You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.09.23 | | কালান্তর - সংগ্রামের নোটবুক

বাঙলাদেশ সংকটের মােকাবিলা করার জন্য সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব নিয়ে শ্রীধর মস্কো গেলেন।
(নিজস্ব প্রতিনিধি)

নয়াদিল্লী, ২২ সেপ্টেম্বর-বাঙলাদেশ সংকট যে গুরুতর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে সে সম্পর্কে সােভিয়েত নেতৃবর্গকে ওয়াকিবহাল করার জন্য গত সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রকের নীতিনির্ধারক কমিটির চেয়ারম্যান শ্রীদুর্গাপ্রসাদ ধর মস্কোর পথে রওয়ানা হয়ে গেছেন। | প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর আসন্ন সােভিয়েত ইউনিয়ন সফরের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রীধরের এই যাত্রা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হয়েছে।
গত কয়েক দিন ধরে শ্রীধর বাঙলাদেশ নেতৃবর্গের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যােগাযােগ রাখেন এবং তিনি ইতিমধ্যেই পূর্ব সীমান্তের কয়েকটি শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করে আসেন।
জানা গেছে, বাঙলাদেশে যে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বর্তমান রয়েছে সে কথা তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। | উত্তর প্রদেশের বন্যাপীড়িত অঞ্চলগুলি সফর করে আসায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শ্রীধর গত পরশু রাত্রে বেশ কয়েকবার মিলিত হয়েছিলেন।
যাত্রার আগেও তিনি শ্রীমতী গান্ধীর সঙ্গে আলােচনা করেছেন। পরররাষ্ট্র দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও তার দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে।
একথা বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, বাংলাদেশ সংকটের মােকাবিলা করার জন্য ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কয়েকটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব নিয়ে শ্রীধর মস্কো গেছেন। বর্ষা শেষ হয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এবং ভারতে শরণার্থীর সংখ্যা ৯০ লক্ষে পৌছানাের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার বাঙলাদেশ সম্পর্কে কয়েকটি নির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভেবে রেখেছেন। শ্রীধর সােভিয়েত নেতাদের সংগে আলােচনা শুরু করবেন এবং প্রধানমন্ত্রী তার সমাপ্ত রেখা টানবেন। প্রধানমন্ত্রী পৌছচ্ছেন ২৭ সেপ্টেম্বর।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ভারত-সােভিয়েত মৈত্রী চুক্তির প্রেক্ষাপটে দুটি দেশ নিজেদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলােচনা করবে এবং সেই চুক্তির আলােকেই শ্রীধর আলােচনা শুরু করবেন। এই আলােচনায় আর একটি বিশেষ দিক হল, মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর এই প্রথম ভারত ও সােভিয়েত ইউনিয়নের শীর্ষস্থানীয় নেতারা বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন।

সূত্র: কালান্তর, ২৩.৯.১৯৭১