You dont have javascript enabled! Please enable it!

১২ পৌষ ১৩৭৮ মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর ১৯৭১

Acting president Syed Nazrul Islam, Stated at a press conference on Dec. 28 that his government would welcome gestures of friendship from any country, and did not rule out the possibility of future good relation with the United States and China. Foreign diplomatic mission in Dacca were welcome to stay as long as they choose, even though their governments had not recognized Bangladesh.

-মিঃ ভুট্টো বেশ নাটকীয়ভাবে সাংবাদিকদের বললেন, এইমাত্র শেখ মুজিবের সঙ্গে কথা বলে এলাম। নিরাশ হইনি। ভুট্টোর এই টালবাহানার ভেতর ঢাকায় অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম হুঁশিয়ার করে দিয়ে বললেন, আমাদের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এখুনি মুক্তি দিতে হবে। (সংবাদপত্র)। ২৭শে ডিসেম্বর (সোমবার) রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত এক সান্ধ্য-অনুষ্ঠানে ভুট্টো শেখ মুজিবের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে বলে প্রকাশ করে। আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে কোন আভাস না দিয়ে সে নিজেকে পশ্চিম পাকিস্তানের এবং শেখ মুজিবকে পূর্ব পাকিস্তানের নির্বাচিত নেতা বলে উল্লেখ করে। শেখ মুজিবের সঙ্গে আধাঘন্টাকাল আলোচনার পর সরাসরি সে সান্ধ্য অনুষ্ঠানে হাজির হয়। পুনরায় সে শেখ মুজিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে বলে প্রকাশ করে। গত শুক্রবার (২৪ শে ডিসেম্বর) শেখ মুজিবের সঙ্গে ভুট্টোর প্রথম সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়। (“দি টাইমস”, ২৮ শে ডিসেম্বর ১৯৭১) রাওয়ালপিন্ডি থেকে ২৭ শে ডিসেম্বর “দি গার্ডিয়ান”- এর সংবাদদাতা মার্টিন উলাকট কর্তৃক প্রেরিত এক সংবাদে প্রকাশ, শেখ মুজিব সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন এবং ইচ্ছা করলেই তিনি পাকিস্তান থেকে চলে যেতে পারেন বলে ভূট্টো তাঁকে বলেছে।

তবে তার আগে কিছু আনুষ্ঠানিক ব্যাপারে সমাপন করতে হবে। উক্ত সংবাদে আরও বলা হয়, পশ্চিম পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বজায় রাখা সম্বন্ধে কোন প্রতিশ্রুতি কিংবা আলোচনা অনুষ্ঠানের আশ্বাস না দিয়েই শেখ মুজিব দু’এক সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা রওয়ানা হবে বলে স্থানীয় কূটনৈতিক মহল মনে করেন। মার্টিন উলাকট বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা সম্বন্ধে শেখ মুজিব কথা বলবেন কি না তা কেউ জানে না। কিন্তু সবাই জানেন, সামরিক আক্রমণ শুরু হওয়ার আগেও তাঁর সঙ্গে ভুট্টোর সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল না। পূর্ব বঙ্গে যা ঘটেছে তার জন্য ভুট্টোকে অন্ততঃ আংশিকভাবে দায়ী বলে মনে করেন। “ফাইনান্সিয়াল টাইমস”- এর সংবাদদাতা কেভিন র‍্যাফার্টি বলেন, ভুট্টোর সঙ্গে কোনরকম চুক্তি স্বাক্ষর করা সম্পর্কে আলোচনা করার আগে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে পরামর্শ করার জন্য তাঁকে সময় দিতে হবে বলে শেখ মুজিব বার বার উল্লেখ করেন। মার্চ মাসের আগে পাকিস্তানের যেসব নেতার সঙ্গে শেখ মুজিবের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল তাঁদের মাধ্যমে তাঁকে প্রভাবিত করার জন্য ভুট্টো চেষ্টা করবে বলে গুজব ছড়ান হয়েছে। ভুট্টোর এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ বলে মিঃ র‍্যাফার্টি মনে করেন। (“ফাইনান্সিয়াল টাইমস”, ২৯ শে ডিসেম্বর, ১৯৭১)

-২৭ শে ডিসেম্বর নয়াদিল্লী থেকে প্রেরিত এক সংবাদে বলা হয়, যুদ্ধবন্দী পাকিস্তানী সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিকদের যুদ্ধাপরাধী হিসাবে বাংলাদেশ কর্তৃক বিচার অনুষ্ঠানের অধিকার ভারত সরকার মেনে নিয়েছে বলে মনে হয়। ভারতীয় পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রভাবশালী অফিসার টি. এন. কাউল ভারতীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারকালে সরকারী মনোভাব ব্যাখ্যা করে বলে জানা গিয়েছে। মিঃ কাউল বলেন, “জেনেভা কনভেনশান”- এর যুদ্ধবন্দীদের তত্ত্ববধান সম্পর্কিত ধারা অনুযায়ী যেসব সৈনিকের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে, তারা যদি কর্তব্য পালনের যুক্তি প্রমাণ করতে না পারে, তা’হলে তাঁদের নিষ্কৃতি নেই। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানী যুদ্ধ বন্দীদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়ার আগে বাংলাদেশ সরকার যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা তৈরি করে ভারত সরকারের নিকট পেশ করতে পারে। (“দি টাইমস”। ২৮শে ডিসেম্বর, ১৯৭১)।

“The Indian Government appeared tonight (27 December) to have taken a policy decision that would permit Pakistan soldiers taken prisoners in East Pakistan, as well as civilians, to be tired as war criminals by Bangladesh. The Government’s views on the controversial war crimes issues were revealed to Indian Journalist by Mr T.N. Kaul, the senior civil servant in the Foreign Ministry. Mr Kaul was said to have emphasized that the Geneva Convention on handling prisoners of war gave no protection to soldiers who had been charged with commission of heinous crimes unless these were committed in the performance of their duty.” He was said to have added that the Bangladesh Government could complete a list of such criminals and hand it over to the Government of India before the prisoners of war were repatriated. (-The Times.)

Reference:

একাত্তরের দশ মাস – রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!