You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.12.05 | ১৮ অগ্রহায়ণ ১৩৭৮, রবিবার ৫ ডিসেম্বর ১৯৭১ | একাত্তরের দশ মাস – রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী | একাত্তরের দশ মাস – রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী - সংগ্রামের নোটবুক

১৮ অগ্রহায়ণ ১৩৭৮, রবিবার ৫ ডিসেম্বর ১৯৭১

[বাংলাদেশ মন্ত্রিসভা মুক্তিযুদ্ধের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করে। শুক্রবার রাত একটায় বিমান হামলা শুরু করে বাংলাদেশ ও ভারতীয় বিমান বাহিনী। শনিবার বেলা একটায় বাংলাদেশে পাক বিমান বাহিনী পর্যুদস্ত হয়। রোববার ভারতীয় বিমান বাহিনী দু’শ ত্রিশবার হানা দেয়। তেজগাঁ, কুরমিটোলায় পঞ্চাশ টনের মতো বোমা ফেলে। রানওয়েতে ২০ ফুট চওড়া গর্তের সৃষ্টি হয়েছিল। তিস্তাসেতু, যমুনা নদীর তীরের ৯০টি পাক সামরিক যানবাহনসহ পেট্রোল পাম্প, জামালপুর ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার, ঝিনাইদহ, সান্তাহার ময়মনসিংহ ইয়ারড মিত্রবাহিনীর আক্রমণে নষ্ট হয়৷]-লেখক।

যুদ্ধের তৃতীয় দিন। মিত্রবাহিনীর বিমানবাহিনী আজ ঢাকার আকাশ পুরোপুরি দখল করে নিয়েছে। পাকবাহিনীর প্রায় সমস্ত জঙ্গী বিমান নিঃশেষ।

মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনী আখাউড়া, কোটচাঁদপুর, পাকবাহিনীর হাত থেকে মুক্ত করে নিল। পাক বাহিনীর পিছু দৌড় শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ ভারত মিত্রবাহিনী, পাকহানাদার বাহিনীকে আউট ফ্ল্যাংক ও ক্রস ক্যান্টি রণপদ্ধতি যুদ্ধে পিছু হটতে বাধ্য করে। মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি (কর্নেল পরে জেনারেল) মোহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানী এক সাক্ষাৎকারে এ বক্তব্য দেন।

মুক্তিবাহিনী এই দিনে ঢাকা, কুমিল্লা, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল এবং ময়মনসিংহের বিভিন্ন অঞ্চলে, সামরিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ শেষ কয়েকটি ঘাঁটি দখল করে নেয়। সম্মিলিত মিত্র বাহিনীর পনেরটি ফ্রন্টে তাদের অগ্রগতি অব্যাহত রাখে। যশোর সেক্টরে কোটচাঁদপুর দখল করে তারা ঝিনাইদহের দিকে অগ্রসর হয়। এ পথে মুক্তিবাহিনী খালিশপুর সেতুটিও দখল করে এবং কুষ্টিয়ার কাজীপুরের পতন ঘটে। মিত্রবাহিনী তিতাস নদীর ব্রীজ দখল করে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার দিকে এগিয়ে চলে। মিত্রবাহিনী সাফল্যের সাথে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার সাথে কুমিল্লার ময়নামতি ক্যান্টনমেন্টের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে সক্ষম হয়।

পশুর নদীর মোহনায় পাক নৌবাহিনীর নাবিকরা বাণিজ্যিক জাহাজ ‘আনওয়ার বক্স’ জাপানী জাহাজের নামে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। ভারতীয় নৌ বাহিনীর প্রবীণতম জাহাজ ‘রাজপুতের’ হাতে ধরা পড়ে।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী সিলেট সেক্টরে সাফল্যের সাথে বোমাবর্ষণ করে শত্রুর পাঁচটি ব্যাঙ্কার উড়িয়ে দেয় ও এক ডজন যানবাহন ধ্বংস করে।

বাংলাদেশের উম্মুক্ত আকাশে মিত্ৰ বিমানবাহিনী অবাধে বিচরণ করতে থাকে। তেজগাঁ বিমান বন্দরে হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের সাথে হানাদার বাহিনীর একমাত্র ‘জীবন সূত্রের’ কর্মক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।

শনিবার রাতে মিত্রবাহিনী দর্শনা(কুষ্টিয়া) থেকে পাকবাহিনীকে পর্যুদস্ত করে। রাত ৪ টায় দর্শনা মিত্র-মুক্তিবাহিনীর হাতে মুক্ত হয়। পাকবাহিনীর বহু সৈন্য খতমের পর তারা পিছু হটে যায়।

মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী চুয়াডাঙ্গা হয়ে কুষ্টিয়া শহর হানাদারমুক্ত করার জন্য দুর্বার গতিতে এগিয়ে যায়।

আক্রমণের আকস্মিকতায় বিহ্বল পাক বাহিনী সর্বত্রই পিছু হটছিল। পাকিস্তানী সমরনায়করা তখনো ঠিক বুঝতে পারেনি ভারতীয় বাহিনী কোন পথে ঢাকার দিকে অগ্রসর হতে চাইছে। মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনীর জওয়ানরা কোথাও সোজাসুজি ঘঁটিগুলোর দিকে এগিয়ে যায়নি। মুলবাহিনী ঘাঁটিগুলোকে পাশ কাটিয়ে যেতে লাগল। এই রণকৌশল পাকবাহিনী ধরতে পারেনি। অন্যদিকে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে অবরুদ্ধ ঢাকার বাঙ্গালীরা দু’চোখের পাতা এক করেনি, সবাই তাকিয়ে ছিল আকাশের দিকে। অন্যদিকে তেজগাঁ বিমানবন্দরের একটি মিগ ২১ পতন হতে দেখে হানাদার বাহিনীর দোশররা বলে ওঠে ‘জংগ ফতে হো গ্যায়া’। কিন্তু বাংলাদেশ ও মিত্রবাহিনীর বিমান গৰ্জনে সে উল্লাস কপূরের মতো উবে যেতে লাগলো। বাংলাদেশ ও মিত্র বিমানবাহিনী অবরুদ্ধ বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ২৩০ বার হানা দেয়। জামালপুরে বিমান হামলায় পাকবাহিনীর কয়েকশত সৈন্য নিহত হয়, বিধ্বস্ত হয় বহু সামরিক যানবাহন।

সোভিয়েট রাশিয়া ‘তাস’ মারফতে ৮শ শব্দ বিশিষ্ট বিবৃতিতে ভারত পাকিস্তান সংঘর্ষ থেকে সুস্পষ্ট ভাবে দূরে থাকার জন্য বিশ্ব শক্তিবর্গের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে। ঘোষণায় বলা হয় অন্য কোন কারণে পরিস্থিতির উদ্ভব হলে সোভিয়েট রাশিয়ার পক্ষে উদাসীন থাকা সম্ভব হবে না। “সোভিয়েত সরকার একথাও বিশ্বাস করে যে, পৃথিবীর সব দেশের সরকারেরই এই বিরোধের সঙ্গে কোন না কোন ভাবে জড়িত হওয়া থেকে ভারত উপমহাদেশে পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটানো থেকে বিরত থাকা উচিত।”

‘দি বাল্টিমোর সান’ পত্রিকায় এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের জনৈক মুখপাত্র ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হবার জন্য ভারতের তীব্র নিন্দা করে বলেন যে, সংকট শুরু হবার প্রথম থেকেই ভারতীয় নীতির ফলেই সংকট আরো মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। সীমান্তে সংঘর্ষ শুরু করার জন্য ভারতই অধিকাংশ দায়ী।

‘দি ক্যানবেরা টাইমস’ পত্রিকায় অষ্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রীর প্রকাশিত বিবৃতিতে ভারত পাকিস্তান সংঘর্ষে অষ্ট্রেলিয়ার নিরপেক্ষ ভূমিকার কথা ঘোষণা করা হয়।

‘আল আইয়্যায়’ পত্রিকায় এক বিবৃতিতে সুদানের পররাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে ভারত ও পাকিস্তানকে সৈন্য প্রত্যাহার এবং যুদ্ধ বিরতি কার্যকর করার আবেদন জানানো হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবিলম্বে পাক ভারত যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা চালানোর জন্য নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব উত্থাপন করে। সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রস্তাবে ‘ভেটো’ দেয়। নিরাপত্তা পরিষদের ১১ জন সদস্য মার্কিন প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। পোল্যাণ্ড এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। বৃটেন ও ফ্রান্স ভোটদানে বিরত থাকে।

নূরুল আমিন ও জুলফিকার আলী ভুট্টো প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সাথে এক যুক্ত বৈঠকে মিলিত হন। পরে নূরুল আমিন প্রধানমন্ত্রী ও ভুট্টো সহ প্রধান মন্ত্ৰী নিযুক্ত হন।

ঢাকার আকাশে বিমানের ডগফাইট। নাগরিকরা দিনের আলোয় নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভুলে গিয়ে বাড়ির ছাদে উঠে এ আকাশ যুদ্ধ উপভোগ করে এবং মিত্র বাহিনীর বিমান পাইলটদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানায়। সকালে প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে এ ডগ-ফাইট চলে। চট্টগ্রামে পাকিস্তান নৌবাহিনী ও যৌথ নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ গুলোর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। বখশীগঞ্জে যৌথ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা। পীরগঞ্জ, হাতিবান্ধা, পচাগড়, বোদা, ফুলবাড়ী, বীরগঞ্জ, নবাবগঞ্জ মুক্ত। জীবন নগর, দর্শনা ও কোট চাঁদপুরে পাক-সেনাদের আত্মসমর্পণ।

ভারতীয় সামরিক কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম বন্দরের দিকে অগ্রসর না হওয়ার জন্য প্রত্যেকটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের জাহাজগুলিকে হুশিয়ারী করে দিয়েছেন। আগামীকাল সোমবার থেকে আপনাদের নিরাপত্তা সম্পর্কে কোন নিশ্চয়তা দেওয়া ভারতীয় নৌ কর্তৃপক্ষের পক্ষে অসম্ভব হবে। (আঃবাঃপঃ)

মার্কিন সরকারের বিশেষ উদ্যোগে জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশন বসে। যুদ্ধ বিরতির জন্য মার্কিন প্রতিনিধি মিঃ বুশের আপ্রাণ চেষ্টায় সোভিয়েট প্রতিনিধি কমরেড মালিক ‘ভেটো’ প্রয়োগ করেন। ভেটো প্রয়োগের পূর্বে কমরেড মালিক জোরাল ভাষায় বলেন, পাক সামরিক জান্তার নিষ্ঠুর কার্যকলাপের ফলেই পূর্ব বাংলার বর্তমান পরিস্থিতি উদ্ভব হয়েছে। এক কোটি শরণার্থী ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘের ৮৮ টি দেশের কোনটিরই এককোটির বেশী জনসংখ্যা নেই।

SOVIET SUPPORT FOR INDIA

The Soviet Government attributed the responsibility for the war to Pakistan in a statement issued by the official Tass agency on, Dec. 5, and warmed other Governments to avoid becoming involved in the conflict.

After recalling the origin of the conflict in East Pakistan, the Tass statement continued: “On encountering a growing resistance by the East Pakistan population to the mass repressions and persecutions, the Government of Pakistan tried to put the blame for this situation on India, and embarked on a course of aggravating relations with her – – – -The Soviet Government repeatedly expressed to President Yahya Khan – – – – the conviction that the renunciation of the policy of repression, the release of Mujibur Rahman and the immediate resumption of talks with the aim of finding such a solution as would accord with the will expressed by the population of East Pakistan at the elections in December 1970 can be the only realistic road. This would ensure conditions also for the return to their homes of millions of East Pakistani refugees who found refuge in India. Since the Pakistan Government did not take measures for a political settlement in East Pakistan and continued to build up military preparations against India. The Soviet leaders informed president Yahya Khan that an armed attack by Pakistan on India, under any pretext at all, would evoke the most resolute condemnation in the Soviet Union.

“In face of the military threat now hanging over Hindustan, to which not a single peace loving country can remain indifferent, the Soviet Union comes out for the speediest ending of the bloodshed, and for a political settlement in East Pakistan on the basis of respect for the lawful rights and interests of its people. The Soviet Government also believes that the Governments of all countries should refrain front steps signifying in this or that way their involvement in the conflict and leading to a further aggravation of the situation in the Hindustan peninsula”. (KCA. PP.25069)

এদিন নিরাপত্তা পরিষদে বাংলাদেশের প্রশ্ন

৫ ডিসেম্বর চীন কর্তৃক উত্থাপিত খসড়া প্রস্তাবঃ

নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক পাকিস্তান ও ভারতের প্রতিনিধিদের বিবৃতি শ্রবণ করেছে, এবং যেহেতু লক্ষ্য করেছে যে, ভারত ব্যাপক আকারে পাকিস্তানের উপর সামরিক হামলা পরিচালনা করে পাক-ভারত উপমহাদেশের শান্তি মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত করেছে, সেহেতু ধ্বংসাত্মক, বিছিন্নকরণ ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক হামলা এবং একটা তথাকথিত বাংলাদেশ সৃষ্টির জন্য ভারতীয় কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা করছে। এবং অবিলম্বে শর্তহীনভাবে ভারত সরকারকে পাকিস্তানী এলাকায় প্রেরিত তার লোকজন ও সৈন্য বাহিনীকে প্রত্যাহার এবং পাস্টা আক্রমণের জন্য ভারতীয় এলাকায় পাকিস্তান যে সৈন্যবাহিনী পাঠিয়েছে তারও প্রত্যাহারের আহবান জানাচ্ছে, এবং ভারত ও পাকিস্তানকে শক্ৰতা বন্ধ এবং উভয়পক্ষকে আন্তর্জাতিক সীমারেখার অপর পার থেকে সৈন্য প্রত্যাহার এবং ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিদ্যমান বিরোধ সমূহের শান্তিপূর্ণ মীমাংসার লক্ষ্যে পরিবেশ সৃষ্টির আহবান জানাচ্ছে, এবং ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পাকিস্তানী জনসাধারণের ন্যায়সংগত সংগ্রামের পক্ষ সমর্থনের জন্য বিশ্বের সকল দেশের প্রতি আহবান জানাচ্ছে, এবং সেক্রেটারী জেনারেল এই প্রস্তাবকে বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে যথাসম্ভব শীঘ্র নিরাপত্তা পরিষদে রিপোর্ট দাখিলের অনুরোধ জানাচ্ছে।

(আমি বিজয় দেখেছিঃ পৃঃ ৪১৪-১৫)

পরবর্তী পর্যায়ে নিরাপত্তা পরিষদে উদ্ভুত প্রস্তাব ভোটে দেয়া হয়। এ সম্বন্ধে কিসিং কম্পেরারী আরকাইভ লিখেছেঃ

FAILURE OF SECURITY COUNCIL TO REACH

AGREEMENT ON RESOLUTION:

When the resolution was voted upon early on Dec. 5 it received II votes in favor (Argentina, Belgium, Burundi, China, Italy, Japan, Nicaragua, Sierra Leone, Somalia, Syria and the United States). The Soviet Union and Poland voted against, and Britain and France abstained. As a permanent member of the Council had voted against it, the resolution was automatically lost.

After private consultations between the delegates the debate was resumed later the same day, three draft resolutions being submitted to the Council:

(1) A Soviet resolution calling for “a political settlement in East Pakistan which would inevitably result in a cessation of hostilities” and calling upon Pakistan to “cease all acts of violence by Pakistani forces in East Pakistan which have led to the deterioration of the situation”

(2) A Chinese resolution calling for a cease-fire and withdrawal of forces, and calling upon all States to “support the Pakistani people in their just struggle to resist Indian aggression”.

(3) A resolution sponsored by Argentina, Belgium, Burundi. Italy, Japan, Nicaragua, Sierra Leone and Somalia, calling for a cease-fire and withdrawal of forces, intensification of efforts to bring about conditions for the voluntary rcturn of the refugees to their homes, and the full cooperation of States with the Secretary General in aiding the refugees.

The Soviet resolution was supported by Poland and the Soviet Union and opposed by China, with 12 abstentions, while the voting on the eight nation bresolution was the same as on the U.S resolution. The Chinese resolution was withdrawn. (KCA, PP-25070)

Reference:

একাত্তরের দশ মাস – রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী