আজাদ
২রা মার্চ ১৯৬৯
শেখ মুজিবের মুক্তিতে সিরাজগঞ্জে উল্লাস
(নিজস্ব সংবাদদাতা)
সিরাজগঞ্জ ২৩শে ফেব্রুয়ারী। সরকার কর্তৃক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার এবং আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবর রহমানের মুক্তি লাভের খবর বেতারযোগে প্রচারের সঙ্গে সঙ্গেই সিরাজগঞ্জের জনসাধারণ উল্লাসে ফাটিয়া পড়ে। ঐদিন (২২শে ফেব্রুয়ারী) ছাত্র এবং রাজনৈতিক কর্মীরা এক আনন্দ মিছিল বাহির করে। তাহারা শেখ মুজিবের প্রতিকৃতি বহন করে এবং রাস্তার হর্ষোৎফুল্ল জনসাধারণের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করে। ২৩শে ফেব্রুয়ারী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা ক্লাশ বর্জন করিয়া তাহাদের প্রিয় নেতার বিশাল প্রতিকৃতি সহকারে মিছিল যোগে শহরের বিভিন্ন রাজপথ প্রদক্ষিণ করে এবং “শেখ মুজিব জিন্দাবাদ” জেলের তালা ভেঙেছি, শেখ মুজিবকে এনেছি প্রভৃতি শ্লোগান প্রদান করে।
শেখ মুজিবের মুক্তি লাভের খবরে শাহজাদপুরের ছাত্র-জনতা ব্যাণ্ড- পার্টি এবং আতশবাজি সহযোগে এক বিরাট মশাল মিছিল বাহির করে। পরে তাহারা ছাত্র নেতা মির্জা আবদুল লতিফের সভাপতিত্বে এক সভায় মিলিত হয়। ২৩শে ফেব্রুয়ারী শাহজাদপুরে এক মিলাদ মহফিলের আয়োজন করা হয় এবং শেখ ছাহেবের দীর্ঘায়ু কামনা করিয়া আল্লাহ পাকের দরবারে মোনাজাত করা হয়। -নি: স:
শাহাজাদপুরে আওয়ামী লীগ সভা
সম্প্রতি শাহজাদপুর থানার বাড়াবিল গ্রামে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক বিরাট জনসভা হয়। সভাপতিত্ব করেন জনাব আবদুল লতিফ মির্জ্জা। সভায় জনাব আবদুল লতিফ খান, জনাব আবুল হোসেন চৌধুরী, জনাব আবদুল গফুর, জনাব কোরবান আলী, ডাঃ খলিলুর রহমান, জনাব আবদুল হামিদ প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
সভায় গৃহীত প্রস্তাবে ৬ দফা কায়েম, পূর্ণ পার্লামেন্টারী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবী জানানো হয়। অন্যান্য প্রস্তাবে সর্ব্বত্র পূর্ণ রেশনিং প্রথা চালু, খাদ্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য প্রতিরোধের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করা হয়।
কাজীপুরে আওয়ামী লীগ নিৰ্ব্বাচন
সম্প্রতি এক সভায় কাজিপুর থানা আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন করা হয়। সভায় জনাব মোজাম্মেল হক এবং জনাব আফজল হোসেন যথাক্রমে থানা আওয়ামী লীগের নয়া সভাপতি ও সম্পাদক নিৰ্ব্বাচিত হইয়াছেন।
সুত্র: সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু: পঞ্চম খণ্ড ॥ ষাটের দশক ॥ চতুর্থ পর্ব ॥ ১৯৬৯