স্মৃতিময় কুকিতল ক্যাম্প
ডা. মৃগেন কুমার দাস চৌধুরী
বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এক গৌরবোজ্জ্বল বীরগাথা মাইলফলক। জাতির কলঙ্কময় ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে বাংলার যে স্বাধীনতা সূৰ্য অস্তমিত হয়েছিল দীর্ঘকাল পর বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা কালে কালে ইতিহাসের সোপান সৃজন করে সে কলঙ্ক উন্মোচন করে একাত্তরের ১৬ই ডিসেম্বর পুনরায় ছিনিয়ে আনে বহু লালায়িত বুকচেরা স্বাধীনতার লাল সূর্যটি, রচিত হয় বাঙালির চূড়ান্ত বিজয়। শাসনের নামে নির্যাতনের মধ্য দিয়ে ২০০ বছরের শোষণের যাতাকলে পিষ্ট উপমহাদেশের জনগোষ্ঠীর জীবনপণ গণআন্দোলনের মুখে সাতচল্লিশে ইংরেজরা শাসনভরা ছেড়ে পালালো, তবে প্রোথিত করে গেল ধর্মের নামে এ অশুভ বীজ। ধর্মের ভিত্তিতে উপমহাদেশে জন্ম নিল দুটো দেশ, ভারত ও পাকিস্তান। বাঙালির ভাগ্যে তা ছিল শুধু ঔপনিবেশিক শাসনের পরিবর্তন মাত্র। পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠি বাঙালি অধ্যুষিত পূর্ব পাকিস্তানীদের উপর প্রথম থেকেই প্ৰভূত্ব সুলভ আচরণ প্রতিষ্ঠিত করলো। বাংলা ভাষা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতিক অবজ্ঞা করলে আমাদের জাতিসত্তা ঝুঁকির সম্মুখীন হয়। স্বল্প সময়েই তথাকথিত মুসলিম ভ্রাতৃত্বের মুখোশ উন্মোচিত হল। পাকিস্তানের জন্মের বছরের মাথায় ১৯৪৮ সালে উর্দুকে বাঙালির মাতৃভাষা হিসাবে চাপিয়ে জিন্না সাহেবের ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাঙালির প্রথম চেতনার উন্মেষ ঘটে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণ অত্যুত্থানের রূপ নেয়। পাকিস্তানি সামন্ত প্ৰভুদের শোষণ, বঞ্চনা ও অপশাসনের নিগ্ৰহ থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদে বিদ্রোহী হয়ে উঠে বাংলার আপামর জনগণ। সেই স্ফুলিঙ্গই দাবানলে পরিণত হয়ে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ।
এ যুদ্ধ স্বতঃস্ফূর্তভাবে শুরু হলেও শীঘ্রই তা জনযুদ্ধে পরিণত হয়। দেশের আপামর জনসাধারণের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতায় মুক্তিযুদ্ধ দুর্বার গতি লাভ করে। সমস্ত যুদ্ধের অনেক অনেক বীরত্বপূর্ণ কাহিনী ও মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী অসংখ্য শহীদ ও বিজয়ীদের বীরত্বগাথা ইতিহাস বিস্মৃতিতে তলিয়ে পড়ছে। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে তা সঠিকভাবে তুলে ধরা দেশপ্রেমিক প্রতিটি ব্যক্তির অবশ্য কর্তব্য। গেরিলা কৌশলে পরিচালনার জন্য বাংলাদেশের সমগ্ৰ ভূখন্ডকে এগারোটি সেক্টরে ভাগকরা হয়। বৃহত্তর সিলেট অঞ্চল নিয়ে গঠিত হয় চার নম্বর সেক্টর, অধিনায়ক ছিলেন লে. কর্নেল চিত্ত রঞ্জন দত্ত (সি আর দত্ত)। প্রশাসনিক সুবিধা ও যুদ্ধ পরিচালনার জন্য সিলেট সেক্টরকে দুটি সাব সেক্টরে বিভক্ত করা হয়। চার নম্বর সেক্টরের অন্তর্গত অন্যতম সাবসেক্টর ছিল কুকীতল (KTL) তা ছিল বাংলাদেশের লাঠিটীলা সীমান্তের নিকটবর্তী । অন্যান্যগুলো ছিল, জালালপুর, বারপুঞ্জি, আমলসিদ, কৈলাশহর ও কমলপুর। লোহারবন নামক স্থানে গেরিলা প্ৰশিক্ষণ দেয়া হত। মৌলভীবাজার মহকুমার (বর্তমান জেলা) কমলগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সহসভাপতি আমাদের অঞ্চলে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম সারির অন্যতম সংগঠক ছিলেন আমার প্রয়াত পিতৃদের মন্মথ কুমার দাস চৌধুরী। উনারই প্রেরণায় আমরা সমস্ত ভাইরা স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মনিয়োগ করার প্রেরণা লাভ করি। ভারতের করিমগঞ্জ শহরে অবস্থানরত জকিগঞ্জের এমপি আ, লতিফ (বর্তমান প্ৰয়াত) ও সিলেটের এমপি দেওয়ান ফরিদ গাজী সাহেবের উৎসাহে সি আর দত্তের সাথে ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত হই। সাব সেক্টর কুকিতালে অবস্থানরত মুক্তিবাহিনীর সাথে যোগ দেই। জেসিও পদবীতে সেখানে তালিকাভুক্তি হই। সে ক্যাম্পকে কেন্দ্র করে রচিত হয় স্বাধীনতা যুদ্ধের পরবর্তী দিনগুলি। স্মৃতির নিরিখে পরম পরিতৃপ্তির সাথে স্মরণ করছি সেখানকার কিছু দৈনন্দিন স্মৃতি।
জুলাই মাসের মাঝামাঝি দিনগুলোতে চা-বাগানে শত্রু পক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আহত হন আর্টিলারি অফিসার ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন শরিফুল হক (ডালিম)। চিকিৎসার্থে অন্যত্র চলে যাওয়ার এর পরবর্তীতে তিনি আর ফিরে আসেন নি। পরবতীতে ফ্লাইট লে. নূরুল কাদের ক্যাম্প কমান্ডার পদে নিযুক্ত হন। উনাকে সহায়তা করতেন বয়োজ্যেষ্ঠ নায়েব সুবাদার মতিউর রহমান। সক্রিয়ভাবে কর্মতৎপর থাকতেন প্ৰবীণ প্রকৌশলী জনাব রব ও নবীণ প্রকৌশলী সালাদীন। এমআই রুমের চার্জে স্বাস্থ্য পরিচর্যায় আমার সহকারী ছিলেন ফার্মাসিষ্ট মকবুল আহমদ (নোয়াখালী) ও পরবতীতে যোগ দেন বিয়ানীবাজারের খলিলুর রহমান। অপারেশন টিমের সাথে আমাকে প্রায়ই ক্যাম্পের বাইরে থাকতে হত। উনারা এম আই রুমের কাজ সুচারুরূপে চালাতেন আমার অবর্তমানে। অনেকের নাম ঠিকানা আজ স্মৃতিতে ঝাপসা হয়ে পড়েছে। ভারতীয় ও আমাদের জাতীয় পর্যায়ে অনেক নেতা ও সংগঠক ক্যাম্পে এসেছেন একাধিকবার। তাদের মধ্যে ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কর্নেল আতাউল গণি ওসমানী, সেক্টর কমান্ডার সি.আর. দত্ত, জেড ফোর্স কমান্ডার মেজর জিয়াউর রহমান প্রবাসী সরকারের স্বাস্থ্য মহাপরিচালক জনাব টি হোসেন, বঙ্গবন্ধু সহোদর শেখ নাসের প্রমুখ। এ সুযোগে তাদের সাথে ঘনিষ্ঠ মেলামেশায় ভিতর দিয়ে বিভিন্ন রণকৌশল ও সমস্যা সম্পর্কে আলোচনা হতো। বাধ্যতামূলকভাবে ভোরে অবশ্যই সবাইকে পিটিতে যে আসতে হতো। জাতীয় পতাকা উড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হত। শ্ৰদ্ধাভরে সামরিক কায়দায় দাঁড়িয়ে। এ সময়ে কারো কারো চোখ ছলছল করতে দেখেছি। ঘরবাড়ি, আত্মীয় স্বজনের, দেশের ভবিষ্যত চিন্তায় মাঝে মাঝে মনে কাতরতা আসতো। সকালের নাশতা ও দিনে দু’বার খাবার পরিবেশিত হতো লঙ্গরে। খাবার প্লেটে বা বাঁশির শব্দে দৌড়াতো সবাই সারিবদ্ধভাবে থালা হাতে নিয়ে। ভদ্রবাবু ও শাহাবুদ্দীন উনারা ছিলেন এ দায়িত্বে। লঙ্গরের পাশে ভাতের ফেনের গন্ধ আজও নাকে লাগে। মাঝেমাঝে একটু ভালো খাবারের ব্যবস্থাও হতো। সেখানে ক্যাম্পের জনসংখ্যা উঠানামা করত। হাইড আউট ক্যাম্প ও বিশেষ বিশেষ অপারেশনে কখনও কখনও বড় সংখ্যক সদস্যরা বাইরে থাকতেন। যুদ্ধের প্রথম দিকে আমাদের ক্যাম্পে রিক্রুটেড যোদ্ধারা স্বল্পতা বিশেষ বিশেষ সমস্যার সৃষ্টি করে। প্রথমদিকে সিলেটের বিভিন্ন রণাঙ্গণে গেরিলাযুদ্ধে অংশ নিতে অস্থানীয় অসিলেটী সদস্যরা খুবই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতো। যুদ্ধের বিশেষ কৌশল হিসাবে গেরিলাযুদ্ধে স্থানীয় জনগণের সাথে স্থানীয় ভৌগোলিক অবস্থানের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পৃক্ততা ছিল অপরিহার্য্য। স্থানীয় ভাষাগত বৈষম্য ও বিভিন্ন এলাকায় রাজাকার, আলবদর ও আলস্যামস ইত্যাদির প্রাধান্যে এরা হিমসিম খান। এদিকে ক্যাম্পে নিয়মানুবর্তিতা ও কাজের চাপ ছিল প্রচুর। এক সময় ক্যাম্পের রক্ষীদের চোখে ধুলা দিয়ে রাতের অন্ধকারে দলে দলে পালানো শুরু হলো। রাস্তায় ওৎ পেতে, রেল স্টেশনে, ট্রেনে, রাস্তায় রাস্তায় গাড়ি তল্লাসী করে ফিরিয়ে আনা হলো। অবশ্য পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে জনগণের আস্থা প্ৰগাঢ় হলেও দক্ষ গাইডের সহযোগিতায় এ দৈন্য কেটে গিয়েছিল। পাহাড়ের পাদদেশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ছড়াগুলোর স্বচ্ছ পানিতে আমাদের রান্না-বান্না গোছল, কাপড় ধোয়াসহ দৈনন্দিন কাজ চলতো। খাবার জন্য আমরা কিছু কিছু সংরক্ষিত গর্তে সঞ্চিত পানিতে পানি-শোধন করে বা পাউডার দিয়ে পান উপযোগী করে রাখতাম। সকালের নাশতায় থাকতো তেলে ভাজা দুটো বড় লুচি ও একমগ চা। দুবেলা খাবারে শাক সবজি, ছাগল, ভেড়ার মাংস, মাছ, ডিম, ডাল ইত্যাদি থাকতো যথেষ্ট পরিমাণে। চতুর্দিকের সুউচ্চ টিলা ক্যাম্পের বেষ্টনী প্রাচীর হিসাবে নিরাপত্তা বিধান করতো উঁচু স্থানে বা পাহাড়ের উপরে তাবু টানানো নিষিদ্ধ ছিল। রাতে মিটমিট আলো তাবুর ভিতরে সীমাবদ্ধ থাকতো। প্রতি রাতের নিরাপত্তা চেক ও পাসওয়ার্ড নিজ দায়িত্বে জেনে নিতে হতো। উচ্ছিষ্ট খাবারের সন্ধানে আসা কুকুরের সংখ্যা বেড়ে গেলে মাঝে মাঝে গুলি করে মেরে ফেলা হতো। ক্যাম্প কমান্ডার বাইরে যাবার সুযোগে সবাই এ সময়টুকুতে আনন্দফুর্তি করে নিতো। ক্যাম্পে জোরে কথাবার্তা বলা শব্দ করা সম্পূর্ণ মানা ছিল। নিয়ম ভঙ্গের জন্য কড়া শাস্তির বিধান ছিল।
রাতে প্রোগ্রাম মতো অপারেশন সমাপ্ত করে ভোরে দলনেতার নেতৃত্বে ক্যাম্প-ফেরত দলগুলো রিপোর্ট করতে হতো। কখনও সাথে আলামত আনতে হতো। কখন সাথে থাকতো চোখ বাঁধা যুদ্ধাপরাধী। নির্দিষ্ট শিবিরে আবদ্ধ রেখে তথ্য সংগ্রহের জন্য সোপর্দ করা হতো গোয়েন্দা বাহিনীর কাছে। কঠোর শাস্তির বিধান ছিল ওদের জন্য। তবে বিনা কারণে যাতে কেউ নাজেহাল না হয় সেজন্য কড়া নির্দেশ ছিল কর্তৃপক্ষের। এ সম্পর্কিত সংরক্ষিত একটা সতর্কীকরণ পত্রের অংশ বিশেষ উদ্ধৃত করা হলো।
পাকসেনা দ্বারা নির্যাতিত বেসামরিক লোক এমনকি পাকসেনাদের দোসরদের প্রতিও আচরণের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নিৰ্দ্ধারিত ছিল। কোনোভাবেই যাতে আমাদের কর্মপ্রবণতা মুক্তিযুদ্ধের মহান উদ্দেশ্যকে ক্ষুন্ন না করে এ ব্যাপারে তীক্ষ্ম দৃষ্টি ছিল কর্তৃপক্ষের। জনগণের প্রগাঢ় আস্থাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের শক্তিশালী হাতিয়ার।
SECRET
Copy of HQ BDF ltr. No. 0016 G Dated 30 Oct. 71.
- It has been brought to the notice of this HQ that civilians coming out from Bangladesh in view of inhuman torturing by Pak Army.
- In future if any such action is brought to the notice of this HQ the Officer/JCO responsible for such illegal action should be dealt with severely.
- Another source report indicates that Muslim leaguers and Jamat-e-Islam pers arrested by Mukti Bahini…..
It is apprehended that our war efforts may be jeopardized and we may loose the confidence of the people of Bangladesh.
- The following guidelines enumerated bellow should be adhered to strictly:-
- Civs coming out from Bangladesh.
Only the suspected cases should be interrogated and handed over to supporting forces HQ for further interrogation and screening.
- Muslim Leaguers/ Jamat-e-Islam etc. may be dealt with as per existing instructions. Nobody should be harassed unnecessarily.
- The above instructions should be followed strictly with immediate effect.
To All Subsectors
….copy
H9 Sector BDF
C/O 99 AAD
No 10071G
O8 Nov. 71
Տd/
Sec. comd.
জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পুর্যন্ত ‘হিট এন্ড রান’ কৌশল অব্যাহত ছিল। এরপর দেশের অভ্যন্তরে বিশেষ বিশেষ লক্ষ্যবস্তু ইত্যাদিতে গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বা বিস্ফোরণ দিয়ে উড়িয়ে স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত করা হতো। ২৯ অক্টোবর কুকিতল ক্যাম্পে যোগ দিলেন আর্টিলারির ক্যাপ্টেন এ. এম. রাশেদ চৌধুরী সে. লে. সাজ্জাদ। পরবর্তীতে এলেন ব্যাটারি কমান্ডার পদে মেজর খন্দকার আবদুর রশিদ, আর্টিলারি ইন্সট্রাক্টর, গান ও বাহিনী সদস্য। যুদ্ধ কৌশল পরিবর্তনের সাথে ক্যাম্পের অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা বাইরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়লে সেক্টর কমান্ডারের নির্দেশে ২য় ফিল্ড আর্টিলারি বাহিনীর সাথে একত্রীভূত হলাম। আমি। ১৯ নভেম্বর শুক্রবার বেলা দু’টায় পাথারিয়া পাহাড়ের গান পয়েন্ট থেকে ‘আল্লাহু আকবর’, ‘জয় বাংলা’, ধ্বনিতে আমাদের প্রথম গোলা নিক্ষিপ্ত হলো শত্রুদের উপর। পরবর্তীতে ৪ ডিসেম্বর গান নিয়ে বাংলাদেশে প্ৰবেশ। ক্রমে এ অগ্রযাত্রার পরিসমাপ্তি ঘটলো সিলেট শহর শত্রুমুক্ত করার যুদ্ধে মোগলাবাজার রেলস্টেশন থেকে সর্বশেষে গোলা নিক্ষেপণের মাধ্যমে সেই ঐতিহাসিক ১৬ ডিসেম্বর। পুনর্বার ক্যাম্পে প্ৰত্যাবর্তন করে ২৪ ডিসেম্বর সব গুছিয়ে বিদায় নিলাম স্বাধীনতা যুদ্ধের এক পূণ্য স্মৃতিময় কুকিতল ক্যাম্প থেকে। বিজয়ের আনন্দের মাঝেও বিদায়ের এ বিষাদ অন্তরকে ক্ষণিকের জন্য শোকাতুর করে তুললো। সারা ক্যাম্প জুড়ে বিশাল শূন্যতা। বিদায় জানালো কুকিতল টিলা আকাশ আর ভারী বাতাস। স্মৃতির মন্দিরে চির উজ্জ্বল হয়ে থাকবে পূণ্যময় কুকিতল।
সবার উর্দ্ধে আজ আমরা স্বাধীন, নিজের পরিচয়ে পরিচিত।