বাঙলাদেশ সংগ্রামে শ্রমিক শ্রেণীর ভূমিকা – রণেশ দাসগুপ্ত
বহু বছর ধরেই বাঙলাদেশের সাড়ে ৭ কোটি মানুষ স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে আসছে। এ সগ্রামের কোনাে বিরাম ছিল না। পাক-জঙ্গী শাহীর সমস্ত চক্রান্ত ও দমনমূলক ব্যবস্থা তাকে ব্যর্থ করতে পারে নি।
স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের এই সংগ্রামে শ্রমিক শ্রেণী সামনের সারিতেই ছিল। রাওয়ালপিন্ডির জঙ্গী শাসনের প্রথম আঘাত পড়েছে এই শ্রমিক শ্রেণীর ওপরই।
সমস্যার সমাধান হল না
কিন্তু সমস্যাগুলির প্রকৃত সমাধানের ব্যাপারে তারা বিশেষ আগ্রহ দেখাল না। বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনাগুলি কার্যকর করার ব্যাপারে বিলম্ব হতে লাগল। বগুড়া কয়লার মত কতগুলি মৌলিক প্রকল্পগুলিকে অনুসন্ধানের স্তরেই ফেলে রাখা জঙ্গীশাহীর শাসকদের কীর্তিকলাপ একে একে বলা যায় ঃ
১। সমস্ত কল-কারখানা ও ছােটখাট কারখানা থেকে জঙ্গীশাহীর অনুচররা নেতৃস্থানীয় এবং সাধারণ হিন্দু শ্রমিকদের হঠাল। দেশবিভাগের পূর্বে হিন্দু-মুসলমান শ্রমিকের যুক্ত প্রচেষ্টায় যে শ্রমিক ঐক্য গড়ে উঠে সাম্প্রদায়িকতা জিকির সেই ঐক্য…। সময়ই এমনভাবে সব ব্যবস্থা করেছে যাতে বাঙলাদেশের অ-বাঙালীরা তথাকথিত কেন্দ্রের উপর নির্ভর শীল হয়ে থাকে। ১৯৫৪ সালে এই পুঁজিপতিরা বাঙালী অ-বাঙালী সমস্যাকে একটি রাজনৈতিক খেলা হিসাবে দেখল। আদমজী ও চন্দ্রগােনা, মিল (২২ টি- সুবিধাভােগী পরিবারের ২টি…)
সূত্র: কালান্তর, ১০.৯.১৯৭১