মুক্তি বাহিনীর আরও থানা দখল
স্টাফ রিপাের্টার
মুজিবনগর, ২ ডিসেম্বর-মুক্তিবাহিনীর দাবি : তারা যশােহর, কুষ্টিয়া, দিনাজপুর জেলার আরও কয়েকটি থানা দখল করে নিয়েছে। গেরিলা আক্রমণে পর্যুদস্ত হয়ে পাকফৌজ যশােহর শহর থেকে সরিয়ে নাইনথ ডিভিশনের হেডকোয়ারটারটি মাগুরা শহরে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
গেরিলারা লালমণিরহাট বিমানবন্দর বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। রংপুরের নাগেশ্বরী থানা দখল করে তারা এগিয়ে এসে চারদিক থেকে এই গুরুত্বপূর্ণ বিমান বন্দরটি ঘিরে ফেলেছেন। শ্রীহট্টের সামসেরনগর বিমান ঘাটিটি তাঁরা বুধবারই দখল করেছেন। রংপুরের ধরলা নদীর উত্তরে শক্তি সংহত করে তারা দক্ষিণের দিকে এগােচ্ছেন। খুলনা জেলার সাতক্ষীরা শহরটি এখন অবরুদ্ধ। শহরের চারিদিকে মুক্তিবাহিনী। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, মুক্তিবাহিনীর সদর দফতরে খবর নিয়ে জানা যায়, যশােহর সেকটরে মুক্তিবাহিনী নাভারনসাতক্ষীরা রােড থেকে খানসেনাদের হটিয়ে দিয়েছে। সাতক্ষীরা শহর থেকে পাঁচ কিলােমিটার দূরে ভােমরাসাতক্ষীরা রােডে হানাদারদের সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর জোর লড়াই চলছে। কুষ্টিয়া জেলার জীবননগর থানার উত্তর-পূর্ব আন্দুলবেড়িয়া এখন মুক্তিবাহিনীর দখলে। চুয়াডাঙ্গা থানার দখল নিয়েও উভয়পক্ষে জোর লড়াই চলছে। ঈশ্বরচন্দ্রপুর এবং দামুরহুদা থানার কাছেও সমানে লড়াই হচ্ছে। বগুড়া জেলায় মুক্তিবাহিনী আরিয়াকান্দি থানায় ২২ জন পশ্চিম পাকিস্তানীকে খতম করে। ২ জন খান সেনা পালাতে না পেরে শেষ পর্যন্ত মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।
Reference: ২ ডিসেম্বর ১৯৭১, দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা