You dont have javascript enabled! Please enable it!

৮ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ চাদপুর কুমিল্লা ফ্রন্টে যুদ্ধ

৭ ডিসেম্বর রাতে সীমান্তবর্তী এলাকার তিনদিকে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর ৩০১ ব্রিগেডের ১৪ জাঠ ব্যাটেলিয়ন একটি মর্টার ব্যাটারি সহ এবং ১৯৭ পার্বত্য রেজিমেন্ট এবং লে. দিদারুল আলমের নেতৃত্বে ৯ বেঙ্গলের একটি দল এসে ভুসি, গজারিয়া, লক্ষ্মীপুর দখলে নেয়ার পর কুমিল্লা বিমানবন্দরে পাকিস্তানি বাহিনীর ৩০ পাঞ্জাব রেজিমেন্টের ঘাঁটিতে আক্রমণ শুরু করে। তারা বাঙ্কার থেকে বাঙ্কার আক্রমন করে। এখানে পাক বাহিনীর ১ জন মেজর সহ ৪৩ জন নিহত হয়। আটক করা হয় ৩১ জনকে। মিত্র বাহিনীর ৬ জন নিহত ১১ জন আহত হয়। পাকিস্তানি বাহিনীর কিছু সেনা বিমানবন্দরের ঘাঁটি ত্যাগ করে শেষ রাতে বরুড়ার দিকে। মিত্রবাহিনীর ১৪ জাঠ রেজিমেন্টের আর কে মজুমদারের নেতৃত্বে কুমিল্লা বিমানবন্দরের তিন দিকে আক্রমণ চালানো হয়। পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে যুদ্ধে ২৬ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।
পর দিন ৮ ডিসেম্বর কুমিল্লা পাক সেনা মুক্ত হয়। বিকেলে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা মিত্রবাহিনী জনতার উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। তৎকালীন পূর্বাঞ্চলের প্রশাসনিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মরহুম জহুর আহমেদ চৌধুরী, দলীয় পতাকা এবং কুমিল্লার প্রথম প্রশাসক অ্যাডভোকেট আহমেদ আলী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন
চাদপুরে, ৭ ডিসেম্বর জেলার চিতোষী, মুদাফরগঞ্জ, বাবুরহাট, ফরিদগঞ্জ এলাকায় মুক্তিবাহিনী ও মিত্র বাহিনীর তীব্র আক্রমণের মুখে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আর দাঁড়াতে পারেনি। তারা চাঁদপুরে সরে যায়। একের পর এক পরাজয়ে নিয়াজির পর ২য় শক্তিশালী অধিনায়ক ঢাকায় পলায়নের চিন্তা করেন তিনি নৌ বাহিনীর ২ টি গান বোট চান তাকে একটি দেয়া হয় বাকী নৌযান স্থানীয় ভাবে সংগ্রহ করা হয়। দিনে স্থানান্তর নিরাপদ নয় ভেবে রাতে পলায়নের সময় নির্ধারণ করেন।
৭-৮ ডিসেম্বর মিত্র বাহিনী হাজীগঞ্জ অবস্থান নেয় হাজীগঞ্জে হরিন্দর সিং সোধীর ৩০১ ব্রিগেডের ১/১১ গুর্খার সাথে পাক ২১ এ কে বাহিনীর সাথে সংঘর্ষ চলে। অবশিষ্ট সৈন্যদের নারায়ণগঞ্জ ঢাকা পাঠানো শুরু হয়। হরিন্দর সিং সোধীর ৩০১ ব্রিগেড মাইনাস বিকালের দিকে চাঁদপুর প্রবেশ করা শুরু করেন সাথে মুক্তিবাহিনী

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!