২০ নভেম্বর ১৯৭১ঃ কুড়িগ্রামের যুদ্ধ
ঈদের এই দিনে ভুরুঙ্গমারী রণাঙ্গনে সম্মুখ যুদ্ধে শাহাদাত্ বরণ করেন বীর উত্তম লে. আশফাকুস সামাদ। এই যুদ্ধের জন্য তিনি বীর উত্তম খেতাব লাভ করেন।১৪ নভেম্বর ভূরুঙ্গামারী হানাদার মুক্ত হলে পাকিস্তান বাহিনী পিছু হটে নাগেশ্বরীর রায়গঞ্জে শক্ত ঘাঁটি স্থাপন করে। রায়গঞ্জ দখলে নিতে ১৯ নভেম্বর মধ্য রাতে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনী যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন। এতে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল নিয়ে এগিয়ে যান ১৯৭১ সালের ৯ অক্টোবর যুদ্ধ ক্ষেত্রে প্রথম কমিশন্ড অফিসার হিসেবে ৬নং সেক্টরের সাহেবগঞ্জ সাব-সেক্টরে যোগ দেয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র লে. আশফাকুস সামাদ। প্রচণ্ড গোলাগুলির একপর্যায়ে হানাদারবাহিনীর একটি বুলেট তার মাথায় বিদ্ধ হলে তিনি ঘটনাস্থলে শহীদ হন। শত্রু বাহিনীর অবস্থান খুব কাছাকাছি থাকায় সেদিন তার মৃতদেহ উদ্ধার করা যায়নি। পরদিন তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারীর জয়মনিরহাট মসজিদের সামনে যথাযোগ্য মর্যাদায় একই যুদ্ধে শহীদ সহযোদ্ধা সহোদর আলী হোসেন, নূর মোহাম্মদ ও আবদুল আজিজের সঙ্গে সমাহিত করা হয়। পরবর্তী সময়ে জয়মনিরহাটের নাম রাখা হয় সামাদনগর।