You dont have javascript enabled! Please enable it!

সৈয়দ নজরুল ইসলামের লাশের সুরতহাল রিপোর্টে কী লেখা ছিলো? রিপোর্ট প্রস্তুতকারী ও সাক্ষী কারা ছিলেন?

১। বুকের ডান পার্শ্বে ৬টি বেয়নেটের রক্তাক্ত জখম আছে বলিয়া মনে হয়।
২। মৃতদেহ পচিয়া যাইতেছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য অবিলম্বে জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্ত আলাের ব্যবস্থা করিয়া ময়না তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়া গেল।

সুরতহাল রিপাের্ট (বিস্তারিত)

সৈয়দ নজরুল ইসলাম আমি খন্দকার মিজানুর রহমান, প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট, ঢাকা সদর (উ.) কেন্দ্রীয় কারাগারের ডিআইজি সাহেবের ৪-১১-৭৫ ইং লিখিত ১/ ডিআইজি/১(৪) চিঠি মূলে জানিতে পারিয়া আমি ৪-১১-৭৫ ইং তাং ১৮.০০টার সময় কেন্দ্রীয় কারাগারে উপস্থিত হইয়া জেলার সাহেবের শনাক্তমতে ও পার্শলিখিত সাক্ষীদের উপস্থিতিতে আমি মৃত সৈয়দ নজরুল ইসলাম সাহেবের সুরতহাল প্রস্তুত করিলাম। মৃতদেহ কেন্দ্রীয় কারাগারের নূতন জেলের পূর্ব পার্শ্বের ১নং কোঠায় বারান্দায় একটি কাঠের চৌকিতে উত্তর শিয়রে শায়িত অবস্থায় দেখিতে পাইলাম। তাহার মৃতদেহ সাদা ডােরাকাটা চাদরে আবৃত। তাহার শরীর উলট-পালট করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করিয়া বুকের ডান পার্শ্বে ৬টি বেয়নেটের রক্তাক্ত জখম আছে বলিয়া মনে হয়। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রতিবেদন অনুযায়ী ৩ তারিখের সকাল আনুমানিক ৪-৩০ মি. সময় মৃত্যু সংঘটিত হয়। মৃতদেহ পচিয়া যাইতেছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য অবিলম্বে জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্ত আলাের ব্যবস্থা করিয়া ময়না তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়া গেল। স্বাক্ষর/মি.রহমান ৪-১১-৭৫ ইং মৃতদেহটা জনাব সৈয়দ নজরুল ইসলাম সাহেবের বলিয়া শনাক্ত করিলাম।
স্বা. আমিনুর রহমান
৪-১১-৭৫ ইং
আমাদের সামনে সুরতহাল করা গেল।
স্বা, আ. ওয়াহিদ মৃধা, সােবেদার স্বা, মাে. ইছহাক মিয়া,
৪-১১-৭৫ইং সত্যায়িত, স্বাক্ষর অস্পষ্ট, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বিচার বিভাগ, ঢাকা।

রেফারেন্স – সৈয়দ নজরুল ইসলাম মহাজীবনের প্রতিকৃতি – ফয়সাল আহমদ, পৃষ্ঠা ১৪৩ 

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!