২৬ নভেম্বর ১৯৭১ঃ বোমাবাজি
ঢাকায় গত দুই সপ্তাহে ব্যাপক হামলায় সরকার তল্লাশি জোরদার করেছে। রয়টারের প্রতিনিধি কেরানীগঞ্জের ঢাকা জুট মিল এলাকা সহ কিছু এলাকা পরিদর্শন করে এসে রাজাকারদের বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাসি করতে দেখেছেন। তারা ঢাকা জুটমিলকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় দেখেছেন। এটি মুক্তিযোদ্ধাদের এ হামলা হতে পারে ধারনায় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়নি। তারা এও দেখেছেন জুটমিল এলাকার আশেপাশের বাড়ী জনমানবহীন অবস্থায় আছে। সেখানেও হামলার চিহ্ন বিদ্যমান। গ্রামগুলো সংখ্যালঘু পরিবারের। সান্ধ্য আইন এবং নৌকা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় তারা অনেক কিছুর চিত্র ধারন করতে পারেননি। সন্ধায় তারা কাটি এবং জিঞ্জিরা গ্রামে আগুনের অগ্নিশিখা দেখেছেন। তারা শুনেছেন সেখানে ২০০ থেকে ২০০০ জন নিহত হয়ে থাকতে পারে। তারা মিটফোর্ড হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। নদীর ওপারের রোগীরা এখানে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল গাজীপুরের পুবাইল ও আড়িখোলায় দুটি রেলসেতু উড়িয়ে দেয় ফলে ঢাকা ভৈরব রেলরুট বন্ধ হয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল নিউমার্কেট মোড় ও সোবহানবাগে দুটি পেট্রোল পাম্প বিস্ফোরক দ্বারা উড়িয়ে দেয়।
নারায়ণগঞ্জে দুটি পাট গুদামে অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।