You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.07.01 | বাংলাদেশের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এলেই শরণাথীগণ দেশে ফিরে যাবেন | ত্রিপুরা - সংগ্রামের নোটবুক

বাংলাদেশের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এলেই শরণাথীগণ দেশে ফিরে যাবেন

২২ জুন, ত্রিপুরার শরণার্থী আগমন পরিস্থিতি সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী শ্রীশচীন্দ্র সিংহ গতকাল বিধানসভায় যে বিবৃতি দিয়েছিলেন আজ তার উপর আলােচনা শুরু হয়। বিভিন্ন সদস্যের আলােচনা-সমালােচনার উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী শ্রীসিংহ বলেন, বাংলাদেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এলেই শরণার্থীগণ দেশে ফিরে যাবেন। তখন শরণার্থীরা মাথা উঁচু করে স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারবেন। পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী বলেছেন যে, বাংলাদেশে যাতে ফিরে যেতে পারেন সে রকম অবস্থার সৃষ্টি করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন যে, শরণার্থীদের প্রতি শুধুমাত্র সমবেদনা নয় তারা যাতে নিজেদের দেশে ফিরে যেতে পারেন তার জন্য ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের সংগ্রামের প্রতি সংযুক্তি ঘােষণা করে তাদের সাথে একসুরে বলছি, জয় বাংলা।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন যে, শরণার্থী ত্রাণের কাজের সাথে সাথে ত্রিপুরায় উন্নয়নের কাজও চলছে। দাদন ও কৃষি ঋণের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। শরণার্থীদের জন্য বাসস্থান নির্মাণ ও অন্যান্য কাজে দিন মজুরদের নিয়ােগ করা হচ্ছে।
আলােচনায় অংশগ্রহণ করে শ্রী তড়িত মােহন দাশগুপ্ত বলেন, বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়ে শরণার্থীদের স্বদেশে ফিরিয়ে দেওয়া হােক। শ্রী অঘাের দেববর্মা বলেন, শরণার্থী আগমনের ফলে ত্রিপুরায় জনসাধারণের অসুবিধা হয়েছে। ত্রাণের কাজের আগে দাদন, টেস্টরিলিফের কাজও শুরু করতে হবে।
কারামন্ত্রী শী প্রফুল্ল কুমার দাস বলেন, মুখমন্ত্রীর বিবৃতিটি বাস্তবধর্মী ও সময়ােপযােগী।
এছাড়া আলােচনায় যারা অংশগ্রহণ করেন, তারা হলেন সর্বশ্রী প্রমােদ রঞ্জন দাশগুপ্ত, যতীন্দ্র কুমার মজুমদার, দেবেন্দ্র কিশাের চৌধুরী, কালী ভূষণ ব্যানার্জী, নিশিকান্ত সরকার ও বিদ্যাচন্দ্র দেববর্মা।
২২ জুন: যে সমস্ত শরণার্থী বিগত ২৬ মে পর্যন্ত ত্রিপুরায় এসেছেন তাদের মধ্যে ২,১৮,৩৩৭ জনকে কলেরা ইনােকুলেশন ও ১,৮৩,৮২৪ জনকে বসন্তের টিকা দেওয়া হয়েছে। তবে এই সংখ্যার মধ্যে রিপাের্ট না পাওয়ায় দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সংখ্যা ধরা হয়নি।
আজ বিধান সভায় প্রশ্নোত্তর কালে রাজ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী শ্রী কৃষ্ণদাস ভট্টাচার্য এ কথা বলেন। তিনি আরাে বলেন যে, ৩১ মে পর্যন্ত আনুমানিক প্রায় ৬ লক্ষ ৫০ হাজার লােককে এই দুই ধরনের টিকা দেওয়া হয়েছে।

সূত্র: ত্রিপুরা
১ জুলাই, ১৯৭১
১৬ আষাঢ়, ১৩৭৮