বাঙলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বের প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক শক্তির সক্রিয় সাহায্য চাই
আগরতলার জনসভায় বাঙলার অগ্নিকন্যা মতিয়া চৌধুরীর আবেদন
আগরতলা, ১৮ জুন – (নিজস্ব) সাম্প্রদায়িক দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে সৃষ্ট পাকিস্তানের কবরের উপর যে অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ গণ-প্রজাতন্ত্রী বাঙলাদেশ জন্ম নিয়েছে তাকে পশুশক্তির কবলমুক্ত করতে সারা দুনিয়ার প্রগতিশীল ও গণতন্ত্রী শক্তির সক্রিয় সাহায্য ও সমর্থন।
সম্প্রতি চাড়লাম বাজারে বাঙলাদেশের সমর্থনে আয়ােজিত এক বিরাট জনসভায় বাংলাদেশের অগ্নিকন্যা শ্রীমতী মতিয়া চৌধুরী একথা ঘােষণা করেন।
বাঙলাদেশের সংগ্রামী নেতা ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আলতাফ হােসেন, যুগ্ম সম্পাদক শ্রী আবদুল হালিম এবং উদ্যোক্তাদের পক্ষে সর্বশ্রী রাখাল শুক্ল, রঞ্জিৎ সাহা, সাধন, দেবনাথ, সুভাষ আচার্য প্রমুখ সভায় বক্তৃতা করেন। সভাপতিত্ব করেন শ্রীকুমুদ চৌধুরী।
শ্রী মতিয়া চৌধুরী জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সমর্থদেহী প্রত্যেক শরণার্থী যুবককে রিলিফের উপর নির্ভরশীল থেকে মুক্তিফৌজে যােগ দেওয়ার আবেদন জানান। তিনি বলেন, আমাদের মুক্তির লড়াই আমাদের মুক্তির লড়াই আমাদেরই করতে হবে।
শ্রী মতিয়া চৌধুরী বাঙলাদেশ থেকে আগত শরণার্থীদের ভাই হিসাবে, পরম বন্ধু হিসাবে আশ্রয় দেওয়ার জন্য ত্রিপুরা তথা ভারতবাসীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান।
পাকিস্তানের গণতন্ত্র-বিরােধী শাসকগােষ্ঠীকে সাম্রাজ্যবাদীর সর্বদা মদৎ জুগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ সরকারকে অবিলম্বে স্বীকৃতি দাবি জানিয়ে সভার সভাপতি ভারতবাসীদের সাম্রাজ্যবাদীদের চক্রান্ত সম্পর্কে হুঁশিয়ার থাকতে আবেদন জানান।
সূত্র: কালান্তর, ১৯.৬.১৯৭১