বাংলা বানী
ঢাকাঃ ১৮ই ডিসেম্বর, বুধবার, ২রা পৌষ, ১৩৮১
জাতির উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ১৬ই ডিসেম্বর উপলক্ষে গত ১৫ই ডিসেম্বর রাতে জাতির উদ্দেশ্যে এক ভাষণ দিয়েছেন। ইতিহাসের এক পরম মুহূর্ত ছিল সেই ১৬ই ডিসেম্বর। দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। মূলতঃ বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের বিজয় দিবস হিসেবে ১৬ই ডিসেম্বর ইতিহাসে স্মরণীয় দিন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এই দিনটিকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছেন। বিজয়ের তিন বছর পর বঙ্গবন্ধুর এবারের ভাষণ অত্যন্ত মূল্যবান এবং ইতিহাসের পাদপীঠে স্মরণীয়ও বটে। এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু এবং শেষ হয়েছিল বস্তুতঃ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নেতৃত্তের মাধ্যমেই। পরবর্তীকালে স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের তিনিই সরকার প্রধান হিসেবে নতুন দেশ ও সমাজ গঠনের মানসে সুমহান দায়িত্ব নিয়েছেন হাতে। আজ তিনিই আমাদের জাতির এবং সরকারের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তার মহান আদর্শ এবং চেতনার বাস্তবায়নের জন্যই গোটা জাতির প্রগতিশীল অংশ আজ সংগ্রামরত। বিজয়ের তিন বছরের সমাপ্তি পর্বে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু দেশের অভ্যন্তরে যে সকল অনভিপ্রেত প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির জাগরণ এবং অনিবার্য অর্থনৈতিক সংকট প্রত্যক্ষ করেছেন-বক্তৃতায় তিনি তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। দেশ আজ নানা সংকটে জর্জরিত। মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের নিদারুণ আঘাতে আমাদের বর্তমান সামাজিক জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, পাচার ইত্যাদি কারণে খাদ্য ঘাটতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এবং তারই অনিবার্য পরিণতি হিসেবে দুর্ভিক্ষ এসে গোটা জাতিকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছে। ইতিমধ্যেই বহু লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। ঠিক এমনই এক নিদারুন সংকটের মুখে এক শ্রেণীর মানুষ নামের পশু মুনাফাখোরী, চোরাচালানি, মজুদদারির মাধ্যমে সংকট আরো তীব্র করে তুলেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে ঘুষের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বেড়ে উঠেছে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার সন্ত্রাসবাদীরা হুমকিস্বরূপ হয়ে দেখা দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আজীবনের সাধ ছিল বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। এবং প্রায় দুই হাজার বছর ধরে যে জাতি শোষিত বঞ্চিত হয়েছে তার বাঁচবার নিশ্চয়তা বিধান করে একটা সুখী ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনের জন্য আত্মনিয়োগ করা। কিন্তু নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও একশ্রেণীর মনুষ্য পশুর দল বিভিন্ন প্রকার সমাজ বিরোধী তৎপরতার মাধ্যমে যেভাবে সংকট সৃষ্টি করে চলেছে তাতে করে পূর্বাপর সকল বিষয় আজ নতুনভাবে চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেবার সময় এসে গেছে। একটি সম্ভাবনাময় জাতির ভবিষ্যৎ কোনক্রমেই সমাজবিরোধীদের খেয়ালের কাছে বিনষ্ট হয়ে যেতে পারে না। সন্ত্রাস সৃষ্টি করে মানুষের কল্যাণ আনা যায় না। অতএব যারা আজ আইনকে তোয়াক্কা না করে সন্ত্রাসী তৎপরতার মাধ্যমে মানুষের চোখের ঘুম কেড়ে নিচ্ছে এবং অসংখ্য নেতা, কর্মী ও সাধারণ মানুষের জীবনহানি ঘটাচ্ছে তাদের সমুচিত শিক্ষা দেওয়ার সময় এসে গেছে আজ। আইন কোনক্রমেই আর নীরব সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেনা। যারা চোরাচালানী, মজুতদারী ও মুনাফাখোরের মাধ্যমে জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে, বিশেষ করে দেশের মূল্যবান সম্পদ যারা বিদেশে পাচার করে দিয়ে বিত্তশালী হচ্ছে তাদের দৌরাত্ম্য অবিলম্বে রোধ করা দরকার হয়ে পড়েছে। মানুষের ভাগ্য নিয়ে এরা যেভাবে ছিনিমিনি খেলছে তাতে করে এদের বিরুদ্ধে কার্যকর অভিযান পরিচালনা করা আজ সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। বস্তুতঃ দেশের কোটি কোটি ভাগ্যাহত মানুষের কল্যাণের নিশ্চয়তা দেওয়ার অঙ্গীকার করে সরকার মানুষের কাছে ভোট প্রার্থী হয়েছিলেন। অতএব তাদের উপর মহান দায়িত্ব রয়েছে সেই সর্বহারা মানুষের ন্যুনতম নিশ্চয়তা বিধানের। স্বাধীনতা অর্জনে ৩০ লাখ মানুষ আত্মহুতি দিয়েছিল জাতির যে ভবিষ্যৎ স্বপ্ন নিয়ে তার কথা স্মরণ রেখে ও সরকারকে কাজ করে যেতে হবে। নানা দুর্বিপাক ও দুর্যোগ এর মধ্যেও সরকার কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাফল্যের সঙ্গে তাদের কর্তব্য পালন করেছেন। বাধা এবং জটিলতা উত্তোরণ করে আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের কাজ করে যাওয়ার সদিচ্ছাও রয়েছে। তবু যুদ্ধোত্তর দেশের উদ্ভূত অনিবার্য সঙ্কটগুলো মাঝে মাঝে বিরাট আকার ধারণ করে পুনর্গঠন এর কাজে বাধা হয়ে দেখা দিচ্ছে। সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ সেই সকল বাধা উত্তরণের জন্য। মূলতঃ ঐতিহাসিক ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ তিনি উল্লেখিত বিষয়গুলো কে কেন্দ্র করেই দিয়েছেন। জাতীয় জীবনে উদ্ভুত বিভিন্ন প্রকার সংকট উত্তরণের জন্য সর্বতোভাবে পদক্ষেপ গ্রহণের আবশ্যকতা এসে গেছে। প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি সমূহ, সন্ত্রাসবাদীরা এবং চোরাচালানি, মুনাফাখোর ও মজুদদারেরা যেভাবে সমাজ জীবনের স্বাভাবিক গতি স্তব্ধ করে দিতে উদ্যত হয়েছে তাতে করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার জন্য কর্তৃপক্ষকে এখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে অগ্রসর হতে হবে। গত তিন বছরে আমরা এমন বহু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বিলম্ব করেছি। একটি জাতির জীবনের গতিবেগ সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়ে যেতে পারে বিলম্ব সিদ্ধান্তের দরুণ। আমরা তাই বঙ্গবন্ধুর এবারের ঐতিহাসিক বিজয় দিবসের স্মরণীয় ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সংকট মোকাবেলার জন্য নতুন করে সকল পর্যায়ে দ্রুত সরকারি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাব।
এবার মরিচও আসবে!
সম্প্রতি বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঘটনার সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের নাগরিকগণ ওয়েজ আর্নার ক্রিম এর অধীনে ১৯৭৫ সালের ৩১শে জানুয়ারি পর্যন্ত বাইরে থেকে মরিচ আমদানি করতে পারবেন। কতগুলো সংবাদ আছে সুখের, কতগুলো আছে দুঃখের আর কতগুলো সুখ-দুঃখ -আনন্দ-হাতাশা মিশ্রিত স্থবিরত্বের। ওয়েজ আর্নার স্কীমে মরিচ আনার সংবাদ সব পর্যায়কেই যেন ছাড়িয়ে যেতে চাইছে। লবণের জমিদারি গিয়ে নূন কাঙ্গাল তো হয়েছি এবার মরিচও বাইরে থেকে আনতে হবে এমন অবস্থাকে স্বীকার করে নেওয়া হলো।
সাধারণ মানুষ হিসেবে যতটা জানি ওয়েজ আর্নার ক্রিম করা হয়েছিল জাতীয় স্বার্থের দিকে চেয়ে। প্রবাসী উপার্জনকারী বাঙালিরা পণ্য পাঠালে কোন বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় না করে দেশবাসীর অতিপ্রয়োজনীয় নিত্যব্যবহার্য বহু দ্রব্যাদী দেশে আমদানি করা সম্ভব হবে, যার দ্বারা জনগণ এবং সরকার যুগপৎ উপকৃত হবেন। এতে প্রবাসী বাঙালিরা ব্যবসা করে কিছু আয় করতে পারবেন এবং সরকারও বহু বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় জাতীয় অর্থনীতির স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা নেবেন।
এই সুউদ্দেশ্য হাসিল করা এবং ওয়েজ আর্নার ক্রিম এর সম্ভাব্য শুভ পরিনাম এর কথা চিন্তা করেই অতঃপর শুরু হলো কাজ। দেদার জিনিস আসতে লাগল। দেখা গেল ফাইভ ফিফটি ফাইভ, ডানহিল, সিন্থেটিক, ইন্টিমেট, মাক্স ফ্যাক্টরি সামগ্রীতে বাজার ছেয়ে গেল অতি অল্প দিনের মধ্যে। অথচ সরবরাহ বেশি হলে দাম পড়ে যাওয়ার অর্থনৈতিক নীতি কিন্তু কার্যকরী হল না। সবার মুখে এককথা বাজারের আগুন ঊর্ধ্বমুখী ও সম্প্রসারণ মুখি।
ওয়েজ আর্নার ক্রিমে কোন দ্রব্য কতটা আসবে বা আসবে না এমন করে বিধি বরাদ্দ আজ ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনার আওতায় এসেছে কিনা আমরা জানি না। তবে লক্ষ লক্ষ পাউন্ডের বিনিময়ে দেশে এমন কিছু কিছু জিনিস আমদানী করা আজ অঅত্যন্তিক প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি। তাই ডানহিলের চেয়েও খুচরা যন্ত্রাংশ মরিচের চেয়ে কাঁচামাল, সিন্থেটিক এর পরিবর্তে লঙ্কা প্রচুর পরিমাণে আমদানি করা একান্তই দরকার।
একথা ধ্রুব সত্য যে, কতিপয় দুষ্কৃতিকারী ও সমাজ বিরোধী হীনমনুষ্যকে বাদ দিলে এদেশের জনসাধারণ সর্বদা সরকারের সদিচ্ছায় সহায়তা দান করেছে এবং এখনো করছে। যারা কৃষিকাজ, কুটির শিল্প ইত্যাকার কাজে জাতীয় জীবনের মৌল চাহিদার যোগান দিয়ে আসছে-ওয়েজ আর্নার্স ক্রিমে তাদের জন্য কোন উপকারের আশ্বাস রাখা হোক। কারণ মরিচ তো ওরা উৎপাদ করতেই পারে। কেবল কৃত্রিম মরিচ সংকটের মূলোৎপাটন করলেই হবে এত মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়ে মরিচ আনতে হয় না।
যক্ষ্মা প্রতিরোধ অভিযান সফল করুন
আমাদের সমাজে একসময় এমন একটি ধারণা প্রচলিত ছিল যে, যক্ষ্মা হলে নাকি আর রক্ষা নেই। যক্ষ্মারোগীর নাকি নির্ঘাত মৃত্যুই একমাত্র পাওনা। সন্দেহ নেই, যক্ষ্মা একটি মারাত্মক ক্ষয়রোগ। আমাদের দেশে কালব্যাধি যক্ষ্মার প্রকোক ও একেবারে সামান্য নয়। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা নির্ণীত সাড়ে তিন লাখ। ছোঁয়াচে রোগ যক্ষ্মা প্রতিবছর শুধু নয়, প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষের মধ্যে যক্ষ্মার জীবাণু ছড়িয়ে দিচ্ছে। যক্ষ্মা রোগের কবল থেকে বালক-বালিকাদের নিস্তার নেই। তাই এই ভয়াবহ রোগ প্রতিরোধ করা একান্ত আবশ্যক। যক্ষ্মা থেকে একসময় নিবৃত্তি লাভ করাটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার ছিল ঠিকই, কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের নতুন নতুন উদ্ভাবনের ফলে যক্ষ্মা নিবারণ এখন আর খুব কঠিন কাজ নয়। যক্ষা রোগীর আজকাল উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে অনায়াসে আরোগ্য লাভ করতে পারে। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এবং যক্ষ্মা বিরোধী আন্তর্জাতিক ইউনিয়নের সহায়তায় বাংলাদেশে জাতীয় যক্ষ্মা সমিতি ৪ বছর মেয়াদী যক্ষ্মা প্রতিরোধের জন্য এক কর্মসূচি প্রণয়ন করেছে। এ কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী বছরের গোড়া থেকে যক্ষ্মা প্রতিরোধ অভিযানের কাজ শুরু হবে। যক্ষাক্রান্ত রোগীদের জন্য এটি খুবই সুখের সংবাদ। কারণ, যক্ষ্মার মতো মারাত্মক ব্যাধিকে যে কোন উপায়েই হোক না কেন, প্রতিরোধ করা দরকার। যক্ষ্মার কবলে পড়ে প্রতি বছরেই আমাদের জনশক্তি বিপুলভাবে অপচয় হচ্ছে। জনশক্তি অপচয় রোধকল্পে যক্ষ্মা নিবারণের সরকারি কার্যক্রমের সঙ্গে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসা দরকার। বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা সমিতির ইতিমধ্যেই সপ্তাহব্যাপী টিভি সিল বিক্রয় এবং চাঁদা সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে। প্রতিবছর এই এ ধরনের অভিযান পরিচালিত হয়। প্রতিবছর এই যক্ষ্মা নিবারণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে নানাজনের মুখে নানা কথা শোনা যায়। কিন্তু সারা বছরের অন্যান্য দিনগুলোতে যক্ষ্মা নিবারণের ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ কিছুমাত্র বাস্তবায়িত হয় কিনা, তা বড়ো জানা যায় না। এটা খুবই দুঃখবহ ঘটনা। যক্ষ্মা প্রতিরোধের চার বছর মেয়াদি যে কর্মসূচি গৃহীত হয়েছে, তার ফলে নাকি দেশের পাঁচ কোটি মানুষের মধ্যে প্রথমেই যক্ষ্মা প্রতিরোধের জন্য যথাযথ ব্যবস্থাবলম্বিত হবে। একথা সত্য যে, যক্ষ্মারোগ যদি একবার নির্ণয় করা সম্ভব হয় তাহলে আর কোন সমস্যা থাকে না। যক্ষ্মা এখন আর মানুষের মনে নিদারুণ ভয়ের সঞ্চার করে না। যক্ষ্মা ধরা পড়লে তার কবল থেকে সহজে নিরাময় লাভ করা যায়। যক্ষ্মার জীবাণু যাতে অসংখ্য মানুষকে নতুন করে যক্ষ্মাক্রান্ত করতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। বক্তৃতা-বিবৃতি কিংবা যক্ষ্মা প্রতিরোধ সপ্তাহ পালন করলেই যক্ষ্মা প্রতিরোধ করা যাবে না। যক্ষ্মা নিরাময় অভিযানকে বাস্তব কর্মপন্থার মাধ্যমে সার্থক করে তুলতে হবে।
কালেক্টেড অ্যান্ড ইউনিকোডেড বাই- সংগ্রামের নোটবুক