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা সম্ভবত বাস্তবায়ন হবেনা। পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হওয়ায় বেসামরিক শাসন পদ্ধতি শুরু করা সম্ভব নয়। কিন্তু আসল কারণ হচ্ছে উচ্চাভিলাষী সামরিক শাসক ক্ষমতার লাগাম ছাড়তে চাচ্ছেনা।
পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল টিক্কা খানের জায়গায় একজন বেসামরিক লোককে পদায়ন করা হয়েছে। বিদেশী কূটনীতিকরা কেউ কেউ এ সিদ্ধান্ত সমর্থন করেছেন। যতদিন টিক্কা খান পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর থাকবেন ততদিন একটি মধ্যমেয়াদী নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে ৭৮ টি আসনের জন্য “উপযুক্ত” প্রার্থী খুঁজে পাওয়া অসম্ভব হবে।
সামরিক চক্র মুসলিম লীগকে সমর্থন করে যারা গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে একটি সিটও জিততে পারেনি। আরেকটি বিকল্প ছিল পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টি যার নেতৃত্বে ছিলেন নুরুল আমিন। কিন্তু আমিন মানুষের মধ্যে মোটেই জনপ্রিয় নন।
পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর সাবেক কমান্ডার মার্শাল আসগর খানের দলকে জাতীয় পরিষদে সংবিধান প্রস্তুতির দায়িত্ব দেয়া হবে।
যতক্ষণ মুজিবুর রহমানের মুক্তি না হবে এবং আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিতে সুযোগ না দেয়া হবে ততোক্ষণ পাকিস্তানের ঐক্য স্থাপন অসম্ভব। যদিও বর্তমান শাসনাধীনে তার প্রশ্নই ওঠে না …