You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.04.25 | আরও ইতিবাচক সহায়তার জন্য সােভিয়েত নেতৃবর্গের কাছে ভাসানীর আবেদন | কালান্তর - সংগ্রামের নোটবুক

আরও ইতিবাচক সহায়তার জন্য সােভিয়েত নেতৃবর্গের কাছে ভাসানীর আবেদন

কলকাতা, ২৪ এপ্রিল-আজ সােভিয়েত রাষ্ট্রপতি নিকোলাই পদগােনি, প্রধানমন্ত্রী আলেক্সি কোসিগিন ও কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক লিওনিদ ব্রেজনেভের কাছে প্রেরিত এক তারবার্তায় বাঙলাদেশের বর্ষীয়ান জননেতা মৌলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ইয়াহিয়ার বাহিনীর নৃশংস গণহত্যার বিবরণ তুলে ধরে ঐ বর্বর অত্যাচার বন্ধের জন্য সােভিয়েত ইউনিয়নের কাছে “অধিকতর ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন।
ইউ এন আই এর সংবাদ বর্ণিত ভাষ্যে তিনি বলেছেন, সােভিয়েত ইউনিয়ন যেমন ইউরােপের অংশ ঠিক তেমনি এশিয়ারও অংশ এবং সমগ্র বিশ্বের বিশেষতঃ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রসমূহের উন্নয়নের পথে লেনিনীয় শান্তির নীতি এক মহান স্থায়িত্ব সৃষ্টিকারক উপাদান।
বাঙলাদেশের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি পদগােণির বিবৃতির প্রশংসা করে মৌলানা ভাসানী জানিয়েছেন, “জেনারেল ইয়াহিয়া খানের পাশবিক সামরিক একনায়কতন্ত্র কর্তৃক বাঙলাদেশে লক্ষ লক্ষ নিরস্ত্র অসহায় জনগণের উপর বর্বর গণহত্যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র দ্বারা সংঘটিত হচ্ছে।”
জাতি, বর্ণ, সম্প্রদায় নির্বিশেষে আবাল বৃদ্ধবণিতা এমনকি মাতৃক্রোড়ে সদ্যজাত শিশু-কিভাবে পশ্চিম পাকিস্তানী সৈন্যদের হাতে খুন হচ্ছে তার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেছেন, “তারা যা করছে বর্বরতার ইতিহাসে তা অভাবনীয়।”
সােভিয়েত ইউনিয়নের কাছে তাঁর আবেদন-পাক সামরিক চক্রের কাছে কোন অস্ত্র সরবরাহ না করে বাঙলাদেশকে স্বীকৃতি এবং সর্বোতভাবে সাহায্য করা।
মৌলানা ভাসানী রাষ্ট্রসঙ্ঘের সেক্রেটারী জেনারেল উথান্ট, বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হীথ, ফরাসী প্রেসিডেন্ট পম্পিদু, যুগােস্লাভ প্রেসিডেন্ট টিটো এবং আরব যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আনােয়ার সাদাতের কাছেও অনুরূপ তারবার্তা পাঠিয়েছেন।

সূত্র: কালান্তর, ২৫.৪.১৯৭১