স্ব-শাসন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে
পূর্ব বাংলার অধিকাংশ শহর মুক্তিযােদ্ধাদের দখলে
পশ্চিমী পাক দস্যুদের ফ্যাসিস্ট বর্বরতার বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান:
দেশব্যাপী স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন: অস্থায়ী সরকারের স্বীকৃতি দাবি
২৫ মার্চ রাত্রি থেকে করাচির মিলিটারি ডিক্টেটর প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খার বিশ্বাসঘাতক আক্রমণের বিরুদ্ধে সারা পূর্ব বাংলায় শুরু হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ। ঢাকা শহর দখল করার সংগ্রামে ৪০ হাজার ছাত্র-যুবক জীবন দান করেছেন। অধিকাংশ শহর ও প্রায় সমগ্র গ্রামাঞ্চল শত্রুমুক্ত হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম প্রভৃতি বড় বড় শহরগুলাে দখলের জন্য শত্রুপক্ষ বিমান ও ট্যাঙ্ক ব্যবহার করেও রুখতে পারছে না মুক্তি সেনাদের দুর্বার অভিযানকে। আকাশ বাণীর সর্বশেষ খবরে প্রকাশ, ঢাকা শহর এখন মুক্তি সেনাদের দখলে।
পূর্ব বাংলার মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে সারা ভারতে জনমত সােচ্চার রয়েছে। দাবি উঠেছে লােকসভা, বিধানসভা এবং অসংখ্য ‘বন্ধ’ ও বিক্ষোভ মিছিলে-ইন্দিরা সরকার স্বীকৃতি দাও, অস্ত্র দাও অস্থায়ী সরকারকে, গণহত্যা বন্ধের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের সাহায্য লও।
ঢাকা থেকে শত শত ছিন্নমূল সংগ্রামী মানুষ আগরতলা এসেছেন, তাদের মুক্তি সংগ্রামের অবিস্মরণীয় কাহিনী নিয়ে। তাদের আজ প্রয়ােজন আশ্রয়, খাদ্য। ত্রিপুরা সরকারকে বাধ্য করতে হবে তার ব্যবস্থা করতে। খােয়াই-এ হরতাল: ছাত্র মিছিলে আনন্দমার্গী হামলা খােয়াই: গত ২৯ মার্চ যুব ফেডারেশন ও ছাত্র ফেডারেশনের সমস্ত গণতান্ত্রিক ডাকে এখানে সর্বাত্মক হরতাল পালিত হয়েছে।
৩০ মার্চ বিদ্যানিকেতন ও অন্যান্য স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা হরতাল করে এক মিছিল বের করলে আনন্দমাগী গুণ্ডাদল মিছিলের উপর আক্রমণ করে। কমরেড স্বপন দাসগুপ্ত সহ কয়েকজন কর্মী গুরুতর আহত হয়েছে।
সূত্র: দেশের ডাক
০২ এপ্রিল, ১৯৭১
১৯ চৈত্র, ১৩৭৭