১১ ডিসেম্বর, ১৯৭১ঃ হিলি ফ্রন্টে যুদ্ধ
সম্মিলিত বাহিনী (৩৪০ ব্রিগেড) বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের মধ্যবর্তী গোবিন্দগঞ্জে শক্তিশালী পাকঘাঁটির (২ কোম্পানি কম ৩২ বালুচ, ৩২ পাঞ্জাবের এক কোম্পানি, এক কোম্পানি ১৩ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটেলিয়ন, ১ কোম্পানি ৮৩ মুজাহিদ, ট্রুপ শাফি ট্যাঙ্ক , ১০৫ এমএম হাউতজারস) ওপর সাঁড়াশি আক্রমণ চালায়। সারারাত যুদ্ধের পর পাকবাহিনী ভোরের দিকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। এখানে ভারতীয় টি-৫৫ ট্যাঙ্ক বাহিনী ইনফ্রা রেড ডিভাইস ব্যাবহার করে। হিলিতে প্রচণ্ড যুদ্ধের পর ১৬ ডিভিশন সেখান থেকে ৪ এফএফ এবং সহায়তা বাহিনী প্রত্যাহার করলে হিলির পতন ঘটে। এর আগে ২৪ নভেম্বর থেকে এখানে দুই দফা হামলা করেও হিলি দখলে সক্ষম হয়নি মিত্র বাহিনী। উত্তর থেকে পাকিস্তানীরা পীরগঞ্জে মিত্র বাহিনীর উপর হামলা করে কিন্তু তারা সাফল্য লাভ করেনি।ভাদুরিয়াতে ৬৬ ব্রিগেড তুমুল যুদ্ধের পর দখল করে নেয়। যুদ্ধে ১৭ কুমাউন ৫৫ জন সৈনিক হারায়। পাক বাহিনীর ৮৫ জন নিহত হয়।