You dont have javascript enabled! Please enable it!

২৮ অক্টোবর ১৯৭১ঃ ধলাই যুদ্ধ, প্রথম দিন

ধলাই বিওপি ছিল পাক বাহিনীর একটি শক্তিশালী ঘাটি। এখানে আশে পাশে মিলাইয়া ২ কোম্পানি ৩০ এফএফ টচি স্কাউট নিয়মিত এবং এপকাফ রাজাকার(ক্যাপ্টেন সাইদ আফ্রিদি) মিলে আরও এক কোম্পানি সৈন্য ছিল। রাত্রে(২৭-২৮) ভারতীয় সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে মুক্তিবাহিনীর ১ বেঙ্গল ধলাই বিওপি আক্রমন করে। সঠিক রেকি না থাকায় প্রথম কয়েক ঘণ্টার যুদ্ধে মুক্তি বাহিনী ছত্রভঙ্গ হইয়া যায়। এই যুদ্ধে ৪ নং সেক্টর বাহিনী সক্রিয় অংশ নেয় নাই। ২৮ তারিখ রাত্রি ৮ ঘটিকায় মুক্তিবাহিনীর সাহায্যে ভারতীয় বাহিনীর ৬১ ব্রিগেডের ( ব্রিগঃ এসডিএস জাদভ) ২ জাত রাইফেলস ব্যাটেলিয়ন( লেঃ কর্নেল দালাল) পাক অবস্থানের উপর আক্রমন করার প্রস্তুতি নিয়েও যুদ্ধ স্থগিত রাখে। ভারতীয় বাহিনীর এই প্রথম সীমান্ত অতিক্রম করে আক্রমন প্রচেষ্টা। সিদ্ধান্ত হইয়াছিল ভারতীয়রা লুঙ্গী পরে আক্রমন করবে কিন্তু সিও দালাল তা মানতে অসম্মত হন। পাকিস্তানীরা অপেক্ষাকৃত উচু এলাকায় কনক্রিট বাঙ্কারে থাকায় তারা সব দিক থেকে সুবিধা পাইতেছিল। ১ ইবি এর এ কোম্পানি ক্যাপ্টেন মাহবুব, বি কোম্পানি ক্যাপ্টেন হাফিজ , চার্লি কোম্পানি ক্যাপ্টেন কাইউম, ডেল্টা কোম্পানি লেঃ পাটওয়ারী এর নেত্রিত্তে যুদ্ধে অংশ নেন। চার্লি কোম্পানি ক্যাপ্টেন কাইউম এর রানার সিপাহী হামিদুর রহমান এই দিনের যুদ্ধে সাহসিকতার সাথে লড়াই করে শহীদ হন। সিপাহী হামিদুর রহমান পরে বীর শ্রেষ্ঠ পদক অর্জন করেন। পাকিস্তানী বাহিনীর দাবী মতে মুক্তিবাহিনীর ৮ জন নিহত ৫০ জন আহত হয়।

 

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!