১৮ পৌষ ১৩৭৮ সোমবার, ৩ জানুয়ারী ১৯৭২
কারচীর জনসমাবেশের সামনে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মিঃ ভুট্টো প্রশ্ন রাখলেন, শেখ মুজিবকে নিঃসর্ত্তে মুক্তি দেব কি? গগন ভেদী আওয়াজ উঠলঃ মুক্তি দাও। President Bhutto of Pakistan announced his decision to release him (Shiekh Mujibur Rahman) at a public meeting in Karachi Park on Jan 3, 1972. My first meeting with Sheikh Mujibur Rahman was on Dec 27, President Bhutto said, “The first question Sheikh Mujibur asked was: ‘Am I free? I told him: You are free. If you give me a little time I can go to the people and consult them on this, because I do not wish to take any decisions without their consent. Some people said that Shiekh was my trump card, and I could use him to get concessions, others said. ‘Why should we ry to get concessions?” I agree with this, I don’t want any bargaining over the Sheikh. Do you agree with me?” When a section of the crown Shouted “Yes” and raised their hands president Bhutto continued: “Thank You” you have lifted a great burden from my shoulders.” (KCA,P.25110)
খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রী শ্রী ফণীভূষন মজুমদারের সঙ্গে খাদ্য পরিবহন নিয়ে ভারতীয় মেজর জেনারেল বি.এন. সরকারের আলোচনা হয়।
-Bangladesh Foreign Minister A. Samad Azad impressed upon the UK Day High Commissioner in Dhaka Mr. R. Briton the need for securing release of Bangabundhu Sheikh Mujibur Rahman for the interest of peace in this Indo-Pak-Bangladesh Sub-Continent Mr. Briton agreed to convey to the UK government the feelings of the Bangladesh Government.
এদিন পাকহানাদার বাহিনীর সহযোগী দালাল, রাজাকার, যাদেরকে গ্রেফতার করা হয় তারা হলোঃ আব্দুর রহমান বাকাউল (মুঃ লীঃ ফরিদপুর প্রাক্তন এমপি এ), ডাঃ আব্দুর, রহমান (জামাত- ই-ইসলামী, বাশবাড়ী ফরিদপুর); এ কে এম জাহাঙ্গির (মুঃ লীঃ মাদারীপুর), মুহম্মদ আলী (মুঃ লীঃ ইউনিয়ন কাউন্সিল সদস্য, জয়দেপুর, ঢাকা); জবেদ আলী (মুঃ লীঃ ময়মনসিংহ), মুহম্মদ মহিউদ্দিন (রাজাকার কম্যান্ডার, ফরিদপুর)’ আবদুল আল আমীর, (পটুয়াখালী); শফিকুল ইসলাম (রাজাকার কম্যান্ডার, ফরিদপুর) আব্দুর রশিদ (রাজাকার, মেহেরপুর); জমিরুদ্দিন (রাজাকার, ঢাকা), মোহাম্মদ সিদ্দিক (মাদারীপু) মোক্তার হোসেন (পটুয়াখালী); সৈয়দ মুহম্মদ হোসেন (তেজগা,ধাকা), আতাউর আলী পাইক (কুষ্টিয়া), সিপাহী আখতার হোসেন (ঢাকা), সিপাহী মাহফুজ (ঢাকা), সিপাহী এ বি সিদ্দিক (চট্টগ্রাম), হাসেম আলী (জয়দেবপুর, ঢাকা)। এ দিন পুলিশ মোহাম্মদপুর থেকে অনেকগুলো আগ্নেয় অস্ত্র উদ্ধার করে।
-Lt General Jagjit Sing Aurora, Commander of the Easter Command of Allied Forces called on the Acting President Syed Nazrul Islam this evening at Bangabhavan, Dhaka. Acting President Syed Nazrul Islam on Jan 3m asked the defence forces of Bangladesh to vigilant to preserve the freedom of the country. He was addressing informally the Senior Staff Officers, Brigade & Commanders and Sectors Commanders of Bangladesh Forces this evening at Bangabhavan. Prime Minister Tajudin Ahmed and Col. M A G Osmani C-in C, Bangladesh Forces were also president.
-ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সর্দার শরণ সিংহের বিশেষ আমন্ত্রণে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব রহমান (কাঃ মুঃ লীঃ মানিকগঞ্জ) মহীউদ্দীন আহম্মদ (মুঃ লীঃ মানিকগঞ্জ), মোয়াজ্জেম হোসেন (প্রাক্তন মন্ত্রী মোশারেরফ হোসেনের ভাই, ময়মনসিংহ), মোহাম্মদ জনাব আলী (ফরিদপুর কালেকটরেট), মোহাম্মাদ আলী চৌধুরী (আলবদর, নোয়াখালী), সৈয়দ মোহাম্মদ হোসেন (তেজগাঁ ঢাকা), সৈয়দ আহম্মদ (এস, আত, পুলিশ ফরিদপুর), আনওয়ারুল হক (রাজাকার, ঢাকা), আব্দুস সাত্তার (রাজাকার, নওয়াবগঞ্জ, রাজশাহী) গিয়াসউদ্দিন ভূঁইয়া (আলবদর, রাজশাহী)। এছাড়া আরো ২৫ জন রাজাকার আলবদরকে এ দিন গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের মধ্যেঃ অধ্যাপক মাহাতাবউদ্দিন (গুরু দয়াল কলেজ), কবিরাজ হোসেন (নাসাত ইসলাম, মহকুমা শান্তি কমিটি ময়মনসিংহ), মহসিন চৌধুরী (মুস্নীগঞ্জ, ঢাকা)
-সদ্য প্রতিষ্ঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে স্বাগত জানাবার জন্য ২রা জানিয়ারী (১৯৭২) লন্ডনের হাইদ পার্কে বাংলাদেশ ষ্টিয়ারিং কমিটির উদ্যোগ এক বিরাট জনসভার আয়োজন করা হয়। পাঁচ হাজারেরও বেশি লোক সভায় অংশগ্রহণ করে। শেখ আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বক্তৃতাদানকারীদের মধ্যে ছিলেন, বাংলাদেশের সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি ও যুক্তরাজ্যে নিয়োজিত রাষ্ট্রদূত বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী ও ব্রিটিশ শ্রমিকদলীয় পার্লামেন্ট সদস্য জন ষ্টোনহাউজ, মহিলা সমিতির বেগম শামসুন্নাহার, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের মোহাম্মদ হোসেন মঞ্জু ও বাংলাদেশ ডাক্তার সমিতির একজন প্রতিনিধি। (সাপ্তাহিক “জনমত”, ৯ই জানুয়ারী, ১৯৭২)। বিচারপতি চৌধুরী স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী প্রবাসী বাঙালী ও সমর্থনদানকারী ব্রিটিশ নাগরিকদের অশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। গত নয় মাস যাবৎ আতিথেয়তা প্রদর্শনের জন্য ব্রিটেনকে ও তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
-বাংলাদেশ সরকার জাতীয় মিলিশিয়ার’ কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সদস্যবৃন্দের নাম ঘোষণা করে। তাঁরা হলেনঃ সর্বজনাব প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ (সভাপতি), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ.এইচ. এম কামরুজ্জামান, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, মনোরঞ্জুনধর, অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ, মনি সিংহ, তোফায়েল আহমদ, আব্দুর রাজ্জাক, রফিকউদ্দিন ভূঁইয়া, গাজী গোলাম মোস্তফা এবং ক্যাপ্টেন সুজাত আলী। (সংবাদপত্র)
-পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আব্দুস সামাদ আজাদ এদিন হেলিকাপ্টারে যুদ্ধ বিধ্বস্ত কিশোরগঞ্জ, হবিগ এবং সুনামগঞ্জের ক্ষয়ক্ষতির এরিয়া সার্ভে করে। পরে তিনি সিলেট ষ্টাডিয়ামে এক জনসভায় ভাষণ দেন।
-ভারতীয় নৌ-বাহিনীর সহায়তায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্মোপযোগী করে তোলা এবং নিমজ্জিত নৌযান ও ভাসমান মাইন পরিষ্কার করে বঙ্গোপসাগরের অবরুদ্ধ নৌপথগুলি উন্মুক্ত করার কাজ পাকিস্তানের পরাজয়বরণের পর থেকেই জরুরীভিত্তিতে চলছিল। ফরে ১ জানুয়ারী নাগাদ চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের মাল ওঠানো-নামানোর ক্ষমতা শতকরা ৮০ ভাগ পুনঃস্থাপিত হয় এবং কুড়ি ফুট গভীরতা সম্পন্ন জাহাজ চলাচলের উপযোগী নৌপথ উন্মুক্ত হয়। Bangladesh observer I am 2, 72
Reference:
একাত্তরের দশ মাস – রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী