You dont have javascript enabled! Please enable it!

৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ সিলেট ফ্রন্ট

ডাউকিতে অবস্থানরত ইকো সেক্টরকে কয়েকদিন আগে ৪ কোরের ৮ ডিভিশনে ন্যাস্ত করা হলেও এই দিন থেকেই মেজর জেনারেল কে ভি কৃষ্ণা রাও তাদের উপর দায়িত্ব পালন শুরু করেন। (ইকো সেক্টর ৩ ইবি, ৫/৫ গুর্খা, ৮৬ বিএসএফ অধিনায়ক ব্রিগঃ ওয়াটকি, সংযুক্ত লেঃ কঃ জিয়াউর রহমান)। নির্দেশ পাওয়া মাত্রই তারা অগ্রসর হয়ে সিলেটের কাছাকাছি হরিপুরে চলে আসে। সেখানে প্রচণ্ড যুদ্ধের পরও মিত্র বাহিনী আর অগ্রসর হতে পারল না। দক্ষিন দিক থেকে ৬ রাজপুত এদিন ফেঞ্চুগঞ্জ পর্যন্ত অগ্রসর হয়। ৩ পাঞ্জাব মুনশিরবাজারে, ১০ মাহার, ৪ কুমাউন মৌলভীবাজারে ৬ কিমি পূর্বে অবস্থান নেয়। পাকিস্তানের ২২ বালুচ সকল ক্ষেত্রেই পিছু হটে। মৌলভীবাজারে অবস্থানরত পাকিস্তানী ৩১৩ ব্রিগেডকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে ২৭ ব্রিগেড এর সাথে মিলিত হওয়ার আদেশ দিলেও ব্রিগেড কমান্ডার ইফতেখার রানা তার বাহিনী নিয়ে সিলেট চলে যান। ৪ কোর কম্যান্ডার ৮১ ব্রিগেড আংশিক প্রত্যাহার( ৩ পাঞ্জাব রেখে ১০ মাহার এবং ৪ কুমাউন প্রত্যাহার) করে ৫৭ ডিভিশনে দিয়ে দেন তার পরিবর্তে ৪/৫ গুর্খার কিছু সৈন্য হেলি লিফট করে সিলেটের কাছে নামানোর সিদ্ধান্ত নেন। দুপুর দুইটা হতে সিলেটের শহরের কাছেই মিরাপারায় হেলি লিফট শুরু হয়। ৮ টি এম আই হেলিকপ্টারে দেড় ঘণ্টায় এক কোম্পানির বেশী সৈন্য নামানো হয়।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!