You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.07.08 | বাঙলাদেশে ব্যাপক অবাঙ্গালী হত্যার মিথ্যা অভিযোেগ প্রচার- ইয়াহিয়ার কুৎসার জবাবে ড. এ আর মল্লিক | কালান্তর - সংগ্রামের নোটবুক

বাঙলাদেশে ব্যাপক অবাঙ্গালী হত্যার মিথ্যা অভিযোেগ প্রচার
ইয়াহিয়ার কুৎসার জবাবে ড. এ আর মল্লিক

পাটনা, ৭ জুলাই -চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ আর মল্লিক বলেছেন, বাঙলাদেশে পাক সৈন্যদের বাঙ্গালী নিধনের কারণ হিসেবে ইয়াহিয়ার অজুহাত একটি বিরাট মিথ্যা ও অসত্য প্রচার মাত্র। এক সাংবাদিক সম্মেলনে ড. মল্লিক বলেন, ঐ অজুহাত দিয়ে আসলে বাঙলাদেশে ইয়াহিয়া বাহিনী কর্তৃক গণহত্যার ঘটনাই পাক রাষ্ট্রপতি স্বীকার করে নিয়েছেন। রিপাের্ট ইউ এন আই-র।
উল্লেখ্য যে, পাক সামরিক বাহিনী কর্তৃক ব্যাপক বাঙালী নিধনের কারণ হিসেবে ইয়াহিয়া বলেছিলেন যে, অবাঙ্গালীদের হত্যা করায়ই নাকি পাক সৈন্যরা বাঙালী হত্যায় মাতে। ড. মল্লিক বলেন, পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক শাসন কাঠামাে স্থাপনের দাবিতে আওয়ামী লীগ ইয়াহিয়া সরকারের বিরুদ্ধে অহিংস অসহযােগ আন্দোলন শুরু করে। অবাঙ্গালী হত্যার অভিযােগ মিথ্যা। আর তাছাড়া গ্রামাঞ্চলে অবাঙ্গালীরা থাকেন না, অথচ ইয়াহিয়া বাহিনী গ্রামের পর গ্রাম ধ্বংস করেছে এবং গ্রামাঞ্চলেই বেশি হত্যাকাণ্ড অনুষ্ঠিত করেছে।
ডা. মল্লিক আরও জানান যে, সেনাবাহিনীর অত্যাচার শুরুর পূর্বে বাঙলাদেশে জনগণের অসহযােগ আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ছিল। পশ্চিম পাকিস্তানের হঠকারী জঙ্গী শাসক বর্গই বাঙলাদেশবাসীদের যুদ্ধের পথে নিয়ে গেছে। বাঙলাদেশের ৯০ শতাংশ মুক্তিবাহিনীর দখলে। এ কথা ঘােষণা করে তিনি জানান, তবে ঐ অঞ্চলগুলিতে বেসামরিক মানুষের যথেষ্ট নিরাপত্তা না থাকায় বাঙলাদেশ সরকার এখনই ভারতে আগত শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে পারছেনা। সমস্ত পশ্চিম পাকিস্তানী হানাদারদের তাড়িয়ে দেওয়ার পরেই শরণার্থীদের দেশে ফিরিয়ে নেয়া হবে।

সূত্র: কালান্তর, ৮.৭.১৯৭১