৯ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ চাঁদপুর ফ্রন্ট- পাক বাহিনীর পলায়ন
একদিন আগে থেকেই চাদপুরের ৭০০ জনের মত পাকিস্তানী বাহিনী ( ডিভিশন সদর,পুলিশ, রাজাকার) চাদপুর ত্যাগ করে তবে ডিভিশনের অন্যান্য উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তারা ভোরের দিকে নৌ বহরের গান বোটের মাধ্যমে পলায়ন করে। তাদের পলায়ন ভারতীয় বাহিনী অবগত ছিল। রাতের অন্ধকারে প্রথম দিকের বাহিনী ভোরের আগেই নারায়ণগঞ্জে পৌঁছে। জিওসি এর বহরের জাহাজ চাদপুর আসার পথে চরে আটকা পড়ে ফলে তাদের বহর বিলম্বে দিনের আলো আসার সাথেই রওয়ানা হতে হয়। নারায়ণগঞ্জের কাছাকাছি এলে ভারতীয় বিমান বাহিনী সকাল ৮ টার দিকে তার বহরে বিমান হামলা করে। এতে রহিমের এডিসি, একজন স্টাফ অফিসার ছাড়া সবাই আহত হয়। নিহত হয় মেজর বিল্লাল সহ কয়েকজন। মেজর বিল্লাল ছিলেন কুমিল্লার ২ এসএসএফ এর কোম্পানি কম্যান্ডার। শেখ মুজিবকে ২৫ মার্চ গ্রেফতারের দলে তিনি সেকেন্ড ইন কম্যান্ড ছিলেন। এই হামলায় মেজর জেনারেল রহিম পায়ে আঘাত প্রাপ্ত হন। আঘাত গুরুতর কিছু না হলেও রহিম এই আঘাত দেখিয়ে সিএমএইচ, গভর্নর /বঙ্গভবনে ১৬ ডিসেম্বর মাঝ রাত পর্যন্ত কাটিয়ে দেন। সেই রাতে ১৩৩ জন বার্মা পলাতকের দলে তিনি ছিলেন শীর্ষ কর্মকর্তা। আহতদের ঢাকায় পৌছার পর পিলখানায় এপকাফ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এদের কাউকে কাউকে পরে সিএমএইচ এ নেয়া হয়। লণ্ডভণ্ড ৩৯ ডিভিশন কমান্ড করার জন্য ব্রিগেডিয়ার মিয়া মোঃ মনসুরকে নিয়োগ দেয়া হয়। এই ডিভিশন এই দিনে টুকরা টুকরা অবস্থায় কেউ লাকসামে যুদ্ধরত, কেউ ময়নামতি পলায়নরত, কেউ তার বাহিনী নিয়ে ফাকা কৃষি মাঠে, কেউ কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এর দিকে ছুটছিল। রহিমের সৈন্যরা যখন নারায়ণগঞ্জে তখন ব্রিগেডিয়ার সোধির প্যারা ট্রুপসরা তাদের হামলার চেষ্টা করে। (মেঘনা হেলি