১৫ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ জন কেলীর ডায়েরী থেকে।
হোটেলে কেলীর কক্ষে যেয়ে সাবেক গভর্নর তার সাথে দেখা করে জানান পদত্যাগ এবং গভর্নর হাউজ ত্যাগ করার মাঝের সময়ে তার কাছে ইয়াহিয়ার আত্মসমর্পণের অনুমতি সম্বলিত বার্তা আসে। তাহা তিনি গ্রহন করেছিলেন। কেলী লিখেছেন এটাই আত্মসমর্পণ এর পক্ষে প্রথম বার্তা। মালিক তাকে জানান ইয়াহিয়ার বার্তার ব্যাপারে তিনি নিয়াজির সাথে যোগাযোগ করতে পারছেন না। মালিক হতাহত কমানোর স্বার্থে অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতি পালনের জন্য সকল প্রকার যোগাযোগ করার জন্য তিনি কেলীকে দায়িত্ব প্রদান করেন। কেলী ও তার অধিনস্ত ৩ কর্মকর্তা নিরপেক্ষ জোনে কর্মরত পাকিস্তানী লিয়াজো অফিসার( সিভিল ড্রেসে দায়িত্ব) কর্নেল গফুরের সাথে বৈঠক করে নিয়াজির সাথে যোগাযোগে সক্ষম হন। টেলিফোনে মালিক নিয়াজিকে বলেন প্রেসিডেন্ট এর আত্মসমর্পণের বার্তায় তিনি কতটুকু অগ্রসর হয়েছেন। উত্তরে নিয়াজি মালিককে বলেন এ বিষয়ে তিনি তার সাথে আলাপ করতে চান এবং তাকে ক্যান্টনমেন্টে আসতে বলেন। কেলী মালিককে বলেন তিনি যদি একবার নিরপেক্ষ জোন ত্যাগ করেন তবে তার নিরাপত্তার দায়িত্ব আর থাকবে না।
কেলী মালিক কে বলেন নিয়াজিকে এখানে আসতে বলুন নয়তো রাও ফরমান আলীকে সেখানে পাঠান। রাও এর মধ্যেই সেখানে আসেন সেখানে মালিক গফুর এবং রাও এর মধ্যে বৈঠকের বেবস্থা করে দেন এবং নিজে এ থেকে দূরে রাখেন। সেখানে রাও কেলীকে দাকেন এবং তার হাতে একটি প্রস্তাব হস্তান্তর করেন যেটি নিয়াজির অনুমোদন এবং ইয়াহিয়ার কাছে প্রেরনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। যাতে ছিল পূর্ব পাকিস্তানে যুদ্ধ বিরতি এবং সকল প্রকার হিংসাত্মক কার্যক্রম বন্ধ করা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পূর্ব পাকিস্তানে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর
জাতিসংঘ যা নিশ্চিত করবেন পশ্চিম পাকিস্তানে প্রেরনের পূর্বে সকল পাকিস্তানী বাহিনীর , সকল পশ্চিম পাকিস্তানি বেসামরিক নাগরিকের এবং সকল মোহাজের নাগরিকের পূর্ণ নিরাপত্তা বিধান। ২৫ মার্চের পর পাকিস্তানী বাহিনীকে সহায়তাকারী সকল সরকারী কর্মকর্তা, বেসরকারি কর্মকর্তা , জনগণ এর উপর কোন প্রতিশোধ মুলক বেবস্থা গ্রহন না করা। এদিন রাও ফরমান আলী চলে যান এবং রাত নয়টায় এসে জানান নিয়াজি তা অনুমোদন করেছেন এবং ইয়াহিয়া একটি অনুচ্ছেদ বাদে (জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পূর্ব পাকিস্তানে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর) তা গ্রহন করেছেন। ১৫ তারিখে আত্মসমর্পণের আলোচনা এ স্তরেই শেষ হয়।